সাড়ে ৩ মাস পর পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দিয়েছে ভারত
- আপডেট সময় : ০৯:৫০:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২০ ১৫৩ বার পড়া হয়েছে
২৯ ডিসেম্বর ২০২০, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ
অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেওয়ার ৩ মাস ১৫ দিন পর আবারও বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দিয়েছে ভারত সরকার। কোনও ধরনের মূল্য নির্ধারণ ছাড়াই আগামী ১ জানুয়ারি থেকে পেঁয়াজ রফতানির ঘোষণা দিয়েছে ভারত সরকার।
সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগের মহাপরিচালক অমিত ইয়াদব স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়। রাতেই এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনের কপি দিয়ে পেঁয়াজ রফতানি শুরুর বিষয়টি ভারতীয় রফতানিকারকরা বাংলাদেশি আমদানিকারকদের জানিয়েছেন।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মোবারক হোসেন ও সি আ্যন্ড এফ এজেন্ট মাহবুব হোসেন জানান, পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ ঘোষণার ৩ মাস ১৫ দিন পর আবারও ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দিয়েছে বলে সোমবার রাতে একটি পত্রের কপি দিয়ে ভারতীয় রফতানিকারকরা আমাদের জানিয়েছেন। একইসঙ্গে পেঁয়াজ রফতানির ক্ষেত্রে কোনও মূল্য নির্ধারণ করা হয়নি। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে এই পেঁয়াজ রফতানি করা হবে বলে ভারতীয় রফতানিকারকরা জানিয়েছেন। অনুমতি পাওয়ায় পেঁয়াজ আমদানির জন্য এলসি খোলার প্রস্তুতি নিয়েছি। আগামীকাল পেঁয়াজের আইপি খোলাসহ এ সংক্রান্ত সকল প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে ব্যাংকগুলো থেকে এলসি খুলবো। তবে যেহেতু পেঁয়াজ রফতানির ক্ষেত্রে নুন্যতম কোনও মূল্য নির্ধারণ করা হয়নি, তাতে করে আমদানিকারকরা যে দামে পেঁয়াজ কিনবে সেই দামেই আমদানি করতে পারবে। তবে প্রতি টন পেঁয়াজ ২শ, থেকে আড়াইশ মার্কিন ডলার মূল্যে এলসি খোলা হবে বলেও তিনি জানান। এদিকে ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের কারণে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দামের যে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বর্তমানে আমদানির অনুমতি দেওয়ায় পেঁয়াজের দাম আগের মতো অবস্থায় চলে আসবে।
প্রসঙ্গত, অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারত। এতে করে দেশে প্রবেশের অপেক্ষায় ভারতের অভ্যন্তরে আটকা পড়ে ২৫০ পেঁয়াজবাহী ট্রাক। আরও আটকা পড়ে আমদানির জন্য খোলা ১০ হাজার টনের মতো এলসি করা পেঁয়াজ। এর পাঁচদিন পর ১৯ সেপ্টেম্বর অনুমতি সাপেক্ষে পূর্বের টেন্ডারকৃত ১১টি ট্রাকে ২৪৬টন পেঁয়াজ রফতানি করে যার অধিকাংশ পেঁয়াজ পচা নষ্ট হওয়ায় পুঁজি হারিয়ে ব্যাপকভাবে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন বন্দরের আমদানিকারকরা। যদিও এর পর থেকেই পেঁয়াজ আমদানির জন্য খোলা এলসিগুলোর বিপরীতে পেঁয়াজ রফতানি করতে ব্যবসায়ীরা ভারতীয় ব্যবসায়ীদের চাপ প্রয়োগ করে আসছিলেন।