ঢাকা ০৪:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডিপজলের কাছে কেনো মনোনয়ন বেচেনি আ.লীগ

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ১০:১৯:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুন ২০২১ ২২৩ বার পড়া হয়েছে

১১ জুন ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

চলতি বছরের ৪ এপ্রিল ঢাকা-১৪ আসনের আওয়ামী লীগ সমর্থিত সংসদ সদস্য আসলামুল হক হৃদরোগে মারা যান। ফলে ওই আসনে বর্তমানে উপ-নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। তারই অংশ হিসেবে আগ্রহীদের কাছে ইতোমধ্যে মনোনয়ন বিক্রি শুরু করেছে ক্ষমতাসীন দলটি। আসলামুল হক মারা যাওয়ার কয়েকদিন পর একটি সাক্ষাৎকারে তাকে ঘনিষ্ঠ বন্ধু দাবি করে ঢাকা-১৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হওয়ার আগ্রহের কথা জানান জনপ্রিয় খল অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল।

সেই মতো গত বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির মনোনয়ন কিনতে গিয়েছিলেন এই অভিনেতা। সঙ্গে নিয়েছিলেন জায়েদ খান, মিশা সওদাগর, চিত্রনায়ক রুবেল, চিত্রনায়িকা রোজিনা, অঞ্জনা, দিলারা, নৃত্যশিল্পী মাসুম বাবুলসহ শিল্পীদের বড় একটি বহর। কিন্তু বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে এদিন খালি হাতে ফিরে আসতে হয়েছে ডিপজলকে। তার কাছে মনোনয়নপত্র বিক্রি করেনি আওয়ামী লীগ।

কিন্তু কেন? এ ব্যাপারে জানতে অভিনেতা ডিপজলকে বার বার ফোন দেয়া হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে একটি বিশেষ সূত্র মারফত জানা গেছে, আওয়ামী লীগের কোনো পর্যায়ের প্রাথমিক সদস্য নন ডিপজল। তাই শর্ত পূরণ না হওয়ায় তার কাছে মনোনয়নপত্র বিক্রি করেনি আওয়ামী লীগ। এই অভিনেতা বিএনপি সমর্থিত সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর। তাই মনোনয়নপত্র কেনার যোগ্যতা না থাকায় নিরাশ হয়ে ফিরে আসতে বাধ্য হন তিনি ও তার সমর্থকরা।

ডিপজল বর্তমানে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়ও তিনি ঢাকা-১৪ আসন থেকে নৌকার টিকিট চেয়েছিলেন। কিন্তু দল থেকে মনোনয়ন দেয়া হয় আসলামুল হককে। সে সময়ও তার বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি উঠে আসে। বিএনপির ব্যানারে তিনি কাউন্সিলরও নির্বাচিত হয়েছিলেন বলে গুঞ্জন উঠেছিল।

কিন্তু গত এপ্রিলে দেয়া সাক্ষাৎকারে এই বিষয়টা অস্বীকার করেন ডিপজল। তিনি দাবি করেন, ‘আমি কোনো কালেই বিএনপি ছিলাম না। আমাকে বিএনপি বানিয়ে রাখা হয়েছিল। বিএনপির কোথাও আমার নাম নেই। আমার প্রথম দল আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের পক্ষেই নির্বাচনে অংশ নিতে চাই।’ এছাড়া তিনি বিএনপি নয় বরং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন বলেও দাবি করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

ডিপজলের কাছে কেনো মনোনয়ন বেচেনি আ.লীগ

আপডেট সময় : ১০:১৯:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুন ২০২১

১১ জুন ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

চলতি বছরের ৪ এপ্রিল ঢাকা-১৪ আসনের আওয়ামী লীগ সমর্থিত সংসদ সদস্য আসলামুল হক হৃদরোগে মারা যান। ফলে ওই আসনে বর্তমানে উপ-নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। তারই অংশ হিসেবে আগ্রহীদের কাছে ইতোমধ্যে মনোনয়ন বিক্রি শুরু করেছে ক্ষমতাসীন দলটি। আসলামুল হক মারা যাওয়ার কয়েকদিন পর একটি সাক্ষাৎকারে তাকে ঘনিষ্ঠ বন্ধু দাবি করে ঢাকা-১৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হওয়ার আগ্রহের কথা জানান জনপ্রিয় খল অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল।

সেই মতো গত বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির মনোনয়ন কিনতে গিয়েছিলেন এই অভিনেতা। সঙ্গে নিয়েছিলেন জায়েদ খান, মিশা সওদাগর, চিত্রনায়ক রুবেল, চিত্রনায়িকা রোজিনা, অঞ্জনা, দিলারা, নৃত্যশিল্পী মাসুম বাবুলসহ শিল্পীদের বড় একটি বহর। কিন্তু বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে এদিন খালি হাতে ফিরে আসতে হয়েছে ডিপজলকে। তার কাছে মনোনয়নপত্র বিক্রি করেনি আওয়ামী লীগ।

কিন্তু কেন? এ ব্যাপারে জানতে অভিনেতা ডিপজলকে বার বার ফোন দেয়া হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে একটি বিশেষ সূত্র মারফত জানা গেছে, আওয়ামী লীগের কোনো পর্যায়ের প্রাথমিক সদস্য নন ডিপজল। তাই শর্ত পূরণ না হওয়ায় তার কাছে মনোনয়নপত্র বিক্রি করেনি আওয়ামী লীগ। এই অভিনেতা বিএনপি সমর্থিত সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর। তাই মনোনয়নপত্র কেনার যোগ্যতা না থাকায় নিরাশ হয়ে ফিরে আসতে বাধ্য হন তিনি ও তার সমর্থকরা।

ডিপজল বর্তমানে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়ও তিনি ঢাকা-১৪ আসন থেকে নৌকার টিকিট চেয়েছিলেন। কিন্তু দল থেকে মনোনয়ন দেয়া হয় আসলামুল হককে। সে সময়ও তার বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি উঠে আসে। বিএনপির ব্যানারে তিনি কাউন্সিলরও নির্বাচিত হয়েছিলেন বলে গুঞ্জন উঠেছিল।

কিন্তু গত এপ্রিলে দেয়া সাক্ষাৎকারে এই বিষয়টা অস্বীকার করেন ডিপজল। তিনি দাবি করেন, ‘আমি কোনো কালেই বিএনপি ছিলাম না। আমাকে বিএনপি বানিয়ে রাখা হয়েছিল। বিএনপির কোথাও আমার নাম নেই। আমার প্রথম দল আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের পক্ষেই নির্বাচনে অংশ নিতে চাই।’ এছাড়া তিনি বিএনপি নয় বরং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন বলেও দাবি করেন।