ঢাকা ১২:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আট প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়েছে করোনা

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ১১:২২:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারী ২০২১ ১৬০ বার পড়া হয়েছে

০৫ জানুয়ারী ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মহামারির কারণে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ উন্নয়ন প্রকল্প, পাহাড়তলী ওয়ার্কশপ উন্নয়ন প্রকল্প, দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প, আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত ডুয়েল গেজ রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প, আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েল গেজ রেলসংযোগ নির্মাণ প্রকল্পসহ মোট ৮টি প্রকল্পের কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হচ্ছে না।

সরকারের মেগা প্রকল্পের মধ্যে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্পের কাজ ২০২২ সালের জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার সময়সীমা থাকলেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ হচ্ছে না। কারণ করোনায় লকডাউনে কয়েক মাস প্রকল্পের কাজ বন্ধ থাকায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।

এ প্রকল্পের সার্বিক কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৪৭ শতাংশ। রেললাইন তৈরির জন্য মাটি ভরাট কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৬৫ শতাংশ। প্রকল্পের ৯টি স্টেশন বিল্ডিংয়ের মধ্যে ৫টির নির্মাণকাজ হয়েছে ২০ শতাংশ। ১৪৫টি কালভার্টের মধ্যে ৭০টি কাজ। ৩০টি কালভার্টের কাজ চলছে দ্রুত গতিতে।

৩৯টি ব্রিজের মধ্যে ৩০টির কাজ শেষ হয়েছে ৮০ শতাংশ। কক্সবাজারের নির্মাণাধীন সর্বাধুনিক স্টেশন আইকনিক বিল্ডিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে ২০ শতাংশ। বনাঞ্চলের ভেতরে হাতি চলাচলের জন্য ২টি আন্ডারপাসের কাজ শেষ হয়েছে। ওভারপাস তৈরির কাজও চলছে দ্রুততার সঙ্গে।

করোনার কারণে কাজ বন্ধ না থাকলে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কাজ শেষ হতো বলে প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, নানা জটিলতার কারণে এখনো সম্পূর্ণ জমি অধিগ্রহণ করা যায়নি। এছাড়া ২০২০ সালে অতিরিক্ত বৃষ্টি ও করোনার কারণে কাজ শেষ হতে নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে বেশি সময় লাগবে। করোনার প্রকোপ না হলে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কাজ শেষ হতো।

মেগা প্রকল্পের মধ্যে আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত ডুয়েল গেজ ডাবল রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটিও অন্যতম। এ প্রকল্পের কাজও করোনার কারণে পিছিয়ে যাচ্ছে। ৬ হাজার ৫০৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ প্রকল্পের কাজের মেয়াদ ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তবে এ সময়ের মধ্যেও শেষ না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

কারণ প্রকল্পটির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে ৬৯ শতাংশ। বাকি ৩১ শতাংশ কাজ এখনও শেষ হয়নি। করোনার কারণে কাজ বন্ধ থাকায় ২০২১ সালের জুনের মধ্যে কাজ শেষ হবে না বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

নির্মাণকাজ শেষ করতে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া অন্য ৬টি প্রকল্পও করোনার কারণে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ হচ্ছে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

আট প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়েছে করোনা

আপডেট সময় : ১১:২২:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারী ২০২১

০৫ জানুয়ারী ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মহামারির কারণে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ উন্নয়ন প্রকল্প, পাহাড়তলী ওয়ার্কশপ উন্নয়ন প্রকল্প, দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প, আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত ডুয়েল গেজ রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প, আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েল গেজ রেলসংযোগ নির্মাণ প্রকল্পসহ মোট ৮টি প্রকল্পের কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হচ্ছে না।

সরকারের মেগা প্রকল্পের মধ্যে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্পের কাজ ২০২২ সালের জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার সময়সীমা থাকলেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ হচ্ছে না। কারণ করোনায় লকডাউনে কয়েক মাস প্রকল্পের কাজ বন্ধ থাকায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।

এ প্রকল্পের সার্বিক কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৪৭ শতাংশ। রেললাইন তৈরির জন্য মাটি ভরাট কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৬৫ শতাংশ। প্রকল্পের ৯টি স্টেশন বিল্ডিংয়ের মধ্যে ৫টির নির্মাণকাজ হয়েছে ২০ শতাংশ। ১৪৫টি কালভার্টের মধ্যে ৭০টি কাজ। ৩০টি কালভার্টের কাজ চলছে দ্রুত গতিতে।

৩৯টি ব্রিজের মধ্যে ৩০টির কাজ শেষ হয়েছে ৮০ শতাংশ। কক্সবাজারের নির্মাণাধীন সর্বাধুনিক স্টেশন আইকনিক বিল্ডিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে ২০ শতাংশ। বনাঞ্চলের ভেতরে হাতি চলাচলের জন্য ২টি আন্ডারপাসের কাজ শেষ হয়েছে। ওভারপাস তৈরির কাজও চলছে দ্রুততার সঙ্গে।

করোনার কারণে কাজ বন্ধ না থাকলে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কাজ শেষ হতো বলে প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, নানা জটিলতার কারণে এখনো সম্পূর্ণ জমি অধিগ্রহণ করা যায়নি। এছাড়া ২০২০ সালে অতিরিক্ত বৃষ্টি ও করোনার কারণে কাজ শেষ হতে নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে বেশি সময় লাগবে। করোনার প্রকোপ না হলে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কাজ শেষ হতো।

মেগা প্রকল্পের মধ্যে আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত ডুয়েল গেজ ডাবল রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটিও অন্যতম। এ প্রকল্পের কাজও করোনার কারণে পিছিয়ে যাচ্ছে। ৬ হাজার ৫০৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ প্রকল্পের কাজের মেয়াদ ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তবে এ সময়ের মধ্যেও শেষ না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

কারণ প্রকল্পটির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে ৬৯ শতাংশ। বাকি ৩১ শতাংশ কাজ এখনও শেষ হয়নি। করোনার কারণে কাজ বন্ধ থাকায় ২০২১ সালের জুনের মধ্যে কাজ শেষ হবে না বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

নির্মাণকাজ শেষ করতে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া অন্য ৬টি প্রকল্পও করোনার কারণে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ হচ্ছে না।