কোক-বিয়ারের বোতল সরানোয় শাস্তি পাবেন রোনালদো-পগবারা?
- আপডেট সময় : ০৪:২৫:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন ২০২১ ১৯২ বার পড়া হয়েছে
১৭ জুন ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ
চলতি ইউরো কাপের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি কোকাকোলা ও হেইনেকেন কোম্পানির। কীভাবেই বা হবে? কোটি কোটি টাকা খরচ করে স্পন্সরশিপ নেয়ার পর তাদের পণ্য ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, পল পগবারা।
প্রথমে সংবাদ সম্মেলন থেকে কোকের বোতল সরিয়ে দিয়েছেন রোনালদো। তার দেখাদেখি সামনে থাকা হেইনেকেন বিয়ারের বোতল নিচে নামিয়ে রেখেছেন পগবা। রোনালদোর ঘটনায় শেয়ার বাজারে ৪০০ কোটি ডলার তথা ৩৪ হাজার কোটি টাকা খুইয়েছে কোকাকোলা। পগবার ঘটনার প্রভাব জানা যায়নি এখনও।
স্পন্সর কোম্পানি হিসেবে এ দুই ব্র্যান্ডেরই যে বড় ক্ষতি হয়েছে, তা বলে দেয়াই যায়। ইউরোর আয়োজক উয়েফার সঙ্গে কোকাকোলা ও হেইনেকেন কোম্পানির যে চুক্তি, তা ভঙ্গ করেছেন রোনালদো ও পগবা। কিন্তু এ ঘটনায় তাদের কোনো শাস্তি পেতে হবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
তবে একই কাণ্ড আমেরিকায় ঘটালে শাস্তির সম্মুখীন হতে হতো রোনালদো-পগবাদের- এমনটাই মতামত বিশেষজ্ঞদের। খেলাধুলায় স্পন্সরশিপ সংক্রান্ত কয়েকজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে প্রতিবেদন ছাপিয়ে খেলাধুলার জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম মার্কা।
এসপিএসজি কনসাল্টিংয়ের প্রধান নির্বাহী কার্লোস কান্তো বলেছেন, ‘যদি এটা আমেরিকায় হতো, তাহলে এমন ঘটনা ঘটতো না। এনএফএল বা এনবিএতে এমন কিছু ঘটালে সেই খেলোয়াড়কে অবশ্যই শাস্তি পেতে হতো। কোনো খেলোয়াড় এমনটা করতে পারে না।’
তিনি আরো যোগ করেন, ‘আমেরিকায় নিয়মকানুন খুবই শক্ত। এখানে তিনটা পক্ষ- কোকাকোলা, রোনালদো ও উয়েফা। আমি যদি কোকাকোলা কোম্পানি হতাম, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে উয়েফাকে বলতাম আমার ব্র্যান্ড ভ্যালু বাঁচানোর জন্য।’
এদিকে সিএ স্পোর্টস মার্কেটিংয়ের প্রতিষ্ঠাতা চিন্তো আরজামের মতে, রোনালদোর এমন কাজ করেও পার পেয়ে যাওয়ার ফলে অন্যান্য খেলোয়াড়রাও এতে উৎসাহী হবে। তিনি বিশ্বাস করেন, স্পন্সর কোম্পানির প্রতি সকল খেলোয়াড়েরই একটা দায়িত্ব রয়েছে। যা যথাযথ পালন করা উচিত।
আরজাম বলেছেন, ‘এখানে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ব্যাপারে কোনো ব্যক্তিগত সমস্যা নেই। বিষয়টা হচ্ছে, এমন কিছু করে রোনালদো যদি পার পেয়ে যায়, তাহলে অ্যান্তনিও গ্রিজম্যান ও সার্জিও বুসকেটসরা কেন এমনটা করবে না?’
‘খেলোয়াড়রা একটা বিষয় বুঝতে চায় না। যদিও তারা একটা ভালো বার্তা দিতে চায়। কিন্তু সবকিছুরই মুদ্রার অন্য পিঠ রয়েছে। একজন খেলোয়াড় তার জাতীয় দলের মাধ্যমে এসব টুর্নামেন্টে খেলার জন্য দায়িত্ব পায় এবং তার উচিত খেলার সকল নিয়মের প্রতিই শ্রদ্ধাশীল হওয়া। এর মধ্যে অবশ্যই স্পন্সররাও রয়েছে।’