ঢাকা ০৫:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিশু সামিউল হত্যা মামলার রায় পেছাল

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৯:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২০ ১৬৯ বার পড়া হয়েছে

৮ ডিসেম্বর ২০২০, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নবোদয় হাউজিংয়ে খন্দকার সামিউল আজিম ওয়াফি (৫) হত্যা মামলার রায়ের তারিখ পিছিয়ে আগামী ২০ ডিসেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) এ মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য ছিল। কিন্তু রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।

গত ২৩ নভেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের তারিখ ৮ ডিসেম্বর ধার্য করেছিলেন।

মামলাটিতে শিশু সামিউলের মা আয়েশা হুমায়রা এশা জামিনে ছিলেন। গত ২৩ নভেম্বর তিনি আদালতে হাজির হননি। আদালত জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এশার প্রেমিক শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কু (৪৩) পলাতক আছেন।

জানা গেছে, শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কুর সঙ্গে এশার অনৈতিক কর্মকাণ্ড দেখে ফেলায় ২০১০ সালের ২৩ জুন শিশু সামিউলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর লাশ গুম করতে ফ্রিজে ঢোকানো হয়। পরে লাশটি বস্তায় ঢুকিয়ে ২৪ জুন রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়।

সামিউল নবোদয় হাউজিংয়ের গ্রিনউড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ইংরেজি মাধ্যমে প্লে গ্রুপে পড়ত। ২৪ জুন সামিউলের লাশ আদাবরের নবোদয় হাউজিং এলাকা থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত শিশুর বাবা কে এ আজম বাদী হয়ে ওই দিনই আদাবর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এশা ও বাক্কু হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার ওসি কাজী শাহান হক ২০১২ সালের ২৫ অক্টোবর এশা ও বাক্কুর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ২২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

শিশু সামিউল হত্যা মামলার রায় পেছাল

আপডেট সময় : ০৫:৫৯:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২০

৮ ডিসেম্বর ২০২০, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নবোদয় হাউজিংয়ে খন্দকার সামিউল আজিম ওয়াফি (৫) হত্যা মামলার রায়ের তারিখ পিছিয়ে আগামী ২০ ডিসেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) এ মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য ছিল। কিন্তু রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।

গত ২৩ নভেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের তারিখ ৮ ডিসেম্বর ধার্য করেছিলেন।

মামলাটিতে শিশু সামিউলের মা আয়েশা হুমায়রা এশা জামিনে ছিলেন। গত ২৩ নভেম্বর তিনি আদালতে হাজির হননি। আদালত জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এশার প্রেমিক শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কু (৪৩) পলাতক আছেন।

জানা গেছে, শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কুর সঙ্গে এশার অনৈতিক কর্মকাণ্ড দেখে ফেলায় ২০১০ সালের ২৩ জুন শিশু সামিউলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর লাশ গুম করতে ফ্রিজে ঢোকানো হয়। পরে লাশটি বস্তায় ঢুকিয়ে ২৪ জুন রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়।

সামিউল নবোদয় হাউজিংয়ের গ্রিনউড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ইংরেজি মাধ্যমে প্লে গ্রুপে পড়ত। ২৪ জুন সামিউলের লাশ আদাবরের নবোদয় হাউজিং এলাকা থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত শিশুর বাবা কে এ আজম বাদী হয়ে ওই দিনই আদাবর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এশা ও বাক্কু হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার ওসি কাজী শাহান হক ২০১২ সালের ২৫ অক্টোবর এশা ও বাক্কুর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ২২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।