গৃহকর্মীকে নির্যাতন, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালকের স্ত্রী থানায়
- আপডেট সময় : ১০:৫৬:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুন ২০২১ ১৮৯ বার পড়া হয়েছে
২৩ জুন ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ
সিলেটে কিশোরী গৃহকর্মীকে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক এমরান হোসেনের স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে ফারহানা আলম চৌধুরী নামের ওই নারীকে বুধবার (২৩ জুন) বিকালে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।
পেশায় ব্যাংকার ফারহানা পরিবেশ অধিদপ্তরের সিলেট কার্যালয়ের পরিচালক এমরান হোসেনের স্ত্রী। নগরের শাহজালাল উপশহর এলাকার একটি বাসায় থাকেন তারা। ওই বাসা থেকেই বুধবার বিকেলে তাকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। আর দুপুরে বাসার বাথরুম থেকে উদ্ধার করা হয় নির্যাতিত কিশোরী রুনা আক্তারকে।
পুলিশ জানায়, কিশোরী গৃহকর্মীকে বাথরুমে তালাবদ্ধ করে শরীরে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ফারহানার বিরুদ্ধে। থানায় এনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, উপশহরের ই-ব্লকের ২১ নম্বর বাসায় (ফিরোজা মঞ্জিল) পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক এমরান সপরিবারে থাকেন। বুধবার সকাল থেকে ওই বাসার ভেতরে কিশোরীর কান্না শুনতে পান প্রতিবেশীরা। বুধবার দুপুরে প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে গৃহকর্মী কিশোরীকে উদ্ধার করে।
কিশোরীর বরাত দিয়ে শাহপরান থানার পুলিশ জানায়, মারধরের পর গৃহকর্মী রুনাকে বাথরুমে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। নির্যাতনের সময় তার শরীরে মরিচের গুঁড়াও ছিটিয়ে দেয়া হয়।
দুপুরে রুনাকে উদ্ধারের পর বিকেলে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক এমরান হোসেনের স্ত্রী ফারহানাকে শাহপরান থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
গৃহকর্মী রুনা আক্তার সাংবাদিকদের জানায়, তার বাড়ি ঢাকার গাজীপুরে। এক মাস ধরে সে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করে। কাজে একটু এদিক ওদিক হলেই গৃহকর্ত্রী ফারহানা চৌধুরী তাকে মারধর করতেন। বুধবার তাকে পুরো শরীরে কিল ও লাথি মারেন। এক পর্যায়ে চোখে-মুখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে বাথরুমে আটকে রাখেন।
মেয়েটি এ সময় বাবা-মার কাছে ফিরে যাওয়ার আকুতি জানিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে।
শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান বলেন, ‘মেয়েটিকে আমরা উদ্ধার করেছি। ওই বাসার গৃহকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে এসেছি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে। তবে গৃহকর্ত্রী তার ওপর আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।’
পরিবেশ অধিদপ্তরের সিলেটের পরিচালক এমরান হোসেন জানান, এক মাস আগে ওই কিশোরীকে তার বাসায় কাজের জন্য আনা হয়। বুধবার থেকে সে তার বাড়িতে চলে যেতে চাচ্ছিল।