ঢাকা ০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বোনের বাড়িতে ভাইয়ের ডাকাতি

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ১১:২৭:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২০ ১৬৩ বার পড়া হয়েছে

৩০ ডিসেম্বর ২০২০, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের বাসভবনের কয়েক শ গজ দূরে এক প্রবাসীর বাড়িতে দিনদুপুরে ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রবাসীরই চাচাতো শ্যালক। ডাকাতির সময় ব্যাটারি দিয়ে সহায়তা করা এক শিশুর দেওয়া জবানবন্দির সূত্র ধরে পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত হয়েছে।

পরে পুলিশ ঘটনার মূল হোতা প্রবাসীর শ্যালক দিদারকে গ্রেপ্তার করেছে। মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালত দিদারের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদে দিদারের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে বলে আশা করছে পুলিশ।

গত ৯ ডিসেম্বর দুপুর ২টা থেকে পৌনে চারটা পর্যন্ত পৌর এলাকার কাউতলীর নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়ামের পাশ ঘেঁষে সৌদিপ্রবাসী মো. রফিকুল ইসলামের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতদল অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে ২২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ ৫০ হাজার টাকা, চার লাখ টাকা মূল্যের একটি হাতঘড়ি নিয়ে যায়। দিনদুপুরে জনবহুল এলাকায় এমন ঘটনায় আতঙ্ক দেখা দেয়।

ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে মো. রফিকুল ইসলামের স্ত্রী রাবেয়া খানম জানান, ছয়তলাবিশিষ্ট ওই বাড়িটির তিনতলায় তাঁরা বসবাস করেন। দুপুর আড়াইটার দিকে ফাইল নিয়ে দুজন এসে দরজায় নক করেন। গৃহকর্মী দরজা খুলে দিলে ওই দুজন বলেন, তারা গ্যাসের লাইন চেক করতে এসেছেন। একপর্যায়ে আরো ছয়জন ঘরে প্রবেশ করে সবাইকে একটি কক্ষে নিয়ে জিম্মি করে ফেলেন। ঘরে প্রবেশ করা আটজনের হাতেই ধারালো অস্ত্র ছিল।

তিনি বলেন, ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে তারা ছেলে-মেয়েকে হত্যার হুমকি দিয়ে সব কিছু দিয়ে দিতে বলেন। স্বর্ণের লকার খুলতে পারছিলেন না বলে বারবার হত্যার হুমকি দিতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা ফোন করে লকারের জন্য ব্যাটারি আনান। তাদের ফোনে ছোট একটি ছেলে ব্যাটারি দিয়ে যায়। এরপর পিনকোড দিয়ে লকার খোলার পর সেখান থেকে তারা ২২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়। এ ছাড়া আলমারি থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও একটি রোলেক্স ঘড়ি নিয়ে যায়।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. ইসতিয়াক আহমেদ জানান, প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে ব্যাটারি নিয়ে আসা শিশুটিকে শনাক্ত করা হয়। ওই শিশুটি প্রবাসীর স্ত্রী রাবেয়া খানমের চাচাতো ভাই কাউতলী এলাকার দিদারের দোকানের কর্মচারী। দিদারের কাছে ফোন করে ব্যাটারি আনায় ডাকাতদল। মূলত দিদার ওই বাড়িতে নিয়মিত যাওয়া-আসার সুবাদে স্বর্ণালঙ্কারের কথা জানত। পরিকল্পনামতো সে ভাড়া করা লোক এনে চাচাতো বোনের বাড়িতে ডাকাতি করায়। রিমান্ডে তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বোনের বাড়িতে ভাইয়ের ডাকাতি

আপডেট সময় : ১১:২৭:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২০

৩০ ডিসেম্বর ২০২০, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের বাসভবনের কয়েক শ গজ দূরে এক প্রবাসীর বাড়িতে দিনদুপুরে ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রবাসীরই চাচাতো শ্যালক। ডাকাতির সময় ব্যাটারি দিয়ে সহায়তা করা এক শিশুর দেওয়া জবানবন্দির সূত্র ধরে পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত হয়েছে।

পরে পুলিশ ঘটনার মূল হোতা প্রবাসীর শ্যালক দিদারকে গ্রেপ্তার করেছে। মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালত দিদারের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদে দিদারের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে বলে আশা করছে পুলিশ।

গত ৯ ডিসেম্বর দুপুর ২টা থেকে পৌনে চারটা পর্যন্ত পৌর এলাকার কাউতলীর নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়ামের পাশ ঘেঁষে সৌদিপ্রবাসী মো. রফিকুল ইসলামের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতদল অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে ২২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ ৫০ হাজার টাকা, চার লাখ টাকা মূল্যের একটি হাতঘড়ি নিয়ে যায়। দিনদুপুরে জনবহুল এলাকায় এমন ঘটনায় আতঙ্ক দেখা দেয়।

ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে মো. রফিকুল ইসলামের স্ত্রী রাবেয়া খানম জানান, ছয়তলাবিশিষ্ট ওই বাড়িটির তিনতলায় তাঁরা বসবাস করেন। দুপুর আড়াইটার দিকে ফাইল নিয়ে দুজন এসে দরজায় নক করেন। গৃহকর্মী দরজা খুলে দিলে ওই দুজন বলেন, তারা গ্যাসের লাইন চেক করতে এসেছেন। একপর্যায়ে আরো ছয়জন ঘরে প্রবেশ করে সবাইকে একটি কক্ষে নিয়ে জিম্মি করে ফেলেন। ঘরে প্রবেশ করা আটজনের হাতেই ধারালো অস্ত্র ছিল।

তিনি বলেন, ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে তারা ছেলে-মেয়েকে হত্যার হুমকি দিয়ে সব কিছু দিয়ে দিতে বলেন। স্বর্ণের লকার খুলতে পারছিলেন না বলে বারবার হত্যার হুমকি দিতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা ফোন করে লকারের জন্য ব্যাটারি আনান। তাদের ফোনে ছোট একটি ছেলে ব্যাটারি দিয়ে যায়। এরপর পিনকোড দিয়ে লকার খোলার পর সেখান থেকে তারা ২২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়। এ ছাড়া আলমারি থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও একটি রোলেক্স ঘড়ি নিয়ে যায়।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. ইসতিয়াক আহমেদ জানান, প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে ব্যাটারি নিয়ে আসা শিশুটিকে শনাক্ত করা হয়। ওই শিশুটি প্রবাসীর স্ত্রী রাবেয়া খানমের চাচাতো ভাই কাউতলী এলাকার দিদারের দোকানের কর্মচারী। দিদারের কাছে ফোন করে ব্যাটারি আনায় ডাকাতদল। মূলত দিদার ওই বাড়িতে নিয়মিত যাওয়া-আসার সুবাদে স্বর্ণালঙ্কারের কথা জানত। পরিকল্পনামতো সে ভাড়া করা লোক এনে চাচাতো বোনের বাড়িতে ডাকাতি করায়। রিমান্ডে তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।