ঢাকা ১২:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভাইয়ের মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৫:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুন ২০২১ ১৯৯ বার পড়া হয়েছে

১৬ জুন ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর জয়াগ কলেজের প্রথমবর্ষের ছাত্রী ফরিদা খানম তিন্নির (১৭) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, ভাইয়ের মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।

বুধবার (১৬ জুন) দুপুরে জয়াগ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের পাটোয়ারী বাড়ি থেকে ওই কলেজছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি ওই বাড়ির মো. কবির হোসেনের মেয়ে।

সোনাইমুড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জিসান আহমেদ কলেজছাত্রীর মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, গতবছর ভাইয়ের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন ওই ছাত্রী। ধারণা করা হচ্ছে, সেই মানসিক অশান্তি থেকেই আত্মহত্যা করেছেন তিনি।

পারিবারিক সূত্র জানায়, বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বসতঘরের আড়ার সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিন্নি। পরে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। তিন্নিরা দুই ভাই ও এক বোন ছিলেন।

জয়াগ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শওকত আকবর বলেন, ‘তিন্নির বড়ভাই এমরান হোসেন (২৬) গতবছর সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। তিনি ‘এসো গড়ি’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) শাখা ব্যবস্থাপক ছিলেন। ভাইয়ের মৃত্যুর পর থেকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিন্নি। তার আরেকটি ভাই রয়েছে ছোট।’

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

ভাইয়ের মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা

আপডেট সময় : ০৯:৫৫:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুন ২০২১

১৬ জুন ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর জয়াগ কলেজের প্রথমবর্ষের ছাত্রী ফরিদা খানম তিন্নির (১৭) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, ভাইয়ের মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।

বুধবার (১৬ জুন) দুপুরে জয়াগ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের পাটোয়ারী বাড়ি থেকে ওই কলেজছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি ওই বাড়ির মো. কবির হোসেনের মেয়ে।

সোনাইমুড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জিসান আহমেদ কলেজছাত্রীর মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, গতবছর ভাইয়ের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন ওই ছাত্রী। ধারণা করা হচ্ছে, সেই মানসিক অশান্তি থেকেই আত্মহত্যা করেছেন তিনি।

পারিবারিক সূত্র জানায়, বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বসতঘরের আড়ার সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিন্নি। পরে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। তিন্নিরা দুই ভাই ও এক বোন ছিলেন।

জয়াগ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শওকত আকবর বলেন, ‘তিন্নির বড়ভাই এমরান হোসেন (২৬) গতবছর সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। তিনি ‘এসো গড়ি’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) শাখা ব্যবস্থাপক ছিলেন। ভাইয়ের মৃত্যুর পর থেকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিন্নি। তার আরেকটি ভাই রয়েছে ছোট।’

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।