বই বিতরণ নিয়ে আওয়ামী লীগ দুই গ্রুপে সংঘর্ষ
- আপডেট সময় : ০৯:১৪:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ জানুয়ারী ২০২১ ১৭২ বার পড়া হয়েছে
০২ জানুয়ারী ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, বগুড়া প্রতিনিধি:
বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার কুমিড়া পন্ডিতপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ে বই বিতরণ নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে সাবেক দুই ইউপি সদস্যসহ তিনজন আহত হয়েছেন।
শনিবার (২ জানুয়ারি) বেলা ১২টায় পন্ডিতপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রধান শিক্ষকের কক্ষে তালা দেয়া হয়। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
আহতরা হলেন- ভাটরার সাবেক ইউপি সদস্য আখতারুজ্জামান মানিক (৪৫), সাবেক ইউপি সদস্য বেলাল হোসেন (৪২) ও সমর্থক বাবু মিয়া (৪০)। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
জানা যায়, উপজেলার কুমিড়া পন্ডিতপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই বিতরণের আয়োজন করেন এডহক কমিটির সভাপতি আওয়ামী লীগ নেতা মজনু রহমান। এ সময় ভাটরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মোরশেদুল বারীসহ তার লোকজন এসে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মাধ্যমে বই বিতরণের দাবি করেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে সাবেক দুই ইউপি সদস্যসহ ৩ জন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় বর্তমানে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আবারও যে কোনো সময় বড় সংঘর্ষ ঘটতে পারে বলে শঙ্কা রয়েছে।
এদিকে প্রাক্তন সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দোকান পজিশন বিক্রি, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রকার ফিসহ লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগ এনে বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) ইউএনওসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন অভিভাবক সদস্য বাদেশ আলী।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের বর্তমান এডহক কমিটির সভাপতি আওয়ামী লীগ নেতা মজনু রহমান বলেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মোরশেদুল বারীর নেতৃত্বে তার লোকজন বই বিতরণ বন্ধ করে। বিদ্যালয়ের সভাপতি আমি, বই আমিই বিতরণ করবো। শিক্ষার্থীসহ শিক্ষকদের স্কুলের ভেতর ঢুকতে দেয়া হয়নি। প্রধান শিক্ষকের কক্ষে তালা দিয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার ঘোষণার পর থেকে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
ভাটরা ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মোরশেদুল বারী বলেন, এলাকাবাসী মজনুকে সভাপতি হিসেবে মানে না। প্রধান শিক্ষকের কক্ষে এলাকাবাসী তালা দিয়েছে। শিক্ষকদের ছাড়াই সে বই বিতরণের আয়োজন করলে এলাকাবাসী বাধা দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের বই শিক্ষকরা বিতরণ করলে কেউ বাধা দেবে না।
নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি বই বিতরণের আয়োজন করেন। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান মোরশেদুল বারীসহ তার লোকজন এডহক কমিটির সভাপতিকে অবৈধ দাবি করেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় এখনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।