তৃণমূলে দ্বন্দ্ব নিরসন না হলে নেতাদের অপসারণ
- আপডেট সময় : ১২:৫০:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুন ২০২১ ২০৫ বার পড়া হয়েছে
১৩ জুন ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ
বারবার কেন্দ্র থেকে সতর্ক করার পরও তৃণমূল আওয়ামী লীগের দ্বন্দ্ব থামছে না। সারাদেশ থেকে বেশকিছু অভিযোগ আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আসায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। গতকাল শনিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় তিনি দ্বন্দ্ব নিরসনে দলকে কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেন। দ্বন্দ্ব নিরসন না হলে সংশ্লিষ্ট নেতাদের দায়িত্ব থেকে অপসারণের নির্দেশনা দেন তিনি। মনোনয়ন বোর্ডের সভায় উপস্থিত একাধিক নেতা আমাদের সময়কে জানান, প্রধানমন্ত্রী শুরুতেই ফরিদপুর জেলা কমিটির প্রসঙ্গ তোলেন।
ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের কমিটি নিয়ে জেলার সভাপতি সুবল সাহা ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেনের মধ্যে বিরোধ অব্যাহত থাকার বিষয়টি নিয়ে মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। দুই নেতার সঙ্গে কথা বলে সমাধান না হলে প্রয়োজনে জেলা কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। একইভাবে দেশের যেসব এলাকায় দলীয় কোন্দল আছে, সেখানকার নেতাদের সঙ্গে বসে সমাধান না হলে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার নির্দেশনা দেন শেখ হাসিনা।
সূত্র জানায়, সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন থেকে চিঠি দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে নারীর সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে বলা হয়। নিবন্ধনভুক্ত দলগুলোয় নারী নেতৃত্বের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ বিষয়েও মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে কথা হয়। আলোচনায় শেখ হাসিনা বলেন, নারীরা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনীতিসহ দলের সহযোগী সংগঠনে রয়েছে। যুব মহিলা লীগ আছে, মহিলা আওয়ামী লীগ, মহিলা শ্রমিক লীগ আছে। তবু নির্বাচন কমিশন যেহেতু মনে করেছে, আমরা তাদের সেই নির্দেশনা পূরণ করব।
করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে নির্বাচন কীভাবে হবে তা নিয়েও কথা হয় বৈঠকে। করোনাকালে নির্বাচন করা ঠিক হবে কিনা, এ রকম প্রশ্ন উঠলে মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে নিশ্চয়ই নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। আমি মনে করি, যেসব এলাকায় করোনার প্রকোপ বেশি সেখানে এক ধরনের সিদ্ধান্ত আর যেসব এলাকায় কম, সেখানে অন্য ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। আসন্ন উপনির্বাচনে যাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে- ভেদাভেদ ভুলে দলের প্রশ্নে তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য নির্দেশ দেন তিনি। সভাটি বেলা ১১টায় শুরু হয়ে চলে দুপুর ১টা পর্যন্ত।