ঢাকা ১০:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বঙ্গবন্ধুর সরকারের অধীনে ৪শত টাকা বেতনে চাকরি করেছে জিয়া, ড. আবদুস সোবহান গোলাপ

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৩:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অক্টোবর ২০২০ ২০৬ বার পড়া হয়েছে

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বঙ্গবন্ধুর সরকারের অধীনে ৪শত টাকা বেতনে চাকরি করেছে জিয়াউর রহমান বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ।

মঙ্গলবার ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক কার্যালয়ে মৎস্যজীবি লীগের নবগঠিত কমিটির পরিচিত সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

সঠিক ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিল জিয়া ও এরশাদ। আওয়ামী লীগ এই নেতা বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দিয়েছেন এবং তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা হয়েছে। ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণ আজ ওয়াল্ড হেরিটেজে জায়গা পেয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সরকারের অধীনে ৪শত টাকার বেতনে চাকরি করেছিলো জিয়া। বিএনপি দাবি করে জিয়ার কথায় না কি দেশে স্বাধীনতা হয়েছে। ৪শত টাকার চাকরি জীবির কথায় কিভাবে দেশ স্বাধীন হয় ? তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু নাম যারা মুছে ফেলার চেষ্টা করছে যারা তারাই মূল ষড়যন্ত্রকারী। ইতিহাস প্রমাণ করেছে বঙ্গবন্ধু নাম মুছে ফেলা যায় না। আজ ঘরে ঘরে বঙ্গবন্ধুর আর্দশ ধারণ করে বঙ্গবন্ধু কর্মী গড়ে ওঠেছে। বঙ্গবন্ধুর যে নীতি ছিলো সেই নীতিতে সমুদ্র জয় করেছে বাংলাদেশ। পিছনের রাস্তা দিয়ে ক্ষমতার আসার দরজা বন্ধ হয়ে গেছে। কোনো অপশক্তি যেন শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা বাধগ্রস্ত করতে না পারে এজন্য সজাগ থাকার আহবান করেন তিনি।

সুযোগ সন্ধানী নেতাদের কাছ থেকে সর্তক থাকার আহবান আব্দুস সোবহান গোলাপ বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন লাখ কর্মী ছিলো। তারা এখন কোথায়? খালেদা জিয়ার জন্য একটি আন্দোলন করতে পারেনি বিএনপি। যে দল ক্ষমতায় থাকে কিছু লোক সেই দলে যোগ দেয়, এদের থেকে সাবধান। ত্যাগী নেতারা কখনো সুবিধা নেয়ার জন্য সংগঠন করে না। তারা সবসময় ত্যাগ স্বীকার করে দলের জন্য কাজ করে। আর সুবিধাবাদীরা ক্ষমতাসীন দলে যোগ দেয় সুবিধা নেয়ার জন্য।

তিনি আরো বলেন, বিএনপির জামায়াত জোট সরকারের আমলে নেতাকর্মীরা বাসায় ঘুমাতে পারেনি। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন বলেই এখন নেতাকর্মীরা বাসায় ঠিক মতো ঘুমাতে পারে। যুদ্ধাপরাধীদের সরকারি চাকরি দিয়েছে বিএনপি। যুদ্ধাপরাধীদের পৃষ্ঠপোষক হলো বিএনপি। সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে হবে।

সাধারণ জনগণের প্রতি বিনয়ী আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, সকল নেতাকর্মীদের সহনশীল ব্যবহার করতে হবে। কেউ যেন মনে কষ্ট না পায়। যাতে করে আগামী দিনে শেখ হাসিনা আবারও ক্ষমতায় আসতে পারে। নিজেদের মধ্যে কোনো বির্তক সৃষ্টি করা যাবে না, এজন্য ত্যাগ স্বীকার করতে হবে।

গোলাপ বলেন, ২১ বছর ক্ষমতা থেকে দেশের মানুষের জন্য কিছুই করেনি বিএনপি-জাতীয় পার্টি। ২১ বছরের উন্নয়ন আর শেখ হাসিনার বর্তমান ১১ বছরের উন্নয়ন আকাশ পাতাল পার্থক্য। শেখ হাসিনা কোনো ভোগ বিলাসের রাজনীতি করে না, বিএনপি ভোগ বিলাসে মগ্ন ছিলো বলেই দেশের উন্নয়ন করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা এদেশের নাগরিক কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা ক্ষমতা দখলকারী তারা কেউ এদেশের নাগরিক না। বিশ্বের মধ্যে একজন সৎ ব্যক্তি হলো শেখ হাসিনা।

বিএনপি কখনো আন্দোলনে বিশ্বাসী নয় উল্লেখ করে আব্দুস সোবহান গোলাপ বলেন, তারা আন্দোলন ডাক দিয়ে মাঠে থাকে না। তারা যড়যন্ত্রের রাজনীতি করে। খালেদা জিয়াকে জেল থেকে বের করার জন্য একটি আন্দোলন করতে পারেনি বিএনপি। আওয়ামী লীগ মানুষের জন্য রাজনীতি করে। দেশের জনগণের প্রিয় সংগঠন হলো আওয়ামী লীগ। তাই বিএনপিকে প্রত্যাখান করেছে জনগণ।

শেখ হাসিনা নিজে বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ সংগঠনটি গঠন করেছেন। এই সংগঠনের নেতাকর্মীরা তৃণমূল পর্যন্ত বিস্তৃত। শেখ হাসিনার শুভ দৃষ্টির নজরে আছে বলেই এই সংগঠনের নতুন করে কমিটি করা হয়েছে। শেখ হাসিনা ছাড়া কাউকে বাহবা দেয়ার দরকার নেই।

আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মো.সায়ীদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক লায়ন শেখ আজগর নস্কর এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কার্যকরী সভাপতি সাইফুল আলম মানিক, সহ-সভাপতি আবুল বাশার, আব্দুল গফুর চোকদার, মুহাম্মদ আলম, গিয়াস খান, মোহাম্মদ ইউনুস, মোঃ নাছির উদ্দিন মানিক, মঞ্জুর কাদের মোহান, মমতাজ খানম, নাসরিন আক্তার, সাজ্জাদুল হক লিকু সিকদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম, রফিকুল ইসলাম খান, ফিরোজ আহম্মেদ তালুকদার প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় সহযোগীতা করেন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ শফিউল আলম শফিক ও দপ্তর সম্পাদক এম.এইচ এনামুল হক রাজু।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

বঙ্গবন্ধুর সরকারের অধীনে ৪শত টাকা বেতনে চাকরি করেছে জিয়া, ড. আবদুস সোবহান গোলাপ

আপডেট সময় : ০৬:৩৩:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অক্টোবর ২০২০

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বঙ্গবন্ধুর সরকারের অধীনে ৪শত টাকা বেতনে চাকরি করেছে জিয়াউর রহমান বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ।

মঙ্গলবার ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক কার্যালয়ে মৎস্যজীবি লীগের নবগঠিত কমিটির পরিচিত সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

সঠিক ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিল জিয়া ও এরশাদ। আওয়ামী লীগ এই নেতা বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দিয়েছেন এবং তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা হয়েছে। ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণ আজ ওয়াল্ড হেরিটেজে জায়গা পেয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সরকারের অধীনে ৪শত টাকার বেতনে চাকরি করেছিলো জিয়া। বিএনপি দাবি করে জিয়ার কথায় না কি দেশে স্বাধীনতা হয়েছে। ৪শত টাকার চাকরি জীবির কথায় কিভাবে দেশ স্বাধীন হয় ? তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু নাম যারা মুছে ফেলার চেষ্টা করছে যারা তারাই মূল ষড়যন্ত্রকারী। ইতিহাস প্রমাণ করেছে বঙ্গবন্ধু নাম মুছে ফেলা যায় না। আজ ঘরে ঘরে বঙ্গবন্ধুর আর্দশ ধারণ করে বঙ্গবন্ধু কর্মী গড়ে ওঠেছে। বঙ্গবন্ধুর যে নীতি ছিলো সেই নীতিতে সমুদ্র জয় করেছে বাংলাদেশ। পিছনের রাস্তা দিয়ে ক্ষমতার আসার দরজা বন্ধ হয়ে গেছে। কোনো অপশক্তি যেন শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা বাধগ্রস্ত করতে না পারে এজন্য সজাগ থাকার আহবান করেন তিনি।

সুযোগ সন্ধানী নেতাদের কাছ থেকে সর্তক থাকার আহবান আব্দুস সোবহান গোলাপ বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন লাখ কর্মী ছিলো। তারা এখন কোথায়? খালেদা জিয়ার জন্য একটি আন্দোলন করতে পারেনি বিএনপি। যে দল ক্ষমতায় থাকে কিছু লোক সেই দলে যোগ দেয়, এদের থেকে সাবধান। ত্যাগী নেতারা কখনো সুবিধা নেয়ার জন্য সংগঠন করে না। তারা সবসময় ত্যাগ স্বীকার করে দলের জন্য কাজ করে। আর সুবিধাবাদীরা ক্ষমতাসীন দলে যোগ দেয় সুবিধা নেয়ার জন্য।

তিনি আরো বলেন, বিএনপির জামায়াত জোট সরকারের আমলে নেতাকর্মীরা বাসায় ঘুমাতে পারেনি। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন বলেই এখন নেতাকর্মীরা বাসায় ঠিক মতো ঘুমাতে পারে। যুদ্ধাপরাধীদের সরকারি চাকরি দিয়েছে বিএনপি। যুদ্ধাপরাধীদের পৃষ্ঠপোষক হলো বিএনপি। সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে হবে।

সাধারণ জনগণের প্রতি বিনয়ী আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, সকল নেতাকর্মীদের সহনশীল ব্যবহার করতে হবে। কেউ যেন মনে কষ্ট না পায়। যাতে করে আগামী দিনে শেখ হাসিনা আবারও ক্ষমতায় আসতে পারে। নিজেদের মধ্যে কোনো বির্তক সৃষ্টি করা যাবে না, এজন্য ত্যাগ স্বীকার করতে হবে।

গোলাপ বলেন, ২১ বছর ক্ষমতা থেকে দেশের মানুষের জন্য কিছুই করেনি বিএনপি-জাতীয় পার্টি। ২১ বছরের উন্নয়ন আর শেখ হাসিনার বর্তমান ১১ বছরের উন্নয়ন আকাশ পাতাল পার্থক্য। শেখ হাসিনা কোনো ভোগ বিলাসের রাজনীতি করে না, বিএনপি ভোগ বিলাসে মগ্ন ছিলো বলেই দেশের উন্নয়ন করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা এদেশের নাগরিক কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা ক্ষমতা দখলকারী তারা কেউ এদেশের নাগরিক না। বিশ্বের মধ্যে একজন সৎ ব্যক্তি হলো শেখ হাসিনা।

বিএনপি কখনো আন্দোলনে বিশ্বাসী নয় উল্লেখ করে আব্দুস সোবহান গোলাপ বলেন, তারা আন্দোলন ডাক দিয়ে মাঠে থাকে না। তারা যড়যন্ত্রের রাজনীতি করে। খালেদা জিয়াকে জেল থেকে বের করার জন্য একটি আন্দোলন করতে পারেনি বিএনপি। আওয়ামী লীগ মানুষের জন্য রাজনীতি করে। দেশের জনগণের প্রিয় সংগঠন হলো আওয়ামী লীগ। তাই বিএনপিকে প্রত্যাখান করেছে জনগণ।

শেখ হাসিনা নিজে বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ সংগঠনটি গঠন করেছেন। এই সংগঠনের নেতাকর্মীরা তৃণমূল পর্যন্ত বিস্তৃত। শেখ হাসিনার শুভ দৃষ্টির নজরে আছে বলেই এই সংগঠনের নতুন করে কমিটি করা হয়েছে। শেখ হাসিনা ছাড়া কাউকে বাহবা দেয়ার দরকার নেই।

আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মো.সায়ীদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক লায়ন শেখ আজগর নস্কর এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কার্যকরী সভাপতি সাইফুল আলম মানিক, সহ-সভাপতি আবুল বাশার, আব্দুল গফুর চোকদার, মুহাম্মদ আলম, গিয়াস খান, মোহাম্মদ ইউনুস, মোঃ নাছির উদ্দিন মানিক, মঞ্জুর কাদের মোহান, মমতাজ খানম, নাসরিন আক্তার, সাজ্জাদুল হক লিকু সিকদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম, রফিকুল ইসলাম খান, ফিরোজ আহম্মেদ তালুকদার প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় সহযোগীতা করেন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ শফিউল আলম শফিক ও দপ্তর সম্পাদক এম.এইচ এনামুল হক রাজু।