ঢাকা ০২:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সময় এখন ‘বাংলাদেশ মডেলে’ মনোযোগী হওয়ার: রাদওয়ান মুজিব

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৯:৪০:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুন ২০২১ ২১২ বার পড়া হয়েছে

১৯ জুন ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

মধ্যম আয়ের রাষ্ট্রে রূপান্তরের পথে থাকা বাংলাদেশের সাফল্য ও অগ্রগতির গল্পে ‘বাংলাদেশ মিরাকল’র বদলে ‘বাংলাদেশ মডেল’ এ মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক।

দেশের প্রথম নীতিকৌশলভিত্তিক সাময়িকী ‘হোয়াইট বোর্ডের’ চতুর্থ সংখ্যার সম্পাদকীয় নোটে তিনি ‘বাংলাদেশ মডেল’ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের গবেষণা উইং সেন্টার ফর রিচার্স অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) থেকে প্রকাশিত সাময়িকী ‘হোয়াইট বোর্ড’ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে গঠনমূলক আলোচনার সূচনা করতে নতুন নতুন ধারণা বা তত্ত্ব সৃষ্টিতে কাজ করছে।

শুক্রবার ‘হোয়াইট বোর্ডের’ চতুর্থ সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে। সাময়িকীর প্রধান সম্পাদক সিআরআইর ট্রাস্টি রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক।

‘ইটস টাইম টু ফোকাস অন দ্য মডেল নট মিরাকল’ শীর্ষক সম্পদকীয় নোটে তিনি উন্নয়নের সুফল সবার কাছে পৌঁছে দিতে উদ্ভাবন, প্রযুক্তির উৎকর্ষতা এবং ডিজিটাল সাম্যের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

সারাদেশব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারকে ছড়িয়ে দিতে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার প্রসঙ্গ তুলে ধরে রাদওয়ান মুজিব বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণাটি মূলত কিছু হার্ডওয়ার, সফটওয়্যার কিংবা ডিজিটাল কানেক্টিভিটির চেয়েও বেশি কিছু। সরকারের ভিশন-২০২১ এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ- দুটি ধারণাই গণমানুষের সার্বিক উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়েছে।

সরকারের ভিশন-২০২১ এর মূল ধারণা- উদ্ভাবন, স্থিতিস্থাপকতা এবং সক্ষমতাবৃদ্ধি ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারণার সঙ্গে যুক্ত বলে তিনি মন্তব্য করেন।

“এগুলোকে সাজানো হয়েছে মানুষের চাহিদা, সক্ষমতা এবং তাদের উপকৃত হওয়ার বিষয়গুলোকে মাথায় রেখে।”

রাদওয়ান মুজিব লিখেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ সমাজের উচ্চশ্রেণি কিংবা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য এককভাবে করা হয়নি। ওপর থেকে নীচ পর্যন্ত, দেশের সব শ্রেণির মানুষকে এর লক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।

গত এক দশকে সারাদেশে ডিজিটাইজেশনের ধারণা ছড়িয়ে পড়ায় দেশের জনগণও নতুন এই প্রযুক্তির সাথে উদ্দিপনা নিয়ে যুক্ত হয়েছে এবং দৈনন্দিন জীবনে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে এর সুফল পাওয়ার চেষ্টা করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এবারের সংখ্যায় ‘লেসনস বাংলাদেশ ক্যান লার্ন ফ্রম আদার্স অ্যাবাউট ব্লকচেইন রেগুলেশন’ নিয়ে লিখেছেন হার্ভার্ডের গবেষক প্রিমাভিরা ডি ফিলিপ্পি ও মোরশেদ মান্নান। সরকারের এটুআই প্রকল্পের নীতি উপদেষ্টা অনীর চৌধুরী লিখেছেন ‘টু ইনোভেট, বাংলাদেশ টেকস ইন্সপিরেশন ফ্রম ইটস ফাউন্ডিং ডেইজ’ শীর্ষক নিবন্ধ।

এছাড়া কৃষি, অর্থায়ন, মোবাইলে অর্থ লেনদেন, আর্থিক অন্তর্ভুক্তিসহ বেশ কয়েকটি নিবন্ধ রয়েছে এবারের সংখ্যায়।

গত বছর সেপ্টেম্বরে ত্রৈমাসিক ‘হোয়াইট বোর্ড’ এর প্রথম সংখ্যা প্রকাশ করে সিআরআই, যা সাজানো হয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলের নীতি ও কৌশলগুলো নিয়ে। আর ডিসেম্বরে প্রকাশিত দ্বিতীয় সংখ্যায় ছিল মহামারীকালে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের নীতিনির্ধারণী বার্তা।

মার্চে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ঘিরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক অগ্রগতির বিশ্লেষণ আর ভবিষ্যতে আর এগিয়ে যাওয়ার নীতিনির্ধারণী বার্তা নিয়ে তৃতীয় সংখ্যা প্রকাশিত হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

সময় এখন ‘বাংলাদেশ মডেলে’ মনোযোগী হওয়ার: রাদওয়ান মুজিব

আপডেট সময় : ০৯:৪০:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুন ২০২১

১৯ জুন ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

মধ্যম আয়ের রাষ্ট্রে রূপান্তরের পথে থাকা বাংলাদেশের সাফল্য ও অগ্রগতির গল্পে ‘বাংলাদেশ মিরাকল’র বদলে ‘বাংলাদেশ মডেল’ এ মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক।

দেশের প্রথম নীতিকৌশলভিত্তিক সাময়িকী ‘হোয়াইট বোর্ডের’ চতুর্থ সংখ্যার সম্পাদকীয় নোটে তিনি ‘বাংলাদেশ মডেল’ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের গবেষণা উইং সেন্টার ফর রিচার্স অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) থেকে প্রকাশিত সাময়িকী ‘হোয়াইট বোর্ড’ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে গঠনমূলক আলোচনার সূচনা করতে নতুন নতুন ধারণা বা তত্ত্ব সৃষ্টিতে কাজ করছে।

শুক্রবার ‘হোয়াইট বোর্ডের’ চতুর্থ সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে। সাময়িকীর প্রধান সম্পাদক সিআরআইর ট্রাস্টি রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক।

‘ইটস টাইম টু ফোকাস অন দ্য মডেল নট মিরাকল’ শীর্ষক সম্পদকীয় নোটে তিনি উন্নয়নের সুফল সবার কাছে পৌঁছে দিতে উদ্ভাবন, প্রযুক্তির উৎকর্ষতা এবং ডিজিটাল সাম্যের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

সারাদেশব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারকে ছড়িয়ে দিতে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার প্রসঙ্গ তুলে ধরে রাদওয়ান মুজিব বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণাটি মূলত কিছু হার্ডওয়ার, সফটওয়্যার কিংবা ডিজিটাল কানেক্টিভিটির চেয়েও বেশি কিছু। সরকারের ভিশন-২০২১ এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ- দুটি ধারণাই গণমানুষের সার্বিক উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়েছে।

সরকারের ভিশন-২০২১ এর মূল ধারণা- উদ্ভাবন, স্থিতিস্থাপকতা এবং সক্ষমতাবৃদ্ধি ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারণার সঙ্গে যুক্ত বলে তিনি মন্তব্য করেন।

“এগুলোকে সাজানো হয়েছে মানুষের চাহিদা, সক্ষমতা এবং তাদের উপকৃত হওয়ার বিষয়গুলোকে মাথায় রেখে।”

রাদওয়ান মুজিব লিখেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ সমাজের উচ্চশ্রেণি কিংবা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য এককভাবে করা হয়নি। ওপর থেকে নীচ পর্যন্ত, দেশের সব শ্রেণির মানুষকে এর লক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।

গত এক দশকে সারাদেশে ডিজিটাইজেশনের ধারণা ছড়িয়ে পড়ায় দেশের জনগণও নতুন এই প্রযুক্তির সাথে উদ্দিপনা নিয়ে যুক্ত হয়েছে এবং দৈনন্দিন জীবনে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে এর সুফল পাওয়ার চেষ্টা করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এবারের সংখ্যায় ‘লেসনস বাংলাদেশ ক্যান লার্ন ফ্রম আদার্স অ্যাবাউট ব্লকচেইন রেগুলেশন’ নিয়ে লিখেছেন হার্ভার্ডের গবেষক প্রিমাভিরা ডি ফিলিপ্পি ও মোরশেদ মান্নান। সরকারের এটুআই প্রকল্পের নীতি উপদেষ্টা অনীর চৌধুরী লিখেছেন ‘টু ইনোভেট, বাংলাদেশ টেকস ইন্সপিরেশন ফ্রম ইটস ফাউন্ডিং ডেইজ’ শীর্ষক নিবন্ধ।

এছাড়া কৃষি, অর্থায়ন, মোবাইলে অর্থ লেনদেন, আর্থিক অন্তর্ভুক্তিসহ বেশ কয়েকটি নিবন্ধ রয়েছে এবারের সংখ্যায়।

গত বছর সেপ্টেম্বরে ত্রৈমাসিক ‘হোয়াইট বোর্ড’ এর প্রথম সংখ্যা প্রকাশ করে সিআরআই, যা সাজানো হয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলের নীতি ও কৌশলগুলো নিয়ে। আর ডিসেম্বরে প্রকাশিত দ্বিতীয় সংখ্যায় ছিল মহামারীকালে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের নীতিনির্ধারণী বার্তা।

মার্চে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ঘিরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক অগ্রগতির বিশ্লেষণ আর ভবিষ্যতে আর এগিয়ে যাওয়ার নীতিনির্ধারণী বার্তা নিয়ে তৃতীয় সংখ্যা প্রকাশিত হয়।