ঢাকা ০৪:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুরির ভাগ না পেয়ে ৯৯৯-এ কল, ফেঁসে গেলো পুরোচক্র

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ১২:২৯:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুন ২০২১ ২২৪ বার পড়া হয়েছে

১২ জুন ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

চোরাই মোটরসাইকেলে নিজের ভাগ বুঝে না পেয়ে ৯৯৯-এ কল করে ফেঁসে গেল চোর নিজেই। সেই সঙ্গে বেড়িয়ে এসেছে পুরো চোরচক্র। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলায় এ ঘটনা ঘটেছে।

গ্রেপ্তার চারজন হলেন বাকেরগঞ্জ উপজেলা ছাত্র সমাজের সভাপতি ফিরোজ আলমের ছেলে আবদুল্লাহ আল আজাদ (২১), বাকেরগঞ্জ পৌরসভা ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আমির আলী বেপারীর ছেলে মেহেদী হাসান শাকিল (২২), নলছিটি উপজেলার রাজনগর গ্রামের হোসেন মল্লিকের ছেলে সাইদুল ইসলাম ইমরান (২২) এবং পটুয়াখালী জেলার বদরপুর ইউনিয়নের তেলিখালি গ্রামের বেলায়েত হোসেন মৃধার ছেলে রিপন মৃধা (২৫)। এই চারজন চোরাই গাড়ি ক্রয় করেছেন বলে স্বীকার করেছেন।

চক্রে আরও কেউ জড়িত আছে কি না, তা শনাক্তে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাকেরগঞ্জে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলাউদ্দিন মিলন। তিনি জানিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে গাড়ি চুরির অভিযোগ এনে মামলা দায়ের হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের আজ শনিবার আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন। ওসি বলেন, চোরের ওপর বাটপারি করতে গিয়েছিল একজন। আর তাতেই পুরো ঘটনাটি বেড়িয়ে এসেছে।

আলাউদ্দিন মিলন আরও বলেন, ৯৯৯-এ একটি কল পেয়ে এসআই মাইনুল ইসলাম ও এএসআই ইমদাদুল বাকেরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে একটি মোটরসাইকেল আটক করেন। এ সময় চারজনই মোটরসাইকেলটির মালিকানা দাবি করেন। কিন্তু কেউই গাড়িটির ক্রয় সূত্রের মালিকানার প্রমাণাদি দেখাতে পারেনি।

তিনি বলেন, তারা যার কাছ থেকে গাড়ি ক্রয় করেছেন, তিনিও পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন, তিনিই প্রথম চোরাই গাড়িটি ক্রয় করেন। তারপর বাকেরগঞ্জের চোরচক্রের চার সদস্যের কাছে বিক্রি করেন।

গতকাল দুপুরে চারজনই বাসস্ট্যান্ডে সমবেত হয়ে গাড়ির ভাগাভাগি করছিলেন। ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে চক্রের সদস্য আব্দুল্লাহ আল আজাদ ও মেহেদী হাসান শাকিল মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যেতে পারে-এমন সন্দেহে ৯৯৯ নম্বরে কল করেন চোরচক্রের আরেক সদস্য সাইদুল ইসলাম ইমরান। পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে মোটরসাইকেল উদ্ধার করেন। তখন গ্রেপ্তার চারজনই গাড়ির মালিকানা দাবি করেন।

ওসি আলাউদ্দিন মিলন বলেন, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেন, দীর্ঘদিন ধরেই চোরাই মোটরসাইকেল ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবসা করে আসছিলেন তারা। তাদের সঙ্গে আরও ৪-৫ জন জড়িত রয়েছেন। উদ্ধার গাড়িটি প্রথম যিনি ক্রয় করছেন, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। এ ছাড়া গাড়ির প্রকৃত মালিকের সন্ধান করছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

চুরির ভাগ না পেয়ে ৯৯৯-এ কল, ফেঁসে গেলো পুরোচক্র

আপডেট সময় : ১২:২৯:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুন ২০২১

১২ জুন ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

চোরাই মোটরসাইকেলে নিজের ভাগ বুঝে না পেয়ে ৯৯৯-এ কল করে ফেঁসে গেল চোর নিজেই। সেই সঙ্গে বেড়িয়ে এসেছে পুরো চোরচক্র। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলায় এ ঘটনা ঘটেছে।

গ্রেপ্তার চারজন হলেন বাকেরগঞ্জ উপজেলা ছাত্র সমাজের সভাপতি ফিরোজ আলমের ছেলে আবদুল্লাহ আল আজাদ (২১), বাকেরগঞ্জ পৌরসভা ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আমির আলী বেপারীর ছেলে মেহেদী হাসান শাকিল (২২), নলছিটি উপজেলার রাজনগর গ্রামের হোসেন মল্লিকের ছেলে সাইদুল ইসলাম ইমরান (২২) এবং পটুয়াখালী জেলার বদরপুর ইউনিয়নের তেলিখালি গ্রামের বেলায়েত হোসেন মৃধার ছেলে রিপন মৃধা (২৫)। এই চারজন চোরাই গাড়ি ক্রয় করেছেন বলে স্বীকার করেছেন।

চক্রে আরও কেউ জড়িত আছে কি না, তা শনাক্তে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাকেরগঞ্জে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলাউদ্দিন মিলন। তিনি জানিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে গাড়ি চুরির অভিযোগ এনে মামলা দায়ের হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের আজ শনিবার আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন। ওসি বলেন, চোরের ওপর বাটপারি করতে গিয়েছিল একজন। আর তাতেই পুরো ঘটনাটি বেড়িয়ে এসেছে।

আলাউদ্দিন মিলন আরও বলেন, ৯৯৯-এ একটি কল পেয়ে এসআই মাইনুল ইসলাম ও এএসআই ইমদাদুল বাকেরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে একটি মোটরসাইকেল আটক করেন। এ সময় চারজনই মোটরসাইকেলটির মালিকানা দাবি করেন। কিন্তু কেউই গাড়িটির ক্রয় সূত্রের মালিকানার প্রমাণাদি দেখাতে পারেনি।

তিনি বলেন, তারা যার কাছ থেকে গাড়ি ক্রয় করেছেন, তিনিও পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন, তিনিই প্রথম চোরাই গাড়িটি ক্রয় করেন। তারপর বাকেরগঞ্জের চোরচক্রের চার সদস্যের কাছে বিক্রি করেন।

গতকাল দুপুরে চারজনই বাসস্ট্যান্ডে সমবেত হয়ে গাড়ির ভাগাভাগি করছিলেন। ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে চক্রের সদস্য আব্দুল্লাহ আল আজাদ ও মেহেদী হাসান শাকিল মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যেতে পারে-এমন সন্দেহে ৯৯৯ নম্বরে কল করেন চোরচক্রের আরেক সদস্য সাইদুল ইসলাম ইমরান। পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে মোটরসাইকেল উদ্ধার করেন। তখন গ্রেপ্তার চারজনই গাড়ির মালিকানা দাবি করেন।

ওসি আলাউদ্দিন মিলন বলেন, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেন, দীর্ঘদিন ধরেই চোরাই মোটরসাইকেল ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবসা করে আসছিলেন তারা। তাদের সঙ্গে আরও ৪-৫ জন জড়িত রয়েছেন। উদ্ধার গাড়িটি প্রথম যিনি ক্রয় করছেন, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। এ ছাড়া গাড়ির প্রকৃত মালিকের সন্ধান করছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।