কক্সবাজার আদালতে মামলা দায়ের সিনহার বোনের
- আপডেট সময় : ০৬:৫৩:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ অগাস্ট ২০২০ ১৮০ বার পড়া হয়েছে
৫ আগষ্ট ২০২০, আজকের মেঘনা ডটকম, ডেস্ক রিপোর্ট :Λ
সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান নিহতের ঘটনায় মামলা দায়েরের জন্য কক্সবাজার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার আবেদন দাখিল করেছেন তার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টেকনাফ উপজেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারহার আদালতে মামলাটি দায়ের করেন তিনি।
জানা গেছে, মামলায় বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর লিয়াকতকে প্রধান আসামি ও টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাসকে দ্বিতীয় আসামি করে আরো ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। অ্যাডভোকেট মো. মোস্তফার নেতৃত্বে এ মামলা দায়ের করা হয়।
টেকনাফ থানাকে এই মামলার এজাহার গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছেন উপজেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারহা। এছাড়া এজাহার নেয়ার পর সেটি আদালতকে অবহিত করার কথাও বলা হয়েছে। র্যাব-১৫ এর অধিনায়ককে মামলার তদন্তভার দিয়েছেন আদালত।
মামলা করে বের হয়ে আদাত চত্বরেই সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন অ্যাডভোকেট মো. মোস্তফা ও মামলার বাদী নিহত মেজর সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া। এদিকে সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা রাশেদ নিহতের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা শ্যামলাপুরে পরিদর্শনে গেছেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা থেকে এসে একটি মাইক্রোবাসে করে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সামনে পৌঁছান মেজর সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া। সেখানে অ্যাডভোকেট মো. মোস্তফার চেম্বারে অবস্থান করে মামলার প্রস্তুতি নেন তিনি।
তার সঙ্গে পরিবারের অন্য সদস্যরাও রয়েছেন।
শুক্রবার (৩১শে আগস্ট) রাত ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ওই ঘটনার পর প্রথমে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহা. শাহজাহান আলীকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হলেও পরে তা পুনর্গঠন করা হয়।
গত ২রা আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক পুনর্গঠন করা কমিটিতে প্রধান করা হয়েছে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে। কমিটিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের একজন প্রতিনিধি, রামু ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও কক্সবাজারের এরিয়া কমান্ডারের একজন প্রতিনিধি, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজির একজন প্রতিনিধি ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের একজন প্রতিনিধি রাখা হয়েছে। কমিটিকে সরেজমিনে তদন্ত করে ঘটনার কারণ, উৎস অনুসন্ধান এবং ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে তার করণীয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট মতামত দিতে বলা হয়েছে।
ওই ঘটনার পর ২রা আগস্ট কক্সবাজারে আসেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক ও অতিরিক্ত ডিআইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. জাকির হোসেন। সোমবার বিকালে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে টেকনাফ পরিদর্শন করেন ডিআইজি। কিন্তু ঘটনার বিষয়ে পুলিশের কোনো কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে কিছুই বলেননি।