ভালোবেসে বিয়ে, ২ ঘণ্টার ব্যবধানে চলে গেলেন স্বামী-স্ত্রী
- আপডেট সময় : ০৬:০০:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২০ ২৪৯ বার পড়া হয়েছে
১৭ জানুয়ারি ২০২০, আজকের মেঘনা ডটকম,
ডেস্ক রিপোর্ট : বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দগ্ধ হওয়া এক নবদম্পতি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গত সোমবার এক লাখ ৩৩ হাজার ভোল্টের তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার পর তাদের ঢামেকে ভর্তি করা হয়েছিল।
ভালোবেসে বিয়ে করার দুই মাসের মাথায় এই দুর্ঘটনার শিকার হন মাহাবুল ইসলাম (২৫) ও তার স্ত্রী রুনিয়া আক্তার খাদিজা (২০)। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে মাহাবুল ইসলাম ও সকাল ৬টার দিকে রুনিয়া মারা যান।
মাহাবুল ইসলাম ময়মনসিংহের ফুলপুর থানার গোপপুর এলাকার আবুল কালামের ছেলে। তারা ফতুল্লার শাসনগাঁও এলাকায় মিজানুর রহমানের বাড়িতে ভাড়ায় থাকতেন। তারা দুইজনই বিসিক শিল্পনগরীতে পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।
সকল রাজকীয় দায়িত্ব ছাড়লেন প্রিন্স হ্যারি ও মেগান, আহত হয়েছে রাজপরিবার, জানালো বাকিংহাম প্যালেস ≣ মাদকের কারণে যে ব্যক্তির দাঁত পড়ে যায়, তার পক্ষে কাউকে টেনে নিয়ে ধর্ষণ তো দূরে থাক, নিজেকে টেনে তোলার ক্ষমতাই থাকে না ≣ ডব্লিউএফপিথর মতে, বাংলাদেশের মানুষ অতিরিক্ত ভাত খায় বলে পুষ্টিকর খাবার খেতে পারে না
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার দুপুরে ফতুল্লার শাসনগাঁও এলাকার ওহাব সরদারের বিল্ডিংয়ের ছাদে কাপড় শুকাতে যান রুনিয়া আক্তার খাদিজা।ওই ছাদের ওপর দিয়ে এক লাখ ৩৩ হাজার ভোল্টের বৈদ্যুতিক তারের সংযোগ লাইন ছিল। ছাদে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। এ সময় রুনিয়ার গায়ের জামায় আগুন ধরে যায়। সেই আগুন নিচে পড়ে দুটি ঘর আগুনে পুড়ে যায়।
রুনিয়ার চিৎকারে তার স্বামী মাহাবুল ইসলাম তাকে বাঁচাতে দ্রুত সেই ছাদে ওঠেন। তখন তিনিও দগ্ধ হন। এ ঘটনার খবর পেয়ে ফতুল্লার বিসিক ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করেন।
নিহত মাহাবুল ইসলামের মামা আলিম উদ্দিন জানান, তার ভাগনে মাহাবুল ইসলাম বিসিকের একটি গার্মেন্টে চাকরি করতেন। রুনিয়াও একই এলাকার একটি গার্মেন্টে চাকরি করতেন। সেই সুবাধে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত দুই মাসে আগে বাবা-মায়ের অবাধ্য হয়ে তারা বিয়ে করে সংসার শুরু করেন। ১৫ দিন হলো মাহাবুল ইসলামের পরিবার তাদের বিয়ে মেনে নেয় এবং তাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে। কিন্তু বিয়ের দুই মাসের মাথায় তাদের মর্মান্তিক মৃত্যু হলো।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে স্বামী-স্ত্রী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে বলে জানি। কিন্তু তারা মারা গেছে কি-না পরিবারের পক্ষ হতে কেউ জানায়নি। আমরা খোঁজ নিচ্ছি। সূত্র : আমাদেরসময়