ঢাকা ০৮:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাঁদ দেখা যায়নি, ঈদ শুক্রবার

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৮:৪২:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মে ২০২১ ১৬০ বার পড়া হয়েছে

১২ মে ২০২১,আজকের মেঘনা ডটকম, ডেস্ক রিপোর্ট :

দেশের আকাশে কোথাও শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে আগামী শুক্রবার মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে আজ বুধবার সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি ও ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। এ ছাড়া সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক মো. মুশফিকুর রহমানসহ কমিটির অন্যান্য সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

এবার মুসলমানদের সিয়াম সাধনার পবিত্র মাস রমজানের ৩০ দিন পূর্ণ হচ্ছে। রমজান শেষে শাওয়াল মাসের প্রথম দিন মুসলমানরা ঈদুল ফিতর উদযাপন করেন। এদিকে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে।

সভায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী জানান, সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, আবহাওয়া অধিদফতর, মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের আকাশে হিজরি ১৪৪২ সনের শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। বৃহস্পতিবার রমজান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হচ্ছে। শুক্রবার শাওয়াল মাসের প্রথম দিন দেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।

গত বছরের মতো এবারও বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে ভিন্ন আবহে এসেছে ঈদ। যেখানে দীর্ঘ এক মাস রোজা রাখার পর দেশের মুসলমানদের ঈদের আনন্দে মেতে ওঠার অপেক্ষায় থাকার কথা, সেখানে করোনা থেকে বাঁচতে বিধিনিষেধে কাটছে নিয়ন্ত্রিত জীবন।

গত ৫ মে সর্বশেষ বিধিনিষেধ বাড়িয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঈদের ছুটিতে আবশ্যিকভাবে নিজ নিজ কর্মস্থলে (অধিক্ষেত্রে) অবস্থান করবেন।

তবে ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচলে বিধিনিষেধ না থাকায় অনেকেই প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ভাড়া করে রাজধানী ছাড়ছেন। জেলার মধ্যে বাস চলাচল করায় অনেকেই ভেঙে ভেঙে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ঈদ উদযাপনে ফিরছেন গ্রামে। কেউ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক, পিকআপ ভ্যানসহ মালবাহী গাড়িতে করে ফিরছেন গ্রামে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

চাঁদ দেখা যায়নি, ঈদ শুক্রবার

আপডেট সময় : ০৮:৪২:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মে ২০২১

১২ মে ২০২১,আজকের মেঘনা ডটকম, ডেস্ক রিপোর্ট :

দেশের আকাশে কোথাও শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে আগামী শুক্রবার মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে আজ বুধবার সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি ও ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। এ ছাড়া সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক মো. মুশফিকুর রহমানসহ কমিটির অন্যান্য সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

এবার মুসলমানদের সিয়াম সাধনার পবিত্র মাস রমজানের ৩০ দিন পূর্ণ হচ্ছে। রমজান শেষে শাওয়াল মাসের প্রথম দিন মুসলমানরা ঈদুল ফিতর উদযাপন করেন। এদিকে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে।

সভায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী জানান, সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, আবহাওয়া অধিদফতর, মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের আকাশে হিজরি ১৪৪২ সনের শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। বৃহস্পতিবার রমজান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হচ্ছে। শুক্রবার শাওয়াল মাসের প্রথম দিন দেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।

গত বছরের মতো এবারও বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে ভিন্ন আবহে এসেছে ঈদ। যেখানে দীর্ঘ এক মাস রোজা রাখার পর দেশের মুসলমানদের ঈদের আনন্দে মেতে ওঠার অপেক্ষায় থাকার কথা, সেখানে করোনা থেকে বাঁচতে বিধিনিষেধে কাটছে নিয়ন্ত্রিত জীবন।

গত ৫ মে সর্বশেষ বিধিনিষেধ বাড়িয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঈদের ছুটিতে আবশ্যিকভাবে নিজ নিজ কর্মস্থলে (অধিক্ষেত্রে) অবস্থান করবেন।

তবে ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচলে বিধিনিষেধ না থাকায় অনেকেই প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ভাড়া করে রাজধানী ছাড়ছেন। জেলার মধ্যে বাস চলাচল করায় অনেকেই ভেঙে ভেঙে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ঈদ উদযাপনে ফিরছেন গ্রামে। কেউ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক, পিকআপ ভ্যানসহ মালবাহী গাড়িতে করে ফিরছেন গ্রামে।