ঢাকা ০১:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্ত্রীর লাশ কেটে লবণ মাখিয়ে ৩ দিন রেখে দেন শিক্ষক

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ১১:১২:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২০ ১৬২ বার পড়া হয়েছে

৩০ ডিসেম্বর ২০২০, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

স্ত্রী শান্তা আক্তারকে (২৫) হত্যার পর লাশ কেটে লবণ মাখিয়ে রেখে দেন স্বামী স্কুলশিক্ষক আমিনুল ইসলাম। মঙ্গলবার দুপুরে স্ত্রীর লাশ গুমের উদ্দেশ্যে কম্বলে মুড়িয়ে নিজেই বাসা থেকে বের হন। কিন্তু ধরা পড়ে যান এক প্রতিবেশীর হাতে। ওই প্রতিবেশীর সন্দেহ হলে বাড়িওয়ালার সহায়তায় শান্তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।

সেখানকার চিকিৎসকরা জানান, তিন দিন আগেই মারা গেছেন ওই গৃহবধূ। বীভৎস ও মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটেছে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার রাজবাড়ী মহল্লায়। স্বামী আমিনুল ইসলামকে আটক করলেও রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ হত্যার কারণ সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেনি।

এই দম্পতি যে বাড়িতে ভাড়া থাকতেন সেই বাড়ির মালিক সুলতান মিয়া বলেন, ‘মঙ্গলবার দুপুরে আমার আরেক ভাড়াটে জানান স্কুলশিক্ষক আমিনুল তার স্ত্রীকে কম্বলে মুড়িয়ে কোথায় যেন নিয়ে যাচ্ছেন। তার সঙ্গে দেখা হয়ে যাওয়ায় স্ত্রীর অসুস্থতার কথা বলেন। কিন্তু কম্বলের ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ওই প্রতিবেশী ঘটনাটি আমাকে জানান। আমি বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য একটি ইজিবাইক ভাড়া করে আমিনুলকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যেতে বলি তার স্ত্রীকে। সেইসঙ্গে মহল্লার এক যুবককে আমিনুলের সঙ্গে দিয়ে দিই, যাতে সে পালাতে না পারে। বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তার পরও আমিনুল পালানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু চিকিৎসক ও সঙ্গে থাকা যুবকের কারণে সেটি পারেনি।’

নিহত শান্তা আক্তার সোনারগাঁ উপজেলার বারদী এলাকার কলিম উল্লাহর মেয়ে। আটক আমিনুল ইসলাম বন্দর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের গণিত ও পিটি শিক্ষক। স্ত্রী শান্তাকে নিয়ে তিনি বন্দরের রাজবাড়ী মহল্লার সুলতান মিয়ার বাড়ির দ্বিতীয় তলায় ভাড়া থাকতেন। আমিনুল ইসলামের গ্রামের বাড়িও সোনারগাঁয়ের বারদীতে। আগেও আমিনুল ইসলাম একটি বিয়ে করেছিলেন। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার পর শান্তাকে বিয়ে করেন তিনি। তাদের সংসারে কোনো সন্তান নেই।

বন্দর থানার ওসি ফখরুদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, গৃহবধূ শান্তাকে বীভৎসভাবে হত্যা করা হয়েছে। মাথা থেঁতলে দেওয়াসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান কেটে লবণ মাখিয়ে দেওয়া হয়। লাশের সুরতহাল করার সময় এমন দৃশ্য দেখে সবাই আঁতকে ওঠেন। এমনভাবে কেউ কাউকে হত্যা করতে পারে।

তিনি বলেন, দু-তিন দিন আগে গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর দিনক্ষণ জানা যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

স্ত্রীর লাশ কেটে লবণ মাখিয়ে ৩ দিন রেখে দেন শিক্ষক

আপডেট সময় : ১১:১২:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২০

৩০ ডিসেম্বর ২০২০, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

স্ত্রী শান্তা আক্তারকে (২৫) হত্যার পর লাশ কেটে লবণ মাখিয়ে রেখে দেন স্বামী স্কুলশিক্ষক আমিনুল ইসলাম। মঙ্গলবার দুপুরে স্ত্রীর লাশ গুমের উদ্দেশ্যে কম্বলে মুড়িয়ে নিজেই বাসা থেকে বের হন। কিন্তু ধরা পড়ে যান এক প্রতিবেশীর হাতে। ওই প্রতিবেশীর সন্দেহ হলে বাড়িওয়ালার সহায়তায় শান্তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।

সেখানকার চিকিৎসকরা জানান, তিন দিন আগেই মারা গেছেন ওই গৃহবধূ। বীভৎস ও মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটেছে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার রাজবাড়ী মহল্লায়। স্বামী আমিনুল ইসলামকে আটক করলেও রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ হত্যার কারণ সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেনি।

এই দম্পতি যে বাড়িতে ভাড়া থাকতেন সেই বাড়ির মালিক সুলতান মিয়া বলেন, ‘মঙ্গলবার দুপুরে আমার আরেক ভাড়াটে জানান স্কুলশিক্ষক আমিনুল তার স্ত্রীকে কম্বলে মুড়িয়ে কোথায় যেন নিয়ে যাচ্ছেন। তার সঙ্গে দেখা হয়ে যাওয়ায় স্ত্রীর অসুস্থতার কথা বলেন। কিন্তু কম্বলের ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ওই প্রতিবেশী ঘটনাটি আমাকে জানান। আমি বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য একটি ইজিবাইক ভাড়া করে আমিনুলকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যেতে বলি তার স্ত্রীকে। সেইসঙ্গে মহল্লার এক যুবককে আমিনুলের সঙ্গে দিয়ে দিই, যাতে সে পালাতে না পারে। বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তার পরও আমিনুল পালানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু চিকিৎসক ও সঙ্গে থাকা যুবকের কারণে সেটি পারেনি।’

নিহত শান্তা আক্তার সোনারগাঁ উপজেলার বারদী এলাকার কলিম উল্লাহর মেয়ে। আটক আমিনুল ইসলাম বন্দর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের গণিত ও পিটি শিক্ষক। স্ত্রী শান্তাকে নিয়ে তিনি বন্দরের রাজবাড়ী মহল্লার সুলতান মিয়ার বাড়ির দ্বিতীয় তলায় ভাড়া থাকতেন। আমিনুল ইসলামের গ্রামের বাড়িও সোনারগাঁয়ের বারদীতে। আগেও আমিনুল ইসলাম একটি বিয়ে করেছিলেন। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার পর শান্তাকে বিয়ে করেন তিনি। তাদের সংসারে কোনো সন্তান নেই।

বন্দর থানার ওসি ফখরুদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, গৃহবধূ শান্তাকে বীভৎসভাবে হত্যা করা হয়েছে। মাথা থেঁতলে দেওয়াসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান কেটে লবণ মাখিয়ে দেওয়া হয়। লাশের সুরতহাল করার সময় এমন দৃশ্য দেখে সবাই আঁতকে ওঠেন। এমনভাবে কেউ কাউকে হত্যা করতে পারে।

তিনি বলেন, দু-তিন দিন আগে গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর দিনক্ষণ জানা যাবে।