ঢাকা ০২:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রেমিকার বাড়ির ট্রাংকে লুকিয়ে প্রাণ গেলো প্রেমিকের

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ১১:৫৯:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২০ ১৫৮ বার পড়া হয়েছে

২৪ ডিসেম্বর ২০২০, আজকের মেঘনা. কম, মুন্সিগঞ্জ সংবাদদাতা:

মুন্সীগঞ্জের সদরে সেপটিক ট্যাংক থেকে কাজী রফিকুল ইসলাম রনি (৩৮) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার রামপালের শিকদারবাড়ির একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত কাজী রফিকুল ইসলাম রনি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার লালপুর এলাকার মৃত কাজী জাহের উদ্দিনের ছেলে।

এর আগে গত ২ নভেম্বর নিখোঁজ হন রনি। নিখোঁজের পর অনেক খোঁজ করে তাকে না পেয়ে গত ৬ নভেম্বর তার ছোট ভাই মো. আমিনুল ইসলাম ফতুল্লা থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন।

এদিকে এ ঘটনায় নিহতের খালা রুমা বেগম (৫১) ও গৃহকর্মী আম্বিয়াকে (৩২) আটক করেছে পুলিশ। এ সময় আটক রুমা বেগম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

সদর থানার ওসি মো. আবুবকর সিদ্দিক জানান, কাজী রফিকুল ইসলাম রনির সঙ্গে তার দূরসম্পর্কের খালা রুমা বেগমের ২৬ বছর ধরে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিলো। রুমার স্বামী জসিম উদ্দিন খন্দকার ঢাকার বাড্ডায় থাকেন। রনি কথিত খালার বাড়ি যেতেন এবং সেখানে লুকিয়ে রাতযাপন করতেন।

একপর্যায়ে রনির অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয়, এতে বাধ সাধেন রুমা। এজন্য তাকে জোর করে নিজের বাড়িতে নিয়ে রাখতেন তিনি।

ঘটনার দিন গত ২ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এক সবজি বিক্রেতা দেখে ফেলবে এই লোকলজ্জার ভয়ে ঘরের ভেতর একটি কাপড় রাখার ট্রাংকের ভেতর লুকান রনি। একপর্যায়ে ট্রাংক লক হয়ে যায়।

২ ঘণ্টা পর রুমা ট্রাংক খুলে দেখেন রনি মারা গেছেন। সারাদিন এবং রাত পেরিয়ে পরদিন ভোরে রনির মরদেহ রুমা এবং আম্বিয়া সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে ফেলে দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

প্রেমিকার বাড়ির ট্রাংকে লুকিয়ে প্রাণ গেলো প্রেমিকের

আপডেট সময় : ১১:৫৯:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২০

২৪ ডিসেম্বর ২০২০, আজকের মেঘনা. কম, মুন্সিগঞ্জ সংবাদদাতা:

মুন্সীগঞ্জের সদরে সেপটিক ট্যাংক থেকে কাজী রফিকুল ইসলাম রনি (৩৮) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার রামপালের শিকদারবাড়ির একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত কাজী রফিকুল ইসলাম রনি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার লালপুর এলাকার মৃত কাজী জাহের উদ্দিনের ছেলে।

এর আগে গত ২ নভেম্বর নিখোঁজ হন রনি। নিখোঁজের পর অনেক খোঁজ করে তাকে না পেয়ে গত ৬ নভেম্বর তার ছোট ভাই মো. আমিনুল ইসলাম ফতুল্লা থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন।

এদিকে এ ঘটনায় নিহতের খালা রুমা বেগম (৫১) ও গৃহকর্মী আম্বিয়াকে (৩২) আটক করেছে পুলিশ। এ সময় আটক রুমা বেগম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

সদর থানার ওসি মো. আবুবকর সিদ্দিক জানান, কাজী রফিকুল ইসলাম রনির সঙ্গে তার দূরসম্পর্কের খালা রুমা বেগমের ২৬ বছর ধরে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিলো। রুমার স্বামী জসিম উদ্দিন খন্দকার ঢাকার বাড্ডায় থাকেন। রনি কথিত খালার বাড়ি যেতেন এবং সেখানে লুকিয়ে রাতযাপন করতেন।

একপর্যায়ে রনির অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয়, এতে বাধ সাধেন রুমা। এজন্য তাকে জোর করে নিজের বাড়িতে নিয়ে রাখতেন তিনি।

ঘটনার দিন গত ২ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এক সবজি বিক্রেতা দেখে ফেলবে এই লোকলজ্জার ভয়ে ঘরের ভেতর একটি কাপড় রাখার ট্রাংকের ভেতর লুকান রনি। একপর্যায়ে ট্রাংক লক হয়ে যায়।

২ ঘণ্টা পর রুমা ট্রাংক খুলে দেখেন রনি মারা গেছেন। সারাদিন এবং রাত পেরিয়ে পরদিন ভোরে রনির মরদেহ রুমা এবং আম্বিয়া সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে ফেলে দেন।