ঢাকা ১২:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শহীদ নূর হোসেন দিবস আজ

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৯:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর ২০২০ ১৫১ বার পড়া হয়েছে

১০ নভেম্বর ২০২০, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্ট

স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে জীবন্ত পোস্টার হয়ে রাজপথে নেমে এসেছিলেন যুবলীগ কর্মী নূর হোসেন। তার বুকে-পিঠে লেখা ছিল ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’ এই জ্বলন্ত স্লোগান।

স্বৈরাচার বিরোধী গণ-আন্দোলনের মিছিলে রাজধানী ঢাকার জিপিও’র সামনে জিরো পয়েন্টের (বর্তমান শহীদ নূর হোসেন স্কয়ার) কাছে গুলিতে শহীদ হন তিনি। দিনটি ছিল ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর।

 

শহীদ নূর হোসেন দিবস আজ।  সেদিনের নূর হোসেনের সেই আত্মাহুতি বৃথা যায়নি। নূর হোসেনের রক্তদানের মধ্য দিয়ে তৎকালীন স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন আরো বেগবান হয়। অব্যাহত লড়াই-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বৈরশাসকের পতন ঘটে। এরপর থেকে প্রতিবছর ১০ নভেম্বর যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ নূর হোসেন দিবস পালিত হয়ে আসছে।

শহীদ নূর হোসেনের মহান আত্মত্যাগের এই দিনটি দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে একটি বিরল ঘটনা।

নূর হোসেনের পৈত্রিক বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ঝাতবুনিয়া গ্রামে। মুক্তিযুদ্ধের পর তার পরিবার ঢাকায় চলে আসে। তার বাবা মুজিবুর রহমান অটোরিকশা চালক। মা মরিয়ম বিবি ছিলেন গৃহিণী। অর্থনৈতিক অসচ্ছলতার কারণে অষ্টম শ্রেণির পর নূর হোসেনের পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যায়। পরে বাবার পথ ধরে মোটরচালক হিসেবে প্রশিক্ষণ নেন তিনি। তারুণ্যে পা দিয়েই তিনি রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হন।

 

১৯৮৭ সালের ওইদিন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৫-দলীয় ঐক্যজোটের মিছিলে পুলিশের গুলিতে নূর হোসেন ছাড়াও যুবলীগের আরেক নেতা নূরুল হুদা বাবুল ও কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের ক্ষেতমজুর নেতা আমিনুল হুদা টিটো শহীদ হন।

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের এ দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।  দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শহীদের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শহীদ নূর হোসেন স্কয়ারে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, বিশেষ মোনাজাত, আলোচনা সভা ও সেমিনার।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি এক বিবৃতিতে আজ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে স্মরণীয় সাহসী পুরুষ শহীদ নূর হোসেন দিবস যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি মেনে পালনের জন্য আওয়ামী লীগ ও সব সহযোগী সংগঠনসমূহের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

শহীদ নূর হোসেন দিবস আজ

আপডেট সময় : ০৩:৫৯:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর ২০২০

১০ নভেম্বর ২০২০, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্ট

স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে জীবন্ত পোস্টার হয়ে রাজপথে নেমে এসেছিলেন যুবলীগ কর্মী নূর হোসেন। তার বুকে-পিঠে লেখা ছিল ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’ এই জ্বলন্ত স্লোগান।

স্বৈরাচার বিরোধী গণ-আন্দোলনের মিছিলে রাজধানী ঢাকার জিপিও’র সামনে জিরো পয়েন্টের (বর্তমান শহীদ নূর হোসেন স্কয়ার) কাছে গুলিতে শহীদ হন তিনি। দিনটি ছিল ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর।

 

শহীদ নূর হোসেন দিবস আজ।  সেদিনের নূর হোসেনের সেই আত্মাহুতি বৃথা যায়নি। নূর হোসেনের রক্তদানের মধ্য দিয়ে তৎকালীন স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন আরো বেগবান হয়। অব্যাহত লড়াই-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বৈরশাসকের পতন ঘটে। এরপর থেকে প্রতিবছর ১০ নভেম্বর যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ নূর হোসেন দিবস পালিত হয়ে আসছে।

শহীদ নূর হোসেনের মহান আত্মত্যাগের এই দিনটি দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে একটি বিরল ঘটনা।

নূর হোসেনের পৈত্রিক বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ঝাতবুনিয়া গ্রামে। মুক্তিযুদ্ধের পর তার পরিবার ঢাকায় চলে আসে। তার বাবা মুজিবুর রহমান অটোরিকশা চালক। মা মরিয়ম বিবি ছিলেন গৃহিণী। অর্থনৈতিক অসচ্ছলতার কারণে অষ্টম শ্রেণির পর নূর হোসেনের পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যায়। পরে বাবার পথ ধরে মোটরচালক হিসেবে প্রশিক্ষণ নেন তিনি। তারুণ্যে পা দিয়েই তিনি রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হন।

 

১৯৮৭ সালের ওইদিন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৫-দলীয় ঐক্যজোটের মিছিলে পুলিশের গুলিতে নূর হোসেন ছাড়াও যুবলীগের আরেক নেতা নূরুল হুদা বাবুল ও কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের ক্ষেতমজুর নেতা আমিনুল হুদা টিটো শহীদ হন।

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের এ দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।  দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শহীদের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শহীদ নূর হোসেন স্কয়ারে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, বিশেষ মোনাজাত, আলোচনা সভা ও সেমিনার।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি এক বিবৃতিতে আজ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে স্মরণীয় সাহসী পুরুষ শহীদ নূর হোসেন দিবস যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি মেনে পালনের জন্য আওয়ামী লীগ ও সব সহযোগী সংগঠনসমূহের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।