রাস্তায় দুধ ফেলে খামারিদের প্রতিবাদ
- আপডেট সময় : ০৭:২০:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুন ২০২১ ১৭০ বার পড়া হয়েছে
২৬ জুন ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ
নাটোরের সিংড়ায় দুধের ন্যায্য দাম না পাওয়ায় খামারিরা দুধ মাটিতে ঢেলে অভিনব প্রতিবাদ করেছে। শুক্রবার ও শনিবার সকালে বাহাদুরপুর বটতলা এলাকায় প্রায় ৩০ জন খামারী ৫০-৬০ লিটার দুধ ঢেলে বাড়িতে ফিরেন।
খামারিরা জানান, লকডাউনের কারণে বেশ কিছুদিন ধরেই গ্রামের বাজারগুলোতে দুধের দাম কমে যায়। প্রতি কেজি দুধ ২০ টাকা কেজি দরেও তারা বিক্রি করতে পারছেন না। এ অবস্থায় রাগে ক্ষোভে অর্ধশত খামারি তাদের উৎপাদিতে প্রায় ১০০ কেজি দুধ বাজারের রাস্তায় ফেলে দেন। এ সময় খামারিয়া সরকারি ব্যবস্থাপনায় মিল্কভিটার মাধ্যমে দুধ ক্রয়ের দাবি জানান।
বাহাদুরপুর পুরানপাড়ার খামারি আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, ‘দুধের ন্যায্য দাম পাচ্ছি না। এই দুধ লিয়্যা আমরা কি করবো? তাই মনের দুখখে দুধ ঠাইল্যে ফেল্যাই দিছি।’
আরেক খামারি বাহাদুরপুর কান্দিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘আমরা অনেক লস দিছি। গাভীর পোয়ারের দাম বাইড়্যে গেছে। কিন্তু দুধের দাম বাড়িচ্ছে না। এখন সরকার মুখ তুলে না তাকালে আমারেক মরত্যে হবি।’
জানা যায়, নাটোরের সিংড়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে প্রায় ৬০০টি গরুর খামার রয়েছে। রয়েছে বিভিন্ন বাজার ও হাট। এসব স্থানীয় হাট-বাজারে দুধ বিক্রি হয়। বাড়িতে পুষ্টির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি মহাজনদের কাছে প্রতিদিন ৪০/৬০ লিটার একেকজন খামারী বিক্রি করতে আসেন। কিন্তু লকডাউনের কারনে বাজার মন্দা থাকায় মহাজন না আসলে দুধ নেওয়ার মত ক্রেতাও থাকে না। দুধ নিয়ে বাড়ি ফেরাও কষ্টের কারন হওয়ায় বুক ভরা কষ্ট নিয়ে বাড়ি ফিরতে হয় তাদের। এজন্য মিল্ক ভিটা গড়ে তোলার দাবি খামারিদের।
উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিসার ডা. খুরশিদ আলম জানান, কলম, চামারী, হাতিয়ান্দহ এলাকায় বহু খামারি আছে। চামারী ও হাতিয়ান্দহতে বেসরকারি ভাবে প্রাণ ও আরং দুগ্ধ ক্রয় করে। শুক্রবার কিংবা অন্যান্য ছুটির দিন দুধ ক্রয় বন্ধ থাকে। তিনি আরো বলেন, ইটালী, ডাহিয়া ইউনিয়নে সরকারি ব্যবস্থাপনায় দুধ শীতলীকরণ অর্থাৎ ক্রয়কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।