ঢাকা ০২:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাশ্মীরে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে ৩ জন নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:৪০:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুন ২০২১ ১৯১ বার পড়া হয়েছে

২১ জুন ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

জম্মু-কাশ্মীরের সোপুরে পুলিশের জঙ্গিবিরোধী অভিযানে লস্কর-ই-তাইয়েবার এক শীর্ষ কমান্ডারসহ তিন জঙ্গি নিহত হয়েছে।রোববার (২০ জুন) এ অভিযান চালায় পুলিশ।

কাশ্মীর জোন পুলিশ বলছে, লস্কর-ই-তাইয়েবার নিহত শীর্ষ নেতার নাম মুদাসসির পণ্ডিত। উপত্যকায় বেশ কয়েকটি জঙ্গি হামলার পেছনে তার ভূমিকা ছিলো। ফলে আগে থেকেই পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় ছিলো মুদাসসির।

গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রোববার রাত থেকে সোপুর অঞ্চলটি ঘিরে রাখা হয়। পুলিশের কাছে তথ্য ছিলো স্থানটিতে মুদাসসির পণ্ডিত ও তার তিন সহকারি আশ্রয় নিয়েছে। পরে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। জঙ্গিরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা চালালে পুলিশের পাল্টা গুলিতে নিহত হয় মুদাসসির পণ্ডিতসহ তার দুই সহযোগি।

এক টুইট বার্তায় কাশ্মীর জোন পুলিশ জানায়, স্থানীয় তিন পুলিশ কর্মকর্তা, দুই কাউন্সিলর ও দুইজন সাধারণ নাগরিক হত্যায় জড়িত ছিল মুদাসসির পণ্ডিত। গত ১২ জুন কাশ্মীর উপত্যকায় পুলিশ ও স্থানীয়দের মধ্যকার সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছিল। নিহতদের মধ্যে ছিল দুজন পুলিশ ও দু’জন সাধারণ মানুষ। এছাড়া আহত হয়েছেন আরো তিন পুলিশ সদস্য।

পুলিশ বলছে, স্থানীয় বরামুলার সোপুর এলাকায় নিয়মিত টহল দিচ্ছিলো পুলিশ ও সিআরপির একটি যৌথ বাহিনী। এসময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে একদল সন্ত্রাসী। পরে পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে হতাহতের ঘটনাটি ঘটে।

কাশ্মীর পুলিশের মহাপরিচালক দিলবাগ সিংহ বলেছিলেন, নিহত দুই পুলিশ সদস্যের নাম ওয়াসিম আহমেদ ও শওকত আহমেদ। তারা পুলিশের কনস্টেবল ছিলেন। এ হামলায় লস্কর-ই-তাইয়েবার হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন দিলবাগ। সূত্র: এনডিটিভি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

কাশ্মীরে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে ৩ জন নিহত

আপডেট সময় : ০৭:৪০:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুন ২০২১

২১ জুন ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

জম্মু-কাশ্মীরের সোপুরে পুলিশের জঙ্গিবিরোধী অভিযানে লস্কর-ই-তাইয়েবার এক শীর্ষ কমান্ডারসহ তিন জঙ্গি নিহত হয়েছে।রোববার (২০ জুন) এ অভিযান চালায় পুলিশ।

কাশ্মীর জোন পুলিশ বলছে, লস্কর-ই-তাইয়েবার নিহত শীর্ষ নেতার নাম মুদাসসির পণ্ডিত। উপত্যকায় বেশ কয়েকটি জঙ্গি হামলার পেছনে তার ভূমিকা ছিলো। ফলে আগে থেকেই পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় ছিলো মুদাসসির।

গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রোববার রাত থেকে সোপুর অঞ্চলটি ঘিরে রাখা হয়। পুলিশের কাছে তথ্য ছিলো স্থানটিতে মুদাসসির পণ্ডিত ও তার তিন সহকারি আশ্রয় নিয়েছে। পরে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। জঙ্গিরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা চালালে পুলিশের পাল্টা গুলিতে নিহত হয় মুদাসসির পণ্ডিতসহ তার দুই সহযোগি।

এক টুইট বার্তায় কাশ্মীর জোন পুলিশ জানায়, স্থানীয় তিন পুলিশ কর্মকর্তা, দুই কাউন্সিলর ও দুইজন সাধারণ নাগরিক হত্যায় জড়িত ছিল মুদাসসির পণ্ডিত। গত ১২ জুন কাশ্মীর উপত্যকায় পুলিশ ও স্থানীয়দের মধ্যকার সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছিল। নিহতদের মধ্যে ছিল দুজন পুলিশ ও দু’জন সাধারণ মানুষ। এছাড়া আহত হয়েছেন আরো তিন পুলিশ সদস্য।

পুলিশ বলছে, স্থানীয় বরামুলার সোপুর এলাকায় নিয়মিত টহল দিচ্ছিলো পুলিশ ও সিআরপির একটি যৌথ বাহিনী। এসময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে একদল সন্ত্রাসী। পরে পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে হতাহতের ঘটনাটি ঘটে।

কাশ্মীর পুলিশের মহাপরিচালক দিলবাগ সিংহ বলেছিলেন, নিহত দুই পুলিশ সদস্যের নাম ওয়াসিম আহমেদ ও শওকত আহমেদ। তারা পুলিশের কনস্টেবল ছিলেন। এ হামলায় লস্কর-ই-তাইয়েবার হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন দিলবাগ। সূত্র: এনডিটিভি।