ঢাকা ০২:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাওনা টাকা চাওয়ায় পিটিয়ে হত্যা

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর ২০২০ ১৮২ বার পড়া হয়েছে

২৬ নভেম্বর ২০২০, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

রাজধানীর দক্ষিণ শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনি এলাকায় পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে সুজন হাওলাদার (২২) নামের একজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।

শাহজাহানপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আবুল আনছার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বুধবার (২৫ নভেম্বর) সকালে সুজন তার বন্ধু মাসুমের সঙ্গে শাহজাহানপুর রেল কলোনিতে যায়। সেখানে পূর্ব শত্রুতার জেরে এরশাদ ও তার ভাইসহ পরিবারের লোকজন কাঠ, বাঁশ দিয়ে সুজনকে পিটিয়ে আহত করে। পরে তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্বজনরা। ঢামেক হাসপাতালে সুজনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পান্থপথে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সে তার মৃত্যু হয়।

খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ থানায় নিয়ে আসে। পরে পুলিশ মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। সুজনের পিঠ, কপাল ও কানের নিচে কাটা চিহ্ন পাওয়া গেছে। এছাড়া তার থুঁতনি ও গলায় ফোলা চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এসআই মো. আবুল আরও জানান, এ ঘটনায় তার পরিবার থানায় মামলা করেছে। অভিযুক্ত এরশাদের মা ও বোনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কি নিয়ে তাদের মধ্যে শত্রুতা ছিলো তা জানার চেষ্টা চলছে।

সুজন খিলগাঁওয়ের তারাবাগের দুই নম্বর রোড এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁওয়ে উপজেলার চৌরাপাড়ায়। চার ভাই, তিন বোনের মধ্যে সুজন দ্বিতীয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

পাওনা টাকা চাওয়ায় পিটিয়ে হত্যা

আপডেট সময় : ০৮:৫৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর ২০২০

২৬ নভেম্বর ২০২০, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

রাজধানীর দক্ষিণ শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনি এলাকায় পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে সুজন হাওলাদার (২২) নামের একজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।

শাহজাহানপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আবুল আনছার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বুধবার (২৫ নভেম্বর) সকালে সুজন তার বন্ধু মাসুমের সঙ্গে শাহজাহানপুর রেল কলোনিতে যায়। সেখানে পূর্ব শত্রুতার জেরে এরশাদ ও তার ভাইসহ পরিবারের লোকজন কাঠ, বাঁশ দিয়ে সুজনকে পিটিয়ে আহত করে। পরে তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্বজনরা। ঢামেক হাসপাতালে সুজনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পান্থপথে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সে তার মৃত্যু হয়।

খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ থানায় নিয়ে আসে। পরে পুলিশ মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। সুজনের পিঠ, কপাল ও কানের নিচে কাটা চিহ্ন পাওয়া গেছে। এছাড়া তার থুঁতনি ও গলায় ফোলা চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এসআই মো. আবুল আরও জানান, এ ঘটনায় তার পরিবার থানায় মামলা করেছে। অভিযুক্ত এরশাদের মা ও বোনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কি নিয়ে তাদের মধ্যে শত্রুতা ছিলো তা জানার চেষ্টা চলছে।

সুজন খিলগাঁওয়ের তারাবাগের দুই নম্বর রোড এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁওয়ে উপজেলার চৌরাপাড়ায়। চার ভাই, তিন বোনের মধ্যে সুজন দ্বিতীয়।