গত রোববার দুবাই পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, ওই নারী টুইটার, ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে নানা পোস্ট দিয়ে অর্থসাহায্যের আবেদন করেন। তবে ওই নারীর বয়স ও জাতীয়তা প্রকাশ করেনি পুলিশ।
দুবাই পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জামাল আল সলিম আল জালাফ বলেন, ওই নারী অনলাইনে অ্যাকাউন্ট খুলে তাতে সন্তানের ছবি দিয়ে তাকে বড় করার জন্য অর্থসাহায্য চান। তিনি ডিভোর্সের পর নিজে সন্তান পালন করছেন। কিন্তু তাঁর সাবেক স্বামী ই-ক্রাইম প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অভিযোগ করেন এবং সন্তান তাঁর কাছে থাকার প্রমাণ দেন। ওই ব্যক্তি বুঝতে পারেন, তাঁর সন্তানের ছবি অনলাইনে পোস্ট করে অর্থ আয়ের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে।
সলিম আল জালাফ বলেন, অনলাইনে ভিক্ষাবৃত্তির জন্য ই-ক্রাইম প্ল্যাটফর্মে অভিযোগ জানানো যায়। মানুষ যাতে মহানুভবতার সুযোগ নিতে না পারে, এ জন্য অনলাইনে দান করার আগে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
গত রোজার মাসে দেশটিতে ১২৮ ভিক্ষুককে আটক করা হয়েছে।
দুবাই পুলিশের সাইবার অপরাধ বিভাগের ডেপুটি পরিচালক ক্যাপ্টেন আবদুল্লাহ আল সেহি বলেন, অনলাইনে ভিক্ষা করা দেশটিতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এতে জেল বা জরিমানার বিধান রয়েছে।