ঢাকা ০১:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জামালপুরে সম্মানী ভাতা চাওয়ায় ইউপি সদস্যকে মারধর

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৮:০৬:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মে ২০২১ ১৭৬ বার পড়া হয়েছে

১ মে ২০২১,আজকের মেঘনা ডটকম,
শহিদুল ইসলাম কাজল, জামালপুর :৫ বছরের বকেয়া সম্মানী ভাতা চাওয়ায় ইউপি
চেয়ারম্যানের নির্দেশে তার ক্যাডারদের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন একজন
ইউপি সদস্য।
ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে জামালপুর সদরের দিগপাইত ইউনিয়ন
পরিষদে।
দিগপাইত ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের
সভাপতি লাল মিয়ার অভিযোগ, ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ ওয়ার্ড ও সংরক্ষিত
ওয়ার্ডের মেম্মারদের জন্য সরকার মাসিক ৮ হাজার টাকা সম্মানী ভাতা করেছেন।
এর মধ্যে সরকারিভাবে ৩ হাজার ৬০০ টাকা এবং ইউনিয়ন পরিষদের তহবিল থেকে ৪
হাজার ৪০০ টাকা পরিশোধ করার নিয়ম রয়েছে। সরকারিভাবে ৩ হাজার ৬০০ টাকা
প্রতিমাসে তারা পেয়েছেন। ২০১৬ সালে এই ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনের পর থেকে এ পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদের তহবিল থেকে কোনো সম্মানী
ভাতা প্রদান করা না হলেও সব ইউপি সদস্যদের ভাতার টাকা চেয়ারম্যান ও ইউপি
সচিবের যোগসাজশে আত্মসাত করেছেন। ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বর এ বিষয়ে
জেলা প্রশাসক, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা
নির্বাহী অফিসারের কাছে আবেদন করেন পরিষদের ১২ জন ইউপি সদস্য। ইউপি
সদস্যদের সম্মানী ভাতার অর্থ আত্মসাতের ঘটনা তদন্তে সদর উপজেলার সহকারী
কমিশনার (ভূমি) কে নির্দেশ দেন। সদর উপজেলার তৎকালীন সহকারী কমিশনার
(ভূমি) মাহমুদা বেগম চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি এ ঘটনা তদন্ত করেন। তদন্ত
প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে জামালপুর স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালকের কাছে।
রহস্যজনক কারনে তদন্ত রিপোর্ট লাল ফিতায় বন্দী রয়েছে।
ইউপি সদস্য লাল মিয়া জানান, বৃহস্পতিবার দিগপাইত ইউনিয়ন পরিষদে
ভিজিডি সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর
রহমানের কাছে সম্মানী ভাতা দ্রুত প্রদানের দাবি জানান। এ সময় ইউপি
চেয়ারম্যানের ক্যাডাররা তার নির্দেশে ইউপি সদস্য লাল মিয়াকে সব ইউপি
সদস্যদের সামনেই মারধর করেন। এক পর্যায়ে তাকে টেনে হ্যাচরে পরিষদ থেকে বের
করে দেন। ভবিষতে সম্মানী ভাতা নিয়ে কথা বললে জিব কেটে দেওয়ার হুমকী দেন
চেয়ারম্যান। উত্তেজিত চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান উচ্চস্বরে বলেন, এসব দরখাস্ত
করে লাভ নেই, সব তিনি খেয়ে ফেলার ক্ষমতা রাখেন। এ ঘটনায় ইউপি সদস্য লাল
মিয়া বাদী হয়ে সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
দিগপাইত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান টেলিফোনে বলেন, লাল
মিয়ার অভিযোগ সঠিক না, মিথ্যা বানোয়াট। তাকে মারধর করা হয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

জামালপুরে সম্মানী ভাতা চাওয়ায় ইউপি সদস্যকে মারধর

আপডেট সময় : ০৮:০৬:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মে ২০২১

১ মে ২০২১,আজকের মেঘনা ডটকম,
শহিদুল ইসলাম কাজল, জামালপুর :৫ বছরের বকেয়া সম্মানী ভাতা চাওয়ায় ইউপি
চেয়ারম্যানের নির্দেশে তার ক্যাডারদের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন একজন
ইউপি সদস্য।
ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে জামালপুর সদরের দিগপাইত ইউনিয়ন
পরিষদে।
দিগপাইত ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের
সভাপতি লাল মিয়ার অভিযোগ, ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ ওয়ার্ড ও সংরক্ষিত
ওয়ার্ডের মেম্মারদের জন্য সরকার মাসিক ৮ হাজার টাকা সম্মানী ভাতা করেছেন।
এর মধ্যে সরকারিভাবে ৩ হাজার ৬০০ টাকা এবং ইউনিয়ন পরিষদের তহবিল থেকে ৪
হাজার ৪০০ টাকা পরিশোধ করার নিয়ম রয়েছে। সরকারিভাবে ৩ হাজার ৬০০ টাকা
প্রতিমাসে তারা পেয়েছেন। ২০১৬ সালে এই ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনের পর থেকে এ পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদের তহবিল থেকে কোনো সম্মানী
ভাতা প্রদান করা না হলেও সব ইউপি সদস্যদের ভাতার টাকা চেয়ারম্যান ও ইউপি
সচিবের যোগসাজশে আত্মসাত করেছেন। ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বর এ বিষয়ে
জেলা প্রশাসক, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা
নির্বাহী অফিসারের কাছে আবেদন করেন পরিষদের ১২ জন ইউপি সদস্য। ইউপি
সদস্যদের সম্মানী ভাতার অর্থ আত্মসাতের ঘটনা তদন্তে সদর উপজেলার সহকারী
কমিশনার (ভূমি) কে নির্দেশ দেন। সদর উপজেলার তৎকালীন সহকারী কমিশনার
(ভূমি) মাহমুদা বেগম চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি এ ঘটনা তদন্ত করেন। তদন্ত
প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে জামালপুর স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালকের কাছে।
রহস্যজনক কারনে তদন্ত রিপোর্ট লাল ফিতায় বন্দী রয়েছে।
ইউপি সদস্য লাল মিয়া জানান, বৃহস্পতিবার দিগপাইত ইউনিয়ন পরিষদে
ভিজিডি সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর
রহমানের কাছে সম্মানী ভাতা দ্রুত প্রদানের দাবি জানান। এ সময় ইউপি
চেয়ারম্যানের ক্যাডাররা তার নির্দেশে ইউপি সদস্য লাল মিয়াকে সব ইউপি
সদস্যদের সামনেই মারধর করেন। এক পর্যায়ে তাকে টেনে হ্যাচরে পরিষদ থেকে বের
করে দেন। ভবিষতে সম্মানী ভাতা নিয়ে কথা বললে জিব কেটে দেওয়ার হুমকী দেন
চেয়ারম্যান। উত্তেজিত চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান উচ্চস্বরে বলেন, এসব দরখাস্ত
করে লাভ নেই, সব তিনি খেয়ে ফেলার ক্ষমতা রাখেন। এ ঘটনায় ইউপি সদস্য লাল
মিয়া বাদী হয়ে সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
দিগপাইত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান টেলিফোনে বলেন, লাল
মিয়ার অভিযোগ সঠিক না, মিথ্যা বানোয়াট। তাকে মারধর করা হয়নি।