ঢাকা ১২:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিলেটে অটোরিকশা ধর্মঘটে যাত্রীদের দুর্ভোগ

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৭:৩০:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২০ ১৬৮ বার পড়া হয়েছে

২১ ডিসেম্বর ২০২০, আজকের মেঘনা. কম, নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট:

সিএনজিচালিত অটোরিকশায় গ্রিল (লোহার দরজা) সংযোজনের সিদ্ধান্ত বাতিলসহ পাঁচ দফা দাবিতে সিলেট জেলায় চলমান ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের শুরুর দিনে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।

সোমবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে নগরীর সব কয়টি মোড়সহ জেলার বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নেন অটোরিকশার শ্রমিকরা। সিএনজি অটোরিকশা চললেই বাধার সৃষ্টি করেন তারা। ফলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সাধারণ মানুষ।

অটোরিকশা না থাকায় নগরীতে রিকশাচালকরা ভাড়া বাড়িয়ে দেন। ন্যূনতম দূরত্ব অতিক্রম করতেও অতিরিক্ত ভাড়া হাঁকেন তারা। ফলে অনেককে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।

সিলেট জেলা সিএনজিচালিত অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি. নং-চট্ট-৭০৭) ও সিলেট জেলা অটোরিকশা/অটোটেম্পু শ্রমিক জোটের (রেজি. নং-চট্ট-২০৯৭) সমন্বয়ে গঠিত ঐক্য পরিষদের ডাকে ধর্মঘট পালন করছেন শ্রমিকরা।

সিলেট জেলা সিএনজিচালিত অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাকারিয়া আহমদ বলেন, ঢাকা, চট্টগ্রাম ছাড়া অধিকাংশ জেলায় সিএনজিতে গ্রিল নেই। গ্রিল সংযোজনের সিদ্ধান্ত বাতিল মীমাংসিত বিষয়। এরপরও এটি চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটিসহ পাঁচ দফা দাবিতে তারা ধর্মঘট করছেন। দাবি আদায় না হলে আগামী ২৩ ডিসেম্বর সভা শেষে সিলেট মহাসড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে, সিলেটের সব পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল থেকে সিলেট, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলায় ‘বৃহত্তর সিলেট পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের’ ডাকে ৭২ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট শুরু হবে। এর ফলে টানা চারদিনের পরিবহন ধর্মঘটের কবলে পড়বে পুরো সিলেট অঞ্চল।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

সিলেটে অটোরিকশা ধর্মঘটে যাত্রীদের দুর্ভোগ

আপডেট সময় : ০৭:৩০:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২০

২১ ডিসেম্বর ২০২০, আজকের মেঘনা. কম, নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট:

সিএনজিচালিত অটোরিকশায় গ্রিল (লোহার দরজা) সংযোজনের সিদ্ধান্ত বাতিলসহ পাঁচ দফা দাবিতে সিলেট জেলায় চলমান ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের শুরুর দিনে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।

সোমবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে নগরীর সব কয়টি মোড়সহ জেলার বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নেন অটোরিকশার শ্রমিকরা। সিএনজি অটোরিকশা চললেই বাধার সৃষ্টি করেন তারা। ফলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সাধারণ মানুষ।

অটোরিকশা না থাকায় নগরীতে রিকশাচালকরা ভাড়া বাড়িয়ে দেন। ন্যূনতম দূরত্ব অতিক্রম করতেও অতিরিক্ত ভাড়া হাঁকেন তারা। ফলে অনেককে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।

সিলেট জেলা সিএনজিচালিত অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি. নং-চট্ট-৭০৭) ও সিলেট জেলা অটোরিকশা/অটোটেম্পু শ্রমিক জোটের (রেজি. নং-চট্ট-২০৯৭) সমন্বয়ে গঠিত ঐক্য পরিষদের ডাকে ধর্মঘট পালন করছেন শ্রমিকরা।

সিলেট জেলা সিএনজিচালিত অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাকারিয়া আহমদ বলেন, ঢাকা, চট্টগ্রাম ছাড়া অধিকাংশ জেলায় সিএনজিতে গ্রিল নেই। গ্রিল সংযোজনের সিদ্ধান্ত বাতিল মীমাংসিত বিষয়। এরপরও এটি চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটিসহ পাঁচ দফা দাবিতে তারা ধর্মঘট করছেন। দাবি আদায় না হলে আগামী ২৩ ডিসেম্বর সভা শেষে সিলেট মহাসড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে, সিলেটের সব পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল থেকে সিলেট, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলায় ‘বৃহত্তর সিলেট পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের’ ডাকে ৭২ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট শুরু হবে। এর ফলে টানা চারদিনের পরিবহন ধর্মঘটের কবলে পড়বে পুরো সিলেট অঞ্চল।