ঢাকা ০৫:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্ত্রী‌র বায়না মেটাতে একের পর এক মোটরসাইকেল চুরি

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৮:৩০:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ নভেম্বর ২০২০ ১৭৩ বার পড়া হয়েছে

৩০ নভেম্বর ২০২০, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

স্বামীর কাছে নিত্যনতুন জিনিস কিনে দেওয়ার আবদার স্ত্রী‌র। লকডাউনে কাজ চলে যাওয়ায় হাতে টাকাপয়সা নেই। শেষপর্যন্ত নিরুপায় হয়ে মোটরসাইকেল চুরির পথই বেছে নেয় ভারতের সুরাটের এক ব্যবসায়ী। আর এ কাজের জন্য শেষপর্যন্ত অবশ্য তাকে যেতে হলো জেলে। সম্প্রতি সুরাটের উতরণ থেকে বাইকচোর ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপরই সামনে এসেছে এই কাহিনি, যা জানতে পেরে অনেকেই অবাক।

ওই ব্যক্তির নাম বলবন্ত চৌহান। তিনি ভারতীয় রাজ্য গুজরাতের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী সুরাটের উতরানের বাসিন্দা। আগে হিরের কারিগর ছিলেন। কিন্তু করোনা আবহে কাজ চলে যায়। এর আগে মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা রোজগার করলেও, তা বন্ধ হয়ে যায়।

এদিকে, স্বামীর রোজগার না থাকলে কী হবে, স্ত্রী‌র চাহিদা দিনদিন বাড়তে থাকে। প্রতিদিনই কিছু না কিছু কিনে দেওয়ার বায়নাও করতে থাকেন। শেষপর্যন্ত নিরুপায় হয়ে টাকা জোগাড় করতে চুরির পথই বেছে নেয় বলবন্ত। চুরি করতে থাকেন একটার পর একটা বাইক। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। রবিবার পুলিশের জালে ধরা পড়েন তিনি। জেরায় নিজের দোষ স্বীকারও করেন। পুলিশ জানিয়েছে, কাপোদারা, ভারাচা, আমরোলি ও কাটাগ্রাম থেকে ৩০টিরও বেশি বাইক চুরি করেছিলেন বলবন্ত। বেশিরভাগই উদ্ধার করেছে পুলিশ। বাইকগুলো মূলত হিরের দোকান বা শপিং মলের সামনে থেকে চুরি করতের ওই ব্যক্তি। নিজে হিরের কারিগর হওয়ায় কোন সময় কর্মীরা কাজে আসেন, ভিড় বেশি হয় – সবই তার নখদর্পণে ছিল। সেই মতো পরিকল্পনা করেই চুরি করতেন বলবন্ত।

তদন্তে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, এর আগেও বাইক চুরি করেন তিনি। আদতে ভাবনগর জেলার জালিয়া গ্রামের বাসিন্দা বলবন্ত ২০১৭ সাল থেকেই টুকটাক বাইক চুরিতে হাত পাকিয়েছিল। ২০১৯ সালেও চারটি বাইক চুরি করেছিল। কিন্তু ২০২০ সালে কাজ চলে যাওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ২০টিরও বেশি বাইক চুরি করেন তিনি। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

স্ত্রী‌র বায়না মেটাতে একের পর এক মোটরসাইকেল চুরি

আপডেট সময় : ০৮:৩০:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ নভেম্বর ২০২০

৩০ নভেম্বর ২০২০, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

স্বামীর কাছে নিত্যনতুন জিনিস কিনে দেওয়ার আবদার স্ত্রী‌র। লকডাউনে কাজ চলে যাওয়ায় হাতে টাকাপয়সা নেই। শেষপর্যন্ত নিরুপায় হয়ে মোটরসাইকেল চুরির পথই বেছে নেয় ভারতের সুরাটের এক ব্যবসায়ী। আর এ কাজের জন্য শেষপর্যন্ত অবশ্য তাকে যেতে হলো জেলে। সম্প্রতি সুরাটের উতরণ থেকে বাইকচোর ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপরই সামনে এসেছে এই কাহিনি, যা জানতে পেরে অনেকেই অবাক।

ওই ব্যক্তির নাম বলবন্ত চৌহান। তিনি ভারতীয় রাজ্য গুজরাতের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী সুরাটের উতরানের বাসিন্দা। আগে হিরের কারিগর ছিলেন। কিন্তু করোনা আবহে কাজ চলে যায়। এর আগে মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা রোজগার করলেও, তা বন্ধ হয়ে যায়।

এদিকে, স্বামীর রোজগার না থাকলে কী হবে, স্ত্রী‌র চাহিদা দিনদিন বাড়তে থাকে। প্রতিদিনই কিছু না কিছু কিনে দেওয়ার বায়নাও করতে থাকেন। শেষপর্যন্ত নিরুপায় হয়ে টাকা জোগাড় করতে চুরির পথই বেছে নেয় বলবন্ত। চুরি করতে থাকেন একটার পর একটা বাইক। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। রবিবার পুলিশের জালে ধরা পড়েন তিনি। জেরায় নিজের দোষ স্বীকারও করেন। পুলিশ জানিয়েছে, কাপোদারা, ভারাচা, আমরোলি ও কাটাগ্রাম থেকে ৩০টিরও বেশি বাইক চুরি করেছিলেন বলবন্ত। বেশিরভাগই উদ্ধার করেছে পুলিশ। বাইকগুলো মূলত হিরের দোকান বা শপিং মলের সামনে থেকে চুরি করতের ওই ব্যক্তি। নিজে হিরের কারিগর হওয়ায় কোন সময় কর্মীরা কাজে আসেন, ভিড় বেশি হয় – সবই তার নখদর্পণে ছিল। সেই মতো পরিকল্পনা করেই চুরি করতেন বলবন্ত।

তদন্তে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, এর আগেও বাইক চুরি করেন তিনি। আদতে ভাবনগর জেলার জালিয়া গ্রামের বাসিন্দা বলবন্ত ২০১৭ সাল থেকেই টুকটাক বাইক চুরিতে হাত পাকিয়েছিল। ২০১৯ সালেও চারটি বাইক চুরি করেছিল। কিন্তু ২০২০ সালে কাজ চলে যাওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ২০টিরও বেশি বাইক চুরি করেন তিনি। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।