ঢাকা ০৮:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শম্পা আর ভ্যান চালাবে না, দায়িত্ব নিলেন প্রধানমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৬:১০:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ ডিসেম্বর ২০২০ ১৪৬ বার পড়া হয়েছে

২ ডিসেম্বর ২০২০, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

জামালপুরের শিশু শিক্ষার্থী ভ্যানচালক শম্পা খাতুনের পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশে জামালপুর শিশু শিক্ষার্থী ভ্যানচালক শম্পা খাতুন (১০)-এর খবর নিতে তার বাড়িতে যান জামালপুরের জেলা প্রশাসক।

জামালপুর সদর উপজেলার নাকাটি গ্রামের ভ্যান চালক শফিকুল ইসলাম ওরফে ভাসানীর দ্বিতীয় কন্যা শম্পা। সদর উপজেলার নাকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী সে। শফিকুল ইসলাম ওরফে ভাসানীর দুই কন্যার মধ্যে শম্পা ছোট। বড় কন্যার বিয়ে হয়েছে কয়েক বছর আগে। ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাতেন ভাসানী।

পাঁচ বছর আগে জামালপুর শহর থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনায় এক পা ভেঙে যায় শম্পার বাবা ভাসানীর। দীর্ঘদিন পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা করেছেন। সবকিছু বিক্রি করে ৭ লাখ টাকা খরচ করেও ভালো হয়নি তার পা। তাই অভাবগ্রস্ত সংসারের হাল ধরতে ও অসুস্থ বাবার চিকিৎসার খরচ যোগাতে ভ্যান চালান চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী শম্পা।

লেখাপড়ার পাশাপাশি ভ্যান চালিয়ে যা আয় হয় তা দিয়ে চলে বাবার চিকিৎসা আর সংসার। শম্পার ভ্যানচালানোর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে উঠে আসার সঙ্গে সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশে জামালপুরের জেলা প্রশাসক শম্পার বাসায় যান।

বুধবার (২ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জামালপুরের ডিসি শম্পাদের বাড়ি গিয়ে তার বাবাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে (পঙ্গু হাসপাতাল) পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এ পরিবারের থাকার জন্য পাকা ঘর তৈরির কাজও শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাংবাদিকদের প্রতি কৃজ্ঞতা প্রকাশ করে শিশু শম্পা বলে, “আমি আর ভ্যান চালাব না। এখন আমি লেখাপড়া করব।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক জানান, শম্পার বাবার চিকিৎসা ও পরিবারটি স্বাবলম্বী করতে যা প্রয়োজন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী করা হবে। এসময় জামালপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদা ইয়াসমিন জেলা প্রশাসকের সঙ্গে ছিলেন। এরপর জেলা প্রশাসক শিক্ষার্থী শম্পাকে ভ্যান না চালাতে নির্দেশ দেন। এবং শম্পার পরিবারকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সাহায্য সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

শম্পা আর ভ্যান চালাবে না, দায়িত্ব নিলেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৬:১০:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ ডিসেম্বর ২০২০

২ ডিসেম্বর ২০২০, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

জামালপুরের শিশু শিক্ষার্থী ভ্যানচালক শম্পা খাতুনের পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশে জামালপুর শিশু শিক্ষার্থী ভ্যানচালক শম্পা খাতুন (১০)-এর খবর নিতে তার বাড়িতে যান জামালপুরের জেলা প্রশাসক।

জামালপুর সদর উপজেলার নাকাটি গ্রামের ভ্যান চালক শফিকুল ইসলাম ওরফে ভাসানীর দ্বিতীয় কন্যা শম্পা। সদর উপজেলার নাকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী সে। শফিকুল ইসলাম ওরফে ভাসানীর দুই কন্যার মধ্যে শম্পা ছোট। বড় কন্যার বিয়ে হয়েছে কয়েক বছর আগে। ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাতেন ভাসানী।

পাঁচ বছর আগে জামালপুর শহর থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনায় এক পা ভেঙে যায় শম্পার বাবা ভাসানীর। দীর্ঘদিন পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা করেছেন। সবকিছু বিক্রি করে ৭ লাখ টাকা খরচ করেও ভালো হয়নি তার পা। তাই অভাবগ্রস্ত সংসারের হাল ধরতে ও অসুস্থ বাবার চিকিৎসার খরচ যোগাতে ভ্যান চালান চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী শম্পা।

লেখাপড়ার পাশাপাশি ভ্যান চালিয়ে যা আয় হয় তা দিয়ে চলে বাবার চিকিৎসা আর সংসার। শম্পার ভ্যানচালানোর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে উঠে আসার সঙ্গে সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশে জামালপুরের জেলা প্রশাসক শম্পার বাসায় যান।

বুধবার (২ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জামালপুরের ডিসি শম্পাদের বাড়ি গিয়ে তার বাবাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে (পঙ্গু হাসপাতাল) পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এ পরিবারের থাকার জন্য পাকা ঘর তৈরির কাজও শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাংবাদিকদের প্রতি কৃজ্ঞতা প্রকাশ করে শিশু শম্পা বলে, “আমি আর ভ্যান চালাব না। এখন আমি লেখাপড়া করব।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক জানান, শম্পার বাবার চিকিৎসা ও পরিবারটি স্বাবলম্বী করতে যা প্রয়োজন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী করা হবে। এসময় জামালপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদা ইয়াসমিন জেলা প্রশাসকের সঙ্গে ছিলেন। এরপর জেলা প্রশাসক শিক্ষার্থী শম্পাকে ভ্যান না চালাতে নির্দেশ দেন। এবং শম্পার পরিবারকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সাহায্য সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দেন।