সিলেটের জকিগঞ্জে নতুন গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান!
- আপডেট সময় : ০৯:৪৫:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুন ২০২১ ১৭৫ বার পড়া হয়েছে
১৫ জুন ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ
সিলেটের জকিগঞ্জে নতুন গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পেয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি (বাপেক্স)।
মঙ্গলবার (১৫ জুন) সকাল ১০টায় উপজেলা শহরের অদূরে পশ্চিম আনন্দপুর গ্রামে অনুসন্ধান কূপে ডিএসটি (ড্রিল স্টিম টেস্ট) সৌভাগ্য শিখা জ্বালাতে সক্ষম হয়েছে কোম্পানিটি। পরীক্ষামূলক প্রতিটি ধাপে ‘পজিটিভ’ আলামত পাওয়া যাচ্ছে। চূড়ান্তভাবে সফল হতে পারলে এটি হবে দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্র।
তবে এটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্যাস ক্ষেত্র বলছেন না বাপেক্স কর্মকর্তারা। এখনও পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চলছে। অনেক সময় অনুসন্ধান কূপে পকেট থাকতে পারে। তাই পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। চূড়ান্তভাবে সফল হতে পারলে সেটিকে গ্যাস ক্ষেত্র ঘোষণা করা হবে।
বাপেক্স সূত্রে জানা গেছে, কূপটির অভ্যন্তরে চাপ রয়েছে ৬ হাজার পিএসআই (প্রতি বর্গ ইঞ্চি) আর ফ্লোটিং চাপ রয়েছে ১৩ হাজারের অধিক। একটি স্তরের পরীক্ষা চলমান রয়েছে। কূপটিতে মোট ৪টি স্তরে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা দেখছে বাপেক্স।
বাপেক্সের ফিল্ড ম্যানেজমেন্ট উপবিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. মঞ্জুরুল হক বলেন, এটিকে এখনও গ্যাসক্ষেত্র বলা যাবে না। একটি অনুসন্ধান কূপে ডিএসটি (ড্রিল স্টিম টেস্ট) সৌভাগ্য শিখা জ্বলেছে। এর বাইরে পরীক্ষার কয়েকটি ধাপ রয়েছে। সবগুলো ধাপে সফলতা আসলে তখন কিছু বলা যাবে। আপাতত অনুসন্ধান কূপটিকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। অনেক সময় পকেট থাকতে পারে।
তিনি আরো বলেন, ওই এলাকাটিতে দীর্ঘ দিন ধরে পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। অনুসন্ধান চলছে। চূড়ান্তভাবে এখনই কিছু বলা যাবে না। তবে আমরা আশাবাদী। ভালো কিছু ফলাফল আসতে পারে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ২৭টি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করেছে বাপেক্স। এসব গ্যাসক্ষেত্রে প্রমাণিত মজুদের পরিমাণ ২১ দশমিক ৪ টিসিএফ, আরও ৬ টিসিএফ রয়েছে সম্ভাব্য মজুদ। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে ১৮টিসিএফ উত্তোলন করা হয়েছে। সে হিসেবে প্রমাণিত মজুদ অবশিষ্ট রয়েছে মাত্র ৩ টিসিএফ, আর সম্ভাব্য মজুদ রয়েছে আরো ৭ টিএসএফের মতো।