ঢাকা ০৪:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নির্ধারিত সময়েই ভ্যাকসিন পাওয়ার আশা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৬:৫০:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ জানুয়ারী ২০২১ ১৭৬ বার পড়া হয়েছে

০৪ জানুয়ারী ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন কয়েক মাসের জন্য রপ্তানিতে ভারত নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এ অবস্থাতেও নির্ধারিত সময়ে ভ্যাকসিন পাওয়ার আশার কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

সোমবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

সকালে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো ভ্যাকসিন রপ্তানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞার খবর জানায়। এরপরই করণীয় ঠিক করতে বৈঠকে বসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ভারতের ভ্যাকসিন দেশে পাওয়া যাবে।

তিনি বলেন, তাদের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়েছে। এ চুক্তি অনার করার আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

মন্ত্রী আরো বলেন, আমরাও তেমনটাই শুনতে পেরেছি। এরপর আমাদের ফরেন মিনিস্ট্রি, তাদের হাইকমিশনে, ফরেন মিনিস্ট্রিতে আলাপ করেছে। তারা আশ্বস্ত করেছে, চুক্তি ব্যাহত হবে না।

তিনি বলেন, ভারত সরকার এমার্জেন্সি ভিত্তিতে তাদের দেশে প্রয়োগ করবে। এজন্য তারা আপাতত বিক্রি বন্ধ রাখবে বলে শুনেছি।

জাহিদ মালেক বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। আমরা আশাবাদী যে, এটা নিয়ে সমস্যা হবে না।

তিনি আরো বলেন, তারা ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য ডব্লিউএইচও-তে আবেদন করেছে। অনুমোদন পেলে তা প্রয়োগ করবে। চুক্তিতেও সেটা আছে- অনুমোদন পাওয়ার পর আমাদের ভ্যাকসিন দিবে।

তিনি বলেন, আমরা আশা করি, যতটুকু আলোচনা হয়েছে, আমারা চুক্তি অনুযায়ী ভ্যাকসিন পাবো।

নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশটির সঙ্গে চুক্তি করা অন্যান্য দেশগুলোকে ভ্যাকসিন পেতে আরো কয়েক মাস অপেক্ষা করা লাগতে পারে বলে জানা গেছে।

ভ্যাকসিন রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে সিরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়ালা বলেন, কয়েক মাসের জন্য ভ্যাকসিন রফতানির অনুমতি দেয়া হবে না। ভারতীয়রা যাতে যথাযথভাবে ভ্যাকসিন পায় সেজন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারতের এক কোটিরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যা বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। দেশটিতে প্রায় দেড় লাখ লোক ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হওয়ার পর মারা গেছে মারা গেছেন।

জানা যায়, করোনা ভ্যাকসিন বণ্টন পরিকল্পনার শুরুতেই ভারত ৩০ কোটি জনগণকে টিকা দিতে চায়। যার মধ্যে অগ্রাধিকার পাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশসহ মহামারি মোকাবেলায় সামনের সারির যোদ্ধারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

নির্ধারিত সময়েই ভ্যাকসিন পাওয়ার আশা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

আপডেট সময় : ০৬:৫০:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ জানুয়ারী ২০২১

০৪ জানুয়ারী ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন কয়েক মাসের জন্য রপ্তানিতে ভারত নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এ অবস্থাতেও নির্ধারিত সময়ে ভ্যাকসিন পাওয়ার আশার কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

সোমবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

সকালে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো ভ্যাকসিন রপ্তানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞার খবর জানায়। এরপরই করণীয় ঠিক করতে বৈঠকে বসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ভারতের ভ্যাকসিন দেশে পাওয়া যাবে।

তিনি বলেন, তাদের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়েছে। এ চুক্তি অনার করার আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

মন্ত্রী আরো বলেন, আমরাও তেমনটাই শুনতে পেরেছি। এরপর আমাদের ফরেন মিনিস্ট্রি, তাদের হাইকমিশনে, ফরেন মিনিস্ট্রিতে আলাপ করেছে। তারা আশ্বস্ত করেছে, চুক্তি ব্যাহত হবে না।

তিনি বলেন, ভারত সরকার এমার্জেন্সি ভিত্তিতে তাদের দেশে প্রয়োগ করবে। এজন্য তারা আপাতত বিক্রি বন্ধ রাখবে বলে শুনেছি।

জাহিদ মালেক বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। আমরা আশাবাদী যে, এটা নিয়ে সমস্যা হবে না।

তিনি আরো বলেন, তারা ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য ডব্লিউএইচও-তে আবেদন করেছে। অনুমোদন পেলে তা প্রয়োগ করবে। চুক্তিতেও সেটা আছে- অনুমোদন পাওয়ার পর আমাদের ভ্যাকসিন দিবে।

তিনি বলেন, আমরা আশা করি, যতটুকু আলোচনা হয়েছে, আমারা চুক্তি অনুযায়ী ভ্যাকসিন পাবো।

নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশটির সঙ্গে চুক্তি করা অন্যান্য দেশগুলোকে ভ্যাকসিন পেতে আরো কয়েক মাস অপেক্ষা করা লাগতে পারে বলে জানা গেছে।

ভ্যাকসিন রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে সিরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়ালা বলেন, কয়েক মাসের জন্য ভ্যাকসিন রফতানির অনুমতি দেয়া হবে না। ভারতীয়রা যাতে যথাযথভাবে ভ্যাকসিন পায় সেজন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারতের এক কোটিরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যা বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। দেশটিতে প্রায় দেড় লাখ লোক ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হওয়ার পর মারা গেছে মারা গেছেন।

জানা যায়, করোনা ভ্যাকসিন বণ্টন পরিকল্পনার শুরুতেই ভারত ৩০ কোটি জনগণকে টিকা দিতে চায়। যার মধ্যে অগ্রাধিকার পাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশসহ মহামারি মোকাবেলায় সামনের সারির যোদ্ধারা।