ঢাকা ০১:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধর্ষণের মিথ্যা মামলা করায় বাদীর ৭ বছরের জেল

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৪:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারী ২০২১ ১৮৫ বার পড়া হয়েছে

০৫ জানুয়ারী ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় ধর্ষণের মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় নন্দ রানী নামে এক নারীকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো পাঁচ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে জয়পুরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রুস্তম আলী এ রায় দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার বিয়ালা গ্রামের নন্দ রানীকে দীর্ঘদিন ধরে আসামি আবুল হায়াত আলী রাস্তা-ঘাটে উত্ত্যক্ত ও কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। তাতে সে রাজি না হওয়ায় হায়াত আলী তার প্রতি ক্ষিপ্ত ছিল। একপর্যায়ে ২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে পূর্ব পরিচিত মৎস্যজীবী আবুল হায়াত আলী ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে মর্মে কালাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেন নন্দ রানী।

পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার তদন্ত রিপোর্ট পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে বাদীকে হাজির করা হলে তিনি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন বলে স্বীকার করেন। এ সময় বিচারক তাকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো পাঁচ মাসের দণ্ড দেন। আর আসামি আবুল হায়াত আলীকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন আদালত।

এ রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট ফিরোজা চৌধুরী।

এর আগে আরো তিনটি ধর্ষণ মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় তিন জন বাদীকে পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছিলেন আদালত।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

ধর্ষণের মিথ্যা মামলা করায় বাদীর ৭ বছরের জেল

আপডেট সময় : ০৫:৫৪:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারী ২০২১

০৫ জানুয়ারী ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় ধর্ষণের মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় নন্দ রানী নামে এক নারীকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো পাঁচ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে জয়পুরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রুস্তম আলী এ রায় দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার বিয়ালা গ্রামের নন্দ রানীকে দীর্ঘদিন ধরে আসামি আবুল হায়াত আলী রাস্তা-ঘাটে উত্ত্যক্ত ও কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। তাতে সে রাজি না হওয়ায় হায়াত আলী তার প্রতি ক্ষিপ্ত ছিল। একপর্যায়ে ২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে পূর্ব পরিচিত মৎস্যজীবী আবুল হায়াত আলী ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে মর্মে কালাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেন নন্দ রানী।

পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার তদন্ত রিপোর্ট পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে বাদীকে হাজির করা হলে তিনি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন বলে স্বীকার করেন। এ সময় বিচারক তাকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো পাঁচ মাসের দণ্ড দেন। আর আসামি আবুল হায়াত আলীকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন আদালত।

এ রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট ফিরোজা চৌধুরী।

এর আগে আরো তিনটি ধর্ষণ মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় তিন জন বাদীকে পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছিলেন আদালত।