ইউপি নির্বাচন: ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা
- আপডেট সময় : ০৭:৫৯:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুন ২০২১ ১৮৬ বার পড়া হয়েছে
২১ জুন ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ
প্রথম ধাপের ২০৪টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। ভোটগ্রহণ শেষে এখন চলছে গণনা।
সোমবার (২১ জুন) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে টানা ভোটগ্রহণ। নির্বাচনে ২০টি ইউপিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হয়েছে। বাকি ১৮৪টিতে ভোটগ্রহণ হয়েছে ব্যালটের মাধ্যমে।
প্রথমে ইসি ৩৬৭টি ইউপিতে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করলেও করোনাপ্রবণ এলাকার ১৬৩টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করে।
ইসির যুগ্ম-সচিব আসাদুজ্জামান জানান, সোমবার ১৩টি জেলার ৪১টি উপজেলায় ২০৪টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম ধাপের এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৮৫৯ জন, সংরক্ষিত (নারী) সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন দুই হাজার ১৫৪ এবং সাধারণ সদস্য পদে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছয় হাজার ৯৬০ জন। ইতোমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন ২৮ জন।
ইসি সূত্র জানায়, প্রথম ধাপের ইউপি নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ছিলো এক হাজার ৮৩৬টি। মোট ভোট কক্ষের সংখ্যা ১০ হাজার ২৬০টি। এই নির্বাচনে উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা প্রিসাইডিং ও সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে কাজ করেন।
নির্বাচনে মোবাইল পুলিশের সদস্য ছিলেন ২০৪ জন, স্ট্রাইকিং পুলিশ ছিলেন ৭৪ জন। র্যাবের ১২৪টি টিম, বিজিবির ১২৩ প্লাটুনসহ মোট ৫০৮৮টি ফোর্স মোতায়েন ছিলো।
অন্যদিকে, ৩৯৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ৪১ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে ছিলেন। প্রিসাইডিং ও সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ছিলেন ১২ হাজার ২০৭ জন। পোলিং অফিসার ছিলেন ২০ হাজার ৫২০ জন।
এর আগে ১০ জুন ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেছিলেন, ২১ জুন নির্বাচনের জন্য নির্ধারিত ৩৬৭টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে করোনার উচ্চ ঝুঁকিসম্পন্ন এলাকা খুলনা বিভাগের সব ইউনিয়ন পরিষদ, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার ইউনিয়ন পরিষদসহ মোট ১৬৩টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে- বাগেরহাট জেলায় ৬৮টি, খুলনা জেলায় ৩৪টি, সাতক্ষীরা জেলায় ২১টি, নোয়াখালী জেলায় ১৩টি, চট্টগ্রাম জেলায় ১২টি এবং কক্সবাজার জেলায় ১৫টি ইউনিয়ন পরিষদ।
ইউনিয়ন পরিষদ ছাড়াও লক্ষ্মীপুর-২ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন, ঝালকাঠি ও দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ পৌরসভার ভোটগ্রহণও আজ অনুষ্ঠিত হয়। এই ভোটের দিন নির্বাচনী এলাকায় কোনো সাধারণ ছুটি ছিলো না। ভোটকেন্দ্রসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও কর্মকর্তারা সাধারণ ছুটির আওতায় ছিলেন।