ঢাকা ১১:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সহকর্মীর দেওয়া আগুনে দগ্ধ যুবকের মৃত্যু

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ১১:৫০:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২০ ১৫৬ বার পড়া হয়েছে

২৮ নভেম্বর ২০২০, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

জীবন সংগ্রামে হেরে গেলেন রিয়াদ হোসেন (১৮)। সহকর্মীর দেওয়া অকটেনের আগুনে ঝলসে যাওয়া এই তরুণ শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

ঢামেক হাসপাতালে ফাঁড়ি ইনচার্জ ইন্সপেক্টর বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ‘লাশ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। শনিবার (২৮ নভেম্বর) ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে ।’

নিহতের বাবা হানিফ কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার ছেলে আর নেই। সে পৃথিবী থেকে চলে গেছে। তার এই মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

পুলিশ ও নিহতের স্বজনদের সঙ্গে আলাপে জানা গেছে শ্যামপুর জুরাইনের আহমেদ ফিলিং স্টেশনে ৪ নভেম্বর শিক্ষানবিশ অপারেটর হিসেবে চাকরি নেন রিয়াদ। কিন্তু তার কাজে যোগদান কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছিলেন না সহকর্মী ফাহাদ আহমেদ পাভেল।

পরে সে-সহ রনি ও ইমন মিলে ২৪ নভেম্বর ভোরে রিয়াদের গায়ে প্রথমে অকটেন ঢেলে দিয়াশলাইয়ের কাঠি দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে তার হাত, পা, মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান পুড়ে যায়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চারদিন বেঁচে থাকার প্রাণান্তকর লড়াই করেন। কিন্তু সেই লড়াইয়ে হেরে গিয়ে শুক্রবার রাতে পৃথিবী থেকে চলে যেতে হয় তাকে।

যাত্রাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাজহারুল ইসলাম জানান, এখন থানায় দায়ের করা মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে। সেক্ষেত্রে আসামিদের দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য চার্জশিট দেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

সহকর্মীর দেওয়া আগুনে দগ্ধ যুবকের মৃত্যু

আপডেট সময় : ১১:৫০:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২০

২৮ নভেম্বর ২০২০, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

জীবন সংগ্রামে হেরে গেলেন রিয়াদ হোসেন (১৮)। সহকর্মীর দেওয়া অকটেনের আগুনে ঝলসে যাওয়া এই তরুণ শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

ঢামেক হাসপাতালে ফাঁড়ি ইনচার্জ ইন্সপেক্টর বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ‘লাশ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। শনিবার (২৮ নভেম্বর) ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে ।’

নিহতের বাবা হানিফ কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার ছেলে আর নেই। সে পৃথিবী থেকে চলে গেছে। তার এই মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

পুলিশ ও নিহতের স্বজনদের সঙ্গে আলাপে জানা গেছে শ্যামপুর জুরাইনের আহমেদ ফিলিং স্টেশনে ৪ নভেম্বর শিক্ষানবিশ অপারেটর হিসেবে চাকরি নেন রিয়াদ। কিন্তু তার কাজে যোগদান কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছিলেন না সহকর্মী ফাহাদ আহমেদ পাভেল।

পরে সে-সহ রনি ও ইমন মিলে ২৪ নভেম্বর ভোরে রিয়াদের গায়ে প্রথমে অকটেন ঢেলে দিয়াশলাইয়ের কাঠি দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে তার হাত, পা, মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান পুড়ে যায়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চারদিন বেঁচে থাকার প্রাণান্তকর লড়াই করেন। কিন্তু সেই লড়াইয়ে হেরে গিয়ে শুক্রবার রাতে পৃথিবী থেকে চলে যেতে হয় তাকে।

যাত্রাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাজহারুল ইসলাম জানান, এখন থানায় দায়ের করা মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে। সেক্ষেত্রে আসামিদের দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য চার্জশিট দেওয়া হবে।