ঢাকা ০৬:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভৈরবে ছয় মণ ওজনের মাছ দেখতে মানুষের ভিড়

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৮:৩১:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২০ ১৬৬ বার পড়া হয়েছে

২২ জানুয়ারি ২০২০, আজকের মেঘনা ডটকম, ডেস্ক রিপোর্ট :

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে বিরল প্রজাতির শাপলা পাতা মাছ ধরার পর কিশোরগঞ্জের ভৈরবে একই প্রজাতির ছয় মণ ওজনের মাছ ধরেছেন এক জেলে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই উপজেলার মেঘনা নদী অংশ থেকে মাছটি ধরা হয়। পরে উপজেলার নৈশকালীন মৎস্য আড়তে মাছটি বিক্রির করতে নিয়ে আসেন জেলে গণি মিয়া। এতে মাছটিকে এক নজর দেখতে মানুষরা ভিড় করেন।

এরপর মাছটি কেনার একক সামর্থ না থাকায় ৫০০ টাকা কেজি ধরে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন ওই জেলে। গণি ভৈরব শহরের জগন্নাথপুর দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা। তিনি ভৈরবের মেঘনা ও ব্রহ্মপুত্র নদে মাছ শিকার করেন।

তিনি জানান, প্রতিদিনের ন্যায় শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়ক সেতুর পাশে মেঘনা নদীর অংশে বড়শি ফেলেন। বিকেলে সহযোগীদের সঙ্গে নিয়ে বড়শি টেনে নদীর পাড়ে তোলার চেষ্টা করেন। মাছটি যখন পানিতে ভাসমান হয়, তখন তিনিসহ সব জেলেরা ভড়কে যান। পরে পর্যবেক্ষণ শেষে বিরল প্রজাতির শাপলা পাতা মাছ হিসেবে তারা শনাক্ত করেন। এরপরই মাছটি ধরে পূষণ এন্টারপ্রাইজে নিয়ে ওজন করা হয়। মাছটির ওজন হয় প্রায় ছয় মণ।

মাছ ব্যবসায়ী পূষণ জানান, বিরল প্রজাতির মাছটি কিনতে একক ক্রেতা পাওয়া যায়নি। পরে ৫০০ টাকা কেজি ধরে মাছটি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন গণি মিয়া। মাছটি এক লাখ টাকায় বিক্রি হবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।

ভৈরবের সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. লতিফুর রহমান জানান, শাপলা পাতা বা স্টিংরে মাছ একটি সামুদ্রিক মাছ। তবে উপকূলীয় এলাকায় বসবাস করে এরা। ভৈরবের মেঘনার সঙ্গে উপকূলীয় অঞ্চলের সম্পর্ক থাকায় মাছটি ধরা পড়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

ভৈরবে ছয় মণ ওজনের মাছ দেখতে মানুষের ভিড়

আপডেট সময় : ০৮:৩১:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২০

২২ জানুয়ারি ২০২০, আজকের মেঘনা ডটকম, ডেস্ক রিপোর্ট :

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে বিরল প্রজাতির শাপলা পাতা মাছ ধরার পর কিশোরগঞ্জের ভৈরবে একই প্রজাতির ছয় মণ ওজনের মাছ ধরেছেন এক জেলে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই উপজেলার মেঘনা নদী অংশ থেকে মাছটি ধরা হয়। পরে উপজেলার নৈশকালীন মৎস্য আড়তে মাছটি বিক্রির করতে নিয়ে আসেন জেলে গণি মিয়া। এতে মাছটিকে এক নজর দেখতে মানুষরা ভিড় করেন।

এরপর মাছটি কেনার একক সামর্থ না থাকায় ৫০০ টাকা কেজি ধরে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন ওই জেলে। গণি ভৈরব শহরের জগন্নাথপুর দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা। তিনি ভৈরবের মেঘনা ও ব্রহ্মপুত্র নদে মাছ শিকার করেন।

তিনি জানান, প্রতিদিনের ন্যায় শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়ক সেতুর পাশে মেঘনা নদীর অংশে বড়শি ফেলেন। বিকেলে সহযোগীদের সঙ্গে নিয়ে বড়শি টেনে নদীর পাড়ে তোলার চেষ্টা করেন। মাছটি যখন পানিতে ভাসমান হয়, তখন তিনিসহ সব জেলেরা ভড়কে যান। পরে পর্যবেক্ষণ শেষে বিরল প্রজাতির শাপলা পাতা মাছ হিসেবে তারা শনাক্ত করেন। এরপরই মাছটি ধরে পূষণ এন্টারপ্রাইজে নিয়ে ওজন করা হয়। মাছটির ওজন হয় প্রায় ছয় মণ।

মাছ ব্যবসায়ী পূষণ জানান, বিরল প্রজাতির মাছটি কিনতে একক ক্রেতা পাওয়া যায়নি। পরে ৫০০ টাকা কেজি ধরে মাছটি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন গণি মিয়া। মাছটি এক লাখ টাকায় বিক্রি হবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।

ভৈরবের সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. লতিফুর রহমান জানান, শাপলা পাতা বা স্টিংরে মাছ একটি সামুদ্রিক মাছ। তবে উপকূলীয় এলাকায় বসবাস করে এরা। ভৈরবের মেঘনার সঙ্গে উপকূলীয় অঞ্চলের সম্পর্ক থাকায় মাছটি ধরা পড়েছে।