ঢাকা ০১:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দিনে-দুপুরে কুপিয়ে রক্তাক্ত করলো ইউপি সদস্য ফারুককে

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ১০:১৪:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অক্টোবর ২০২০ ১৮২ বার পড়া হয়েছে

শাহারুখ আহমেদঃ সোনারগাঁ উপজেলার বারদী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত ইউপি সদস্য ওমর ফারুককে (৩৬) আড়াইহাজার থানাধীন শান্তিরবাজার এলাকায় মোঃ সোহেল এর মালিকানাধীন মেসার্স এস.কে টেলিকম নামক একটি দোকনের ভিতর ১৪/১০/২০২০ইং তারিখে দুপুর ১২ টার সময় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম ও রক্তাক্ত করে ভয়ংকর সন্ত্রাসী দল।

এজাহার অনুযায়ী হামলাকারীরা হলো, মোঃ আবুল কাশেমের ছেলে সন্ত্রাসী মোখলেস (৪৮) ও আবু হারেছ (৫২), মুছা ভূঁইয়ার ছেলে ডাকাত বাদল ভূঁইয়া (৩২), মোঃ আলমগীরের ছেলে সন্ত্রসী রাসেল মিয়া (২২),
ইসা মিয়ার ছেলে সন্ত্রসী শরীফ (২৪), মোঃ আহাদ আলীর ছেলে ডাকাত রমজান আলী (৩৫), মৃত আয়েত আলী ভূঁইয়ার ছেলে সন্ত্রসী মুছা ভূঁইয়া (৫৫), মোঃ অহেদ আলীর ছেলে সন্ত্রসী স্বপন (২২) উল্লেখ্য সকলেই উক্ত ইউনিয়নের চেঙ্গাকান্দীর বাসিন্দা। এছাড়া গোয়ালপাড়ার মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে ছিনতাইকারী শাহিন মুন্সি (৪৫) সহ আরো অজ্ঞাত ৬-৭ জন এই হামলায় সহযোগী হিসেবে সরাসরি যুক্ত ছিলো।

ইউপি সদস্য ওমর ফারুক বলেন, আমি বেশ কিছুক্ষণ যাবত এস.কে টেলিকমে অবস্থান করছিলাম, এসময় হঠাৎ স্থানীয় ১৫/১৬ জন সন্ত্রাসী রামদা, চাকু, ছেনা, চাপাটি, শাবল, লোহার রড, চাইনিজ কুড়াল ও কারো হাতে লাঠিসোঁটা এসকল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দোকানের ভিতর এসে আমার সাথে অভদ্র আচরণ করতে থাকে। একপর্যায়ে মোখলেস (৪৮) আমাকে মেরে ফেলার আদেশ করলে বাদল ভূঁইয়া (৩২) আমার মাথায় কোপ মেরে রক্তাক্ত করে, দ্বিতীয় বার আবারো অন্যান্যরা আমার মাথা, গলা ও বুকে আঘাত করতে চাইলে আমি সকল আঘাত দু’হাতের মাধ্যমে প্রতিহত করতে থাকায় দু’হাতে গুরুতর জখম হই। আরো কয়েকজন লাঠিসোঁটা দিয়ে শরীরের অন্যান্য স্থানে প্রহার করতে থাকে। এক সময় রমজান আলী (৩৫) আমার ডান পায়ে ও মোঃ স্বপন (২২) বাম পায়ে হাড়ভাঙা রক্তাক্ত জখম করে। এভাবে এলোপাতাড়ি মারধর করে ভয়ংকর জখম সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা-ফুলা করে।
তাছাড়া এজাহার বিবরণ অনুসারে সকলেই উক্ত দোকানে ভাংচুর করে প্রায় ৩০,০০০/- ( ত্রিশ হাজার)  টাকা ক্ষতি সাধন করে।  গোয়ালপাড়ার মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে শাহিন মুন্সি (৪৫) বিকাশের ক্যাশ ভেঙে প্রায় ২,৩০,০০০/- ( দুই লক্ষ ত্রিশ হাজার) টাকা ছিনতাই করে ও আবু হারেছ (৫২) ১০,০০০/- ( দশ হাজার)  টাকা মূল্যের পাঁচটি মোবাইল ছিনতাই করে। অবশেষে লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনাটি গোপন রাখার জন্য আমাকে প্রান নাশের হুমকি দিয়ে তারা প্রস্থান নেয়।
পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই আমাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে হামলা চালানো হয়, তবে গত কয়েকদিন আগে একটি রাজনৈতিক আলোচনা সভায় আমি বহু সংখ্যক লোক সহযোগে সেখানে উপস্থিত হই। তারা বিরোধী দলের সদস্য হওয়ায় বিষয়টি তাদের দৃষ্টিগোচর হয়, এরপর থেকেই তারা অধিক আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে।

পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ওমর ফারুককে সোনারগাঁ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে সন্ত্রাসীরা সরাসরি বাধা প্রয়োগ করায় তাকে নিকটস্থ থানা আড়াইহাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয় এবং ঘটনার পরদিন নারায়নগঞ্জ জেলার অধীন আড়াইহাজার থানায় চাচাতো ভাই মোঃ এছাক (৩২) বাদী হয়ে ১৪৩/ ৪৪৮/ ৩২৩/ ৩২৫/ ৩২৬/ ৩০৭/ ৪২৭/ ৩৮০/ ৫০৬/ ১১৪ পেনাল কোড ১৮৬০ ধারায় মামলা দায়ের করেন। এবিষয়ে আড়াইহাজার থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম বলেন অপরাধীদের সনাক্ত করে দ্রুত গ্রেফতার করা হবে, একজন অপরাধীকেও ছাড় দেয়া হবে না। তিনি আরো বলেন যেহেতু বাদী বিবাদী প্রায় সকলেই সোনারগাঁয়ের বাসিন্দা তাই প্রয়োজনে সোনারগাঁ থানার সহযোগিতা  আমরা নিবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

দিনে-দুপুরে কুপিয়ে রক্তাক্ত করলো ইউপি সদস্য ফারুককে

আপডেট সময় : ১০:১৪:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অক্টোবর ২০২০

শাহারুখ আহমেদঃ সোনারগাঁ উপজেলার বারদী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত ইউপি সদস্য ওমর ফারুককে (৩৬) আড়াইহাজার থানাধীন শান্তিরবাজার এলাকায় মোঃ সোহেল এর মালিকানাধীন মেসার্স এস.কে টেলিকম নামক একটি দোকনের ভিতর ১৪/১০/২০২০ইং তারিখে দুপুর ১২ টার সময় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম ও রক্তাক্ত করে ভয়ংকর সন্ত্রাসী দল।

এজাহার অনুযায়ী হামলাকারীরা হলো, মোঃ আবুল কাশেমের ছেলে সন্ত্রাসী মোখলেস (৪৮) ও আবু হারেছ (৫২), মুছা ভূঁইয়ার ছেলে ডাকাত বাদল ভূঁইয়া (৩২), মোঃ আলমগীরের ছেলে সন্ত্রসী রাসেল মিয়া (২২),
ইসা মিয়ার ছেলে সন্ত্রসী শরীফ (২৪), মোঃ আহাদ আলীর ছেলে ডাকাত রমজান আলী (৩৫), মৃত আয়েত আলী ভূঁইয়ার ছেলে সন্ত্রসী মুছা ভূঁইয়া (৫৫), মোঃ অহেদ আলীর ছেলে সন্ত্রসী স্বপন (২২) উল্লেখ্য সকলেই উক্ত ইউনিয়নের চেঙ্গাকান্দীর বাসিন্দা। এছাড়া গোয়ালপাড়ার মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে ছিনতাইকারী শাহিন মুন্সি (৪৫) সহ আরো অজ্ঞাত ৬-৭ জন এই হামলায় সহযোগী হিসেবে সরাসরি যুক্ত ছিলো।

ইউপি সদস্য ওমর ফারুক বলেন, আমি বেশ কিছুক্ষণ যাবত এস.কে টেলিকমে অবস্থান করছিলাম, এসময় হঠাৎ স্থানীয় ১৫/১৬ জন সন্ত্রাসী রামদা, চাকু, ছেনা, চাপাটি, শাবল, লোহার রড, চাইনিজ কুড়াল ও কারো হাতে লাঠিসোঁটা এসকল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দোকানের ভিতর এসে আমার সাথে অভদ্র আচরণ করতে থাকে। একপর্যায়ে মোখলেস (৪৮) আমাকে মেরে ফেলার আদেশ করলে বাদল ভূঁইয়া (৩২) আমার মাথায় কোপ মেরে রক্তাক্ত করে, দ্বিতীয় বার আবারো অন্যান্যরা আমার মাথা, গলা ও বুকে আঘাত করতে চাইলে আমি সকল আঘাত দু’হাতের মাধ্যমে প্রতিহত করতে থাকায় দু’হাতে গুরুতর জখম হই। আরো কয়েকজন লাঠিসোঁটা দিয়ে শরীরের অন্যান্য স্থানে প্রহার করতে থাকে। এক সময় রমজান আলী (৩৫) আমার ডান পায়ে ও মোঃ স্বপন (২২) বাম পায়ে হাড়ভাঙা রক্তাক্ত জখম করে। এভাবে এলোপাতাড়ি মারধর করে ভয়ংকর জখম সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা-ফুলা করে।
তাছাড়া এজাহার বিবরণ অনুসারে সকলেই উক্ত দোকানে ভাংচুর করে প্রায় ৩০,০০০/- ( ত্রিশ হাজার)  টাকা ক্ষতি সাধন করে।  গোয়ালপাড়ার মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে শাহিন মুন্সি (৪৫) বিকাশের ক্যাশ ভেঙে প্রায় ২,৩০,০০০/- ( দুই লক্ষ ত্রিশ হাজার) টাকা ছিনতাই করে ও আবু হারেছ (৫২) ১০,০০০/- ( দশ হাজার)  টাকা মূল্যের পাঁচটি মোবাইল ছিনতাই করে। অবশেষে লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনাটি গোপন রাখার জন্য আমাকে প্রান নাশের হুমকি দিয়ে তারা প্রস্থান নেয়।
পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই আমাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে হামলা চালানো হয়, তবে গত কয়েকদিন আগে একটি রাজনৈতিক আলোচনা সভায় আমি বহু সংখ্যক লোক সহযোগে সেখানে উপস্থিত হই। তারা বিরোধী দলের সদস্য হওয়ায় বিষয়টি তাদের দৃষ্টিগোচর হয়, এরপর থেকেই তারা অধিক আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে।

পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ওমর ফারুককে সোনারগাঁ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে সন্ত্রাসীরা সরাসরি বাধা প্রয়োগ করায় তাকে নিকটস্থ থানা আড়াইহাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয় এবং ঘটনার পরদিন নারায়নগঞ্জ জেলার অধীন আড়াইহাজার থানায় চাচাতো ভাই মোঃ এছাক (৩২) বাদী হয়ে ১৪৩/ ৪৪৮/ ৩২৩/ ৩২৫/ ৩২৬/ ৩০৭/ ৪২৭/ ৩৮০/ ৫০৬/ ১১৪ পেনাল কোড ১৮৬০ ধারায় মামলা দায়ের করেন। এবিষয়ে আড়াইহাজার থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম বলেন অপরাধীদের সনাক্ত করে দ্রুত গ্রেফতার করা হবে, একজন অপরাধীকেও ছাড় দেয়া হবে না। তিনি আরো বলেন যেহেতু বাদী বিবাদী প্রায় সকলেই সোনারগাঁয়ের বাসিন্দা তাই প্রয়োজনে সোনারগাঁ থানার সহযোগিতা  আমরা নিবো।