ঢাকা ০৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘মাঠের ঘটনায়’ ক্ষমা চাইলেন মুশফিক

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ১১:২০:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২০ ১৭৭ বার পড়া হয়েছে

১৫ ডিসেম্বর ২০২০, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

হারলেই বাদ, এমন সমীকরণ সামনে নিয়েই বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ টুর্নামেন্টের এলিমেনেটর রাউন্ডে ফরচুন বরিশালের মুখোমুখি হয়েছিলো বেক্সিমকো ঢাকা। এমন ম্যাচে স্বাভাবিকভাবেই চাপে থাকার কথা ক্রিকেটারদের। সেই চাপ যেন বুমেরাং হয়ে উঠলো ঢাকার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের জন্য। পুরো ম্যাচেই সতীর্থদের সঙ্গে উত্তেজিত আচরণ করতে দেখা গেছে তাকে। এমনকি মেজাজ হারিয়ে স্পিনার নাসুম আহমেদকে মারতে দুইবার হাতও উঠে গিয়েছিলো তার!

এ রকম ঘটনায় ভক্ত-দর্শকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন মুশফিকুর রহিম। ম্যাচ শেষেই তিনি নাসুমের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন বলেও জানালেন বেক্সিমকো ঢাকার অধিনায়ক ও দেশের সিনিয়র এই ক্রিকেটার। নিজের অফিসিয়াল ফেইসবুক পাতায় মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে নাসুমের সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল একটি ছবি দিয়ে মুশফিক লিখেন, এমন কিছু আর ভবিষ্যতে করবেন না। ‘প্রথমেই আমি আমার সব ভক্ত ও দর্শকের কাছে ক্ষমা চাই গতকালের ম্যাচের ঘটনার জন্য। ম্যাচের পরই সতীর্থ নাসুমের কাছে আমি ক্ষমা চেয়েছি। দ্বিতীয়ত, আমি স্রষ্টার কাছেও ক্ষমা প্রার্থনা করছি। সবসময়ই মনে রাখার চেষ্টা করি, আমি সবকিছুর ওপরে একজন মানুষ এবং মাঠে যে আচরণ কালকে দেখিয়েছি, তা গ্রহণযোগ্য নয়। কথা দিচ্ছি, নিকট ভবিষ্যতে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি মাঠের ভেতরে-বাইরে আর হবে না।’

এর আগে, সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে মেজাজ হারান মুশফিক। নাসুমকে মারতে উদ্যত হন দুই দফায়। ১ম ঘটনাটা বরিশালের ইনিংসের ১৩ তম ওভারের। নাসুমকে বিশাল ছক্কা মেরেছিলেন আফিফ। নাসুমের ছক্কা খাওয়াতে মুশফিক ছিলেন বিরক্ত। পরের বলেই আফিফ মিডউইকেটে বল ঠেলে সিঙ্গেল নিয়েছেন। তখন নিজের পজিশন ছেড়ে বোলিং কুড়িয়ে আনতে যান নাসুম ও মুশফিক। তখন বলটি হাতে তুলে নিয়েছিলেন মুশফিক-ই, কিন্তু উত্তেজিত মুশফিক বল হাতে নিয়ে উইকেটে না মেরে প্রথমে নাসুমকে মারার জন্য উদ্যত হন!

পরের ঘটনা ১৭তম ওভারে। শফিকুলের বলে আফিফ উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন। সেটি ধরতে উইকেটের পেছন থেকেই ছুটে যান মুশফিক। ওই ক্যাচ ধরতে ছুটছিলেন নাসুমও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নাসুম দাঁড়িয়ে থেকে মুশফিককে ক্যাচ নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। আফিফের ক্যাচ ধরে মুশফিক ফের একই ভঙ্গিতে নাসুমকে মারার জন্য উদ্যত হয়েছিলেন!

তখন স্বাভাবিকভাবেই অধিনায়কের কাছ থেকে এমন আচরণ পেয়ে বিস্মিত ছিলেন নাসুম। উইকেট পেয়ে যেখানে উল্লাস করার কথা, উল্টো নাসুম পেলেন ‘অপ্রত্যাশিত’ আচরণ। যা ক্রিকেটের চেতনার সঙ্গে বড্ড বেমানান। অবশ্য এলিমেনেটর ম্যাচে কেবল নাসুমের সঙ্গেই মুশফিক এমন আচরণ করেননি। পুরো ম্যাচ জুড়েই উইকেটের পেছন থেকে বাজে আচরণ করতে দেখা গেছে তাকে!

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

‘মাঠের ঘটনায়’ ক্ষমা চাইলেন মুশফিক

আপডেট সময় : ১১:২০:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২০

১৫ ডিসেম্বর ২০২০, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

হারলেই বাদ, এমন সমীকরণ সামনে নিয়েই বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ টুর্নামেন্টের এলিমেনেটর রাউন্ডে ফরচুন বরিশালের মুখোমুখি হয়েছিলো বেক্সিমকো ঢাকা। এমন ম্যাচে স্বাভাবিকভাবেই চাপে থাকার কথা ক্রিকেটারদের। সেই চাপ যেন বুমেরাং হয়ে উঠলো ঢাকার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের জন্য। পুরো ম্যাচেই সতীর্থদের সঙ্গে উত্তেজিত আচরণ করতে দেখা গেছে তাকে। এমনকি মেজাজ হারিয়ে স্পিনার নাসুম আহমেদকে মারতে দুইবার হাতও উঠে গিয়েছিলো তার!

এ রকম ঘটনায় ভক্ত-দর্শকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন মুশফিকুর রহিম। ম্যাচ শেষেই তিনি নাসুমের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন বলেও জানালেন বেক্সিমকো ঢাকার অধিনায়ক ও দেশের সিনিয়র এই ক্রিকেটার। নিজের অফিসিয়াল ফেইসবুক পাতায় মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে নাসুমের সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল একটি ছবি দিয়ে মুশফিক লিখেন, এমন কিছু আর ভবিষ্যতে করবেন না। ‘প্রথমেই আমি আমার সব ভক্ত ও দর্শকের কাছে ক্ষমা চাই গতকালের ম্যাচের ঘটনার জন্য। ম্যাচের পরই সতীর্থ নাসুমের কাছে আমি ক্ষমা চেয়েছি। দ্বিতীয়ত, আমি স্রষ্টার কাছেও ক্ষমা প্রার্থনা করছি। সবসময়ই মনে রাখার চেষ্টা করি, আমি সবকিছুর ওপরে একজন মানুষ এবং মাঠে যে আচরণ কালকে দেখিয়েছি, তা গ্রহণযোগ্য নয়। কথা দিচ্ছি, নিকট ভবিষ্যতে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি মাঠের ভেতরে-বাইরে আর হবে না।’

এর আগে, সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে মেজাজ হারান মুশফিক। নাসুমকে মারতে উদ্যত হন দুই দফায়। ১ম ঘটনাটা বরিশালের ইনিংসের ১৩ তম ওভারের। নাসুমকে বিশাল ছক্কা মেরেছিলেন আফিফ। নাসুমের ছক্কা খাওয়াতে মুশফিক ছিলেন বিরক্ত। পরের বলেই আফিফ মিডউইকেটে বল ঠেলে সিঙ্গেল নিয়েছেন। তখন নিজের পজিশন ছেড়ে বোলিং কুড়িয়ে আনতে যান নাসুম ও মুশফিক। তখন বলটি হাতে তুলে নিয়েছিলেন মুশফিক-ই, কিন্তু উত্তেজিত মুশফিক বল হাতে নিয়ে উইকেটে না মেরে প্রথমে নাসুমকে মারার জন্য উদ্যত হন!

পরের ঘটনা ১৭তম ওভারে। শফিকুলের বলে আফিফ উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন। সেটি ধরতে উইকেটের পেছন থেকেই ছুটে যান মুশফিক। ওই ক্যাচ ধরতে ছুটছিলেন নাসুমও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নাসুম দাঁড়িয়ে থেকে মুশফিককে ক্যাচ নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। আফিফের ক্যাচ ধরে মুশফিক ফের একই ভঙ্গিতে নাসুমকে মারার জন্য উদ্যত হয়েছিলেন!

তখন স্বাভাবিকভাবেই অধিনায়কের কাছ থেকে এমন আচরণ পেয়ে বিস্মিত ছিলেন নাসুম। উইকেট পেয়ে যেখানে উল্লাস করার কথা, উল্টো নাসুম পেলেন ‘অপ্রত্যাশিত’ আচরণ। যা ক্রিকেটের চেতনার সঙ্গে বড্ড বেমানান। অবশ্য এলিমেনেটর ম্যাচে কেবল নাসুমের সঙ্গেই মুশফিক এমন আচরণ করেননি। পুরো ম্যাচ জুড়েই উইকেটের পেছন থেকে বাজে আচরণ করতে দেখা গেছে তাকে!