ঢাকা ০৮:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দক্ষিণ এশিয়ার নতুন ধনী ‘বাংলাদেশ’

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৮:৩০:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২০ ১৮৫ বার পড়া হয়েছে

বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশগুলোর অন্যতম বাংলাদেশ। বর্তমানে এ দেশ দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের অন্যতম ধনী দেশে পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের সবচেয়ে প্রভাবশালী ও বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ ভারতকে মাথাপিছু জিডিপিতে (মোট দেশজ উৎপাদন) পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ, যেখানে পাঁচ বছর আগেও ভারত বাংলাদেশের চেয়ে ২৫ শতাংশ এগিয়ে ছিল।

এই পরিবর্তনে বড় একটি ভূমিকা রেখেছে চলমান মহামারি করোনাভাইরাস। ভারত যখন করোনা নিয়ন্ত্রণে লড়াই করে যাচ্ছে, বাংলাদেশের তথ্যনির্ভর উদ্ভাবনী জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং দ্রুতবর্ধনশীল ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নয়ন অর্থনীতিকে ক্রমবর্ধমান থাকার সুযোগ করে দিয়েছে।

একটি দেশের সক্ষমতা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে শুধু মুদ্রা, রফতানি এবং শাসনের দিকে নজর দেয়ার পরিবর্তে এখন থেকে জননিরাপত্তা সক্ষমতা ও জাতীয় সুরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকেও প্রাধান্য দেয়া হবে। জিডিপি র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের এই বড় সাফল্যের ক্ষেত্রে কেবল নিজেদের প্রবৃদ্ধিই অবদান রেখেছে তা নয়, করোনা সংকট মোকাবিলায় জনস্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ভারতের ধারাবাহিক ব্যর্থতাও বেশ বড় ভূমিকা রেখেছে।
মহামারির মধ্যেও একটি দেশ কীভাবে তার অর্থনীতির স্রোতকে স্বাভাবিক রাখতে পারে, তার একটি উদাহরণ চীন। দেশটিতে জনগণের ক্রয় ক্ষমতা এরই মধ্যে মহামারির পূর্ব অবস্থায় ফিরে এসেছে এবং দেশটির জিডিপি হ্রাস পাওয়ার বদলে ত্রৈমাসিকের শেষ প্রান্তিকে এসে পাঁচ শতাংশ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
তবে চীন শুধুই একটি চূড়ান্ত উদাহরণ। এই দেশটি ছাড়াও বিশ্বে আরও অনেক দেশ আছে যারা চলমান মহামারি করোনা ভাইরাসকে সফলভাবে সামাল দিয়ে অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রেখেছে এবং এই দেশগুলোর থেকে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো অনেক কিছু শিখতে এবং ভুলত্রুটি এড়াতে পারে।
সূত্র: দ্য ডিপ্লোম্যাট

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

দক্ষিণ এশিয়ার নতুন ধনী ‘বাংলাদেশ’

আপডেট সময় : ০৮:৩০:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২০

বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশগুলোর অন্যতম বাংলাদেশ। বর্তমানে এ দেশ দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের অন্যতম ধনী দেশে পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের সবচেয়ে প্রভাবশালী ও বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ ভারতকে মাথাপিছু জিডিপিতে (মোট দেশজ উৎপাদন) পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ, যেখানে পাঁচ বছর আগেও ভারত বাংলাদেশের চেয়ে ২৫ শতাংশ এগিয়ে ছিল।

এই পরিবর্তনে বড় একটি ভূমিকা রেখেছে চলমান মহামারি করোনাভাইরাস। ভারত যখন করোনা নিয়ন্ত্রণে লড়াই করে যাচ্ছে, বাংলাদেশের তথ্যনির্ভর উদ্ভাবনী জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং দ্রুতবর্ধনশীল ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নয়ন অর্থনীতিকে ক্রমবর্ধমান থাকার সুযোগ করে দিয়েছে।

একটি দেশের সক্ষমতা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে শুধু মুদ্রা, রফতানি এবং শাসনের দিকে নজর দেয়ার পরিবর্তে এখন থেকে জননিরাপত্তা সক্ষমতা ও জাতীয় সুরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকেও প্রাধান্য দেয়া হবে। জিডিপি র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের এই বড় সাফল্যের ক্ষেত্রে কেবল নিজেদের প্রবৃদ্ধিই অবদান রেখেছে তা নয়, করোনা সংকট মোকাবিলায় জনস্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ভারতের ধারাবাহিক ব্যর্থতাও বেশ বড় ভূমিকা রেখেছে।
মহামারির মধ্যেও একটি দেশ কীভাবে তার অর্থনীতির স্রোতকে স্বাভাবিক রাখতে পারে, তার একটি উদাহরণ চীন। দেশটিতে জনগণের ক্রয় ক্ষমতা এরই মধ্যে মহামারির পূর্ব অবস্থায় ফিরে এসেছে এবং দেশটির জিডিপি হ্রাস পাওয়ার বদলে ত্রৈমাসিকের শেষ প্রান্তিকে এসে পাঁচ শতাংশ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
তবে চীন শুধুই একটি চূড়ান্ত উদাহরণ। এই দেশটি ছাড়াও বিশ্বে আরও অনেক দেশ আছে যারা চলমান মহামারি করোনা ভাইরাসকে সফলভাবে সামাল দিয়ে অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রেখেছে এবং এই দেশগুলোর থেকে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো অনেক কিছু শিখতে এবং ভুলত্রুটি এড়াতে পারে।
সূত্র: দ্য ডিপ্লোম্যাট