গজারিয়ায় গ্রাম্য রাজনীতির মারপ্যাঁচে রাস্তা নির্মান বন্ধের পথে
- আপডেট সময় : ০৬:২২:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুন ২০২১ ২৮৬ বার পড়া হয়েছে
৮ জুন ২০২১, আজকের মেঘনা. কম,
ওসমান গনি, গজারিয়া প্রতিনিধিঃ মুন্সিগঞ্জর গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত আড়ালিয়া-আব্দুল্লাহপুর গ্রামে এল,জি,ই,ডি’র একটি রাস্তা গ্রাম্য নোংরা রাজনীতি’র প্যাঁচে বাঁধার মুখোমুখী,দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরনের আশায় থাকা সাধারণ গ্রামবাসীর মাঝে স্বপ্ন ভঙ্গের আশংকা।
জানা যায় বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের কুমিল্লা জেলার সীমান্তবর্তী ২টি গ্রাম আড়ালিয়া ও আব্দুল্লাহপুর বাসীর একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম ছিল বর্ষাকালে নৌকা আর সূদিনে নৌকার পাশাপাশি পায়ে হাঁটার পথ।বর্তমান সরকারের আমলে ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে মাটি ভরাট সহ প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তায় ইটের সলিং করা হয়।
এর এই ধারাবাহিকতায় এলজিইডি এ রাস্তাটি অর্থাৎ আড়ালিয়া ডেঙ্গর আলী ফকিরের বাড়ি হইতে বোয়ালখালী গুদারা ঘাট পর্যন্ত ১৪০০মিটার রাস্তা পিচ ঢালা করার জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পূর্ন করেন বছর খানেক আগে।মাঝখানে মহামারী করোনার কারনে ঠিকাদার নিয়মিত ভাবে কাজটি শেষ করতে পাড়েন নাই।গত ক’মাসে নিয়মিত ভাবে কাজটি করে আড়ালিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এর সীমানা পর্যন্ত প্রায় ৬৫০মিটার কাজ সম্পূর্ন করেন।এরপর আর কাজটি এগিয়ে নেওয়ার মত পরিস্থিতি নাই।আশংকা করা হচ্ছে প্রকল্পটি হয়তো এখানেই শেষ হয়ে যাবে।
সরেজমিনে ঘুরে ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়,আড়ালিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের ওয়ালের সাথে লাগোয়া একটি একতলা ভবন, মাঝখান দিয়ে যানবাহন চলাচলের কোন সুযোগ নাই,তবে হাঁটার উপযোগী পথ রয়েছে।স্থানীয়দের অভিযোগ,বিদ্যালয়ের জমি দীর্ঘ প্রায় বিশ বছর যাবৎ জোড়পূর্বক দখল করে ভবন নির্মান করে রাখছে একটি প্রভাবশালী পরিবার।যারা গ্রামেই বসবাস করে না,বছরে একবেলা,আধবেলার জন্য কখনো হয়তো আসে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় এ বাড়ির মালিক অধ্যাপক আব্দুল জলিল, তিনি দেশের একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ,ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ব বিদ্যালয়ের ডিন ছিলেন,তিনি মারা গেছেন তাই উনার ওয়ারিশগণ’ই এই সম্পত্তির মালিক।উনার এক ছেলে কর্নেল(অবঃ)মামুনুর রশিদ।পারিবারিক ভাবেও উনাদের রয়েছে ঐতিহ্য।দেশবরোন্য অনেকে জন্মেছেন এই পরিবারে।
এ বিষয়ে জানতে মুঠো ফোনে কর্নেল (অবঃ) মামুনুর রশিদ এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান,আমরা বরাবর’ই রাস্তায় জায়গা দেওয়ার পক্ষে,যেখানে আমরা বসত বাড়ীর ভবন ভেঙ্গে রাস্তায় জায়গা দিতে প্রস্তুত সেখানে রাস্তার জন্য জোড়পূর্বক বাড়ি ভাঙ্গতে চাওয়া কতটা যুক্তিক।
সার্বিক বিষয়ে স্থানীয় সুশীল সমাজের লোকজনদের সাথে কথা বলে জানা যায় জায়গা দেওয়ার বিষয়ে জলিল সাহেব এর পরিবার একটা পর্যায়ে রাজী থাকলেও গ্রামের একটা কুচক্রী মহলের অপপ্রচারের কারণে উনারা এই মুহূর্তে জায়গা দিতে অনীহা প্রকাশ করার গ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ভাঙ্গার পথে।তাঁদের আশা নিরীহ এই জন সাধারনের কথা চিন্তা করে সর্বশেষে উনারা জায়গা টা ছেড়ে দিবেন।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃইশতিয়াক আহমেদ বলেন,আমরা ইতিমধ্যে স্থানীয় চেয়ারম্যান,মেম্বার, গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও উপজেলা চেয়ারম্যান,ভাইস চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে বিষয়টি সামাজিক ভাবে সমাধানের চেষ্টা করেছে কিন্তু কোন ভাবই সমাধান করতে পাড়ি নাই তাই বাধ্য হয়েই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিঠি পাঠিয়েছি।