ঢাকা ০৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অনলাইনে ইম্পেরিয়াল কলেজের নবীনবরন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ১১:৫৩:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২০ ১৬৫ বার পড়া হয়েছে

ইমপিরিয়ালের ইতিহাসের প্রথমবারের মতো একটি ভিন্নধরণের অনুষ্ঠান হতে যাচ্ছে।যেখানে তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে এবং ইমপিরিয়াল পরিবারের সদস্যদের আপ্রাণ চেষ্টার ফলে আপনারা ঘরে বসে সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী একটা অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারবেন।নাচ,গান,নাটক,স্যারেদের শুভেচ্ছা বার্তাসহ সবকিছুই থাকছে প্রোগ্রামে।

এবারের প্রোগ্রামে ইমপিরিয়ালের শুধু দুই ব্যাচের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করছে না।এবারের নবীনবরণে ২০০৮ সালের শিক্ষার্থী থেকে ২০২২ প্রায় সবাই স্বেচ্ছায় অংশগ্রহণ করছে।আর এই অসম্ভব সম্ভব হতে যাচ্ছে তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণ এবং ইমপিরিয়াল কলেজের কয়েকজন কৃর্তী শিক্ষার্থীদের উদ্যগে গড়ে তোলা DIC ALL BATCH OFFICIAL GROUP এর মাধ্যমে।এই গ্রুপটির মাধ্যমে তারা ইমপিরিয়ালের সকল শিক্ষার্থীদের এক করতে সক্ষম হয়েছে।আগামী ৪ ডিসেম্বর বিকাল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত ২ঘন্টা চলবে প্রোগ্রামটি ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে।

ঢাকা ইমপিরিয়াল কলেজ।যার যাত্রা শুরু করে ১৯৯৫ সালের নভেম্বর মাসে ২৮ মিরপুর রোডস্থ ভাড়াবাড়িতে। এর মধ্যেই ঢাকা ইমপিরিয়াল কলেজ অতিক্রম করে ফেলেছে সাফল্যের পঁচিশটি বছর।

২০১২ সালের ৩ এপ্রিল রামপুরার আফতাবনগরে নিজস্ব ক্যামপাসে এই কলেজের নিজস্ব কার্যক্রম শুরু হয়।ইতোমধ্যেই নির্মিত হয়েছে ১,৫০,০০ আয়তনের সুপরিসর ৬ তলা ভবন।
২৫ বছরের পথপরিক্রমায় এটি এখন এক অনিবার্য সত্য যে আফতাবনগরে কলেজের নিজস্ব ভবন নির্মিত হওয়ার পর ঢাকা ইমপিরিয়াল কলেজ আজ বাংলাদেশের বেসরকারি কলেজগুলোর জন্য এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।

যুগের উৎকর্ষের সংগে তাল মিলিয়ে চলার পথনির্দেশনা দেয়ার লক্ষ্যেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল কলেজটি।শিক্ষার পাশাপাশি এ কলেজে রয়েছে শিক্ষার্থীদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের জন্য নানাবিধ ক্লাব।নন্দনকানন,ডিবেট,পাঠচক্র অন্যতম।ইম্পিরিয়াল কলেজের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো বিভিন্নরকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করা।স্বাধীনতা দিবস,বিজয় দিবস,পহেলা বৈশাখ,সরস্বতী পূজা সহ বিভিন্নধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। আর এসব অনুষ্ঠানে যোগাদান করে কলেজের শিক্ষার্থীরাই।এছাড়াও ইমপিরিয়ালের ইতিহাসে অন্যতম বড় অনুষ্ঠানটি হলো নবীনবরণ অনুষ্ঠান।১৯৯৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রত্যেকবারই নবীনদের আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেওয়া হয়েছে। নবীনবরণের অনুষ্ঠানেও অংশগ্রহণ করেছে কলেজের শিক্ষার্থীরাই।

নবীনদের দিয়েই নবীনবরণের অনুষ্ঠান করানোটাও ইম্পিরিয়ালের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য।তবে বর্তমান করোনা মহামারিতে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় নবীন বরণের বিষয়টি স্থগিত হয়ে ছিল এতোদিন।দেশের কোনো কলেজই যেখানে এই অবস্থায় নবীনদের বরণ করার কথা ভাবছে না সেখানে ইম্পিরিয়াল কলেজ এবং তার কিছু প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রি তাদের ঐতিহ্য ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করছে নবীনদের বরণ করে নেওয়ার(ব্যাচ ২০২২)অনলাইনের মাধ্যমে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

অনলাইনে ইম্পেরিয়াল কলেজের নবীনবরন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে

আপডেট সময় : ১১:৫৩:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২০

ইমপিরিয়ালের ইতিহাসের প্রথমবারের মতো একটি ভিন্নধরণের অনুষ্ঠান হতে যাচ্ছে।যেখানে তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে এবং ইমপিরিয়াল পরিবারের সদস্যদের আপ্রাণ চেষ্টার ফলে আপনারা ঘরে বসে সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী একটা অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারবেন।নাচ,গান,নাটক,স্যারেদের শুভেচ্ছা বার্তাসহ সবকিছুই থাকছে প্রোগ্রামে।

এবারের প্রোগ্রামে ইমপিরিয়ালের শুধু দুই ব্যাচের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করছে না।এবারের নবীনবরণে ২০০৮ সালের শিক্ষার্থী থেকে ২০২২ প্রায় সবাই স্বেচ্ছায় অংশগ্রহণ করছে।আর এই অসম্ভব সম্ভব হতে যাচ্ছে তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণ এবং ইমপিরিয়াল কলেজের কয়েকজন কৃর্তী শিক্ষার্থীদের উদ্যগে গড়ে তোলা DIC ALL BATCH OFFICIAL GROUP এর মাধ্যমে।এই গ্রুপটির মাধ্যমে তারা ইমপিরিয়ালের সকল শিক্ষার্থীদের এক করতে সক্ষম হয়েছে।আগামী ৪ ডিসেম্বর বিকাল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত ২ঘন্টা চলবে প্রোগ্রামটি ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে।

ঢাকা ইমপিরিয়াল কলেজ।যার যাত্রা শুরু করে ১৯৯৫ সালের নভেম্বর মাসে ২৮ মিরপুর রোডস্থ ভাড়াবাড়িতে। এর মধ্যেই ঢাকা ইমপিরিয়াল কলেজ অতিক্রম করে ফেলেছে সাফল্যের পঁচিশটি বছর।

২০১২ সালের ৩ এপ্রিল রামপুরার আফতাবনগরে নিজস্ব ক্যামপাসে এই কলেজের নিজস্ব কার্যক্রম শুরু হয়।ইতোমধ্যেই নির্মিত হয়েছে ১,৫০,০০ আয়তনের সুপরিসর ৬ তলা ভবন।
২৫ বছরের পথপরিক্রমায় এটি এখন এক অনিবার্য সত্য যে আফতাবনগরে কলেজের নিজস্ব ভবন নির্মিত হওয়ার পর ঢাকা ইমপিরিয়াল কলেজ আজ বাংলাদেশের বেসরকারি কলেজগুলোর জন্য এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।

যুগের উৎকর্ষের সংগে তাল মিলিয়ে চলার পথনির্দেশনা দেয়ার লক্ষ্যেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল কলেজটি।শিক্ষার পাশাপাশি এ কলেজে রয়েছে শিক্ষার্থীদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের জন্য নানাবিধ ক্লাব।নন্দনকানন,ডিবেট,পাঠচক্র অন্যতম।ইম্পিরিয়াল কলেজের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো বিভিন্নরকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করা।স্বাধীনতা দিবস,বিজয় দিবস,পহেলা বৈশাখ,সরস্বতী পূজা সহ বিভিন্নধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। আর এসব অনুষ্ঠানে যোগাদান করে কলেজের শিক্ষার্থীরাই।এছাড়াও ইমপিরিয়ালের ইতিহাসে অন্যতম বড় অনুষ্ঠানটি হলো নবীনবরণ অনুষ্ঠান।১৯৯৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রত্যেকবারই নবীনদের আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেওয়া হয়েছে। নবীনবরণের অনুষ্ঠানেও অংশগ্রহণ করেছে কলেজের শিক্ষার্থীরাই।

নবীনদের দিয়েই নবীনবরণের অনুষ্ঠান করানোটাও ইম্পিরিয়ালের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য।তবে বর্তমান করোনা মহামারিতে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় নবীন বরণের বিষয়টি স্থগিত হয়ে ছিল এতোদিন।দেশের কোনো কলেজই যেখানে এই অবস্থায় নবীনদের বরণ করার কথা ভাবছে না সেখানে ইম্পিরিয়াল কলেজ এবং তার কিছু প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রি তাদের ঐতিহ্য ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করছে নবীনদের বরণ করে নেওয়ার(ব্যাচ ২০২২)অনলাইনের মাধ্যমে।