ঢাকা ০২:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রযুক্তির বিকাশ ঘটছে, অপরাধের ধরনও বদলে যাচ্ছে: আইনমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৮:২৫:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুন ২০২১ ২০২ বার পড়া হয়েছে

২৭ জুন ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

‘বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তির বিকাশ ঘটছে। শিল্প বিপ্লব হচ্ছে। এতে অপরাধের ধরনও বদলে যাচ্ছে। সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হচ্ছে। এগুলোকে এড্রেস করার জন্য সরকার নতুন নতুন আইন প্রণয়ন করছে। পুরাতন আইনগুলো সংশোধন করে সময়োপযোগী করা হচ্ছে।’

রোববার (২৭ জুন) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে লেজিসলেটিভ ডেস্ক বুকের খসড়া উপস্থাপন বিষয়ক এক কর্মশালায় এসব কথা বলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

তিনি বলেন, কোনো জাতির স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলন ও মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতার লক্ষ্যমূলে সক্রিয় থাকে রাষ্ট্রদর্শন, যা নতুন রাষ্ট্রের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার বুনিয়াদ রচনা করে।

আনিসুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন বাংলাদেশের মূল সংবিধানসহ তার আমলে প্রণীত আইনসমূহের সঙ্গে ঐতিহাসিকভাবে সম্পৃক্ত। বঙ্গবন্ধু আজ আমাদের মাঝে না থাকলেও সামাজিক শৃঙ্খলা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য তার দর্শনের আলোকে আইন প্রণয়ন করা রাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অন্যতম স্লোগান হচ্ছে, ‘আইনের মাধ্যমে উন্নয়ন, জনগণের ক্ষমতায়ন’। সরকারের এ স্লোগানকে সাফল্যমণ্ডিত করে তোলার লক্ষ্যে আইন মন্ত্রণালয় দ্রুত মানসম্পন্ন ও সময়োপযোগী আইন প্রণয়নে কাজ করে যাচ্ছে।

আইনের খসড়া প্রস্তুত ও ভেটিং-এর কাজ সহজ বিষয় নয় উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, এ ক্ষেত্রে বিশেষ ধরনের নীতি ও কর্মপদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়। আইনের প্রত্যেকটি শব্দের অর্থ এবং গুরুত্ব আছে। তাই আইনের বাক্যে শব্দ ব্যবহার করার ব্যাপারে পদ্ধতিগত অভিজ্ঞতা এবং অনুশীলনের প্রয়োজন।

তিনি জানান, আইন প্রণয়ন কার্যক্রমকে আরও গতিশীল, পরিশীলিত ও সময়োপযোগী করার জন্য আইন মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে ‘আইনি গবেষণার মাধ্যমে তারতম্যমূলক আইন ও নীতি চিহিৃতকরণপূর্বক’ একটি প্রকল্পের মাধ্যমে লেজিসলেটিভ ডেস্কবুক তৈরি করা হচ্ছে।

আশা প্রকাশ করে আনিসুল হক বলেন, এ ডেস্ক বুক অনুসরণ করে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের কর্মকর্তাগণ সরকারের আইন, বিধিমালা, প্রবিধানমালা, প্রজ্ঞাপন, চুক্তি ইত্যাদির খসড়া প্রস্তুত এবং ভেটিং কার্য দক্ষতার সঙ্গে ও স্বল্প সময়ের মধ্যে করতে সক্ষম হবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

প্রযুক্তির বিকাশ ঘটছে, অপরাধের ধরনও বদলে যাচ্ছে: আইনমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৮:২৫:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুন ২০২১

২৭ জুন ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

‘বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তির বিকাশ ঘটছে। শিল্প বিপ্লব হচ্ছে। এতে অপরাধের ধরনও বদলে যাচ্ছে। সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হচ্ছে। এগুলোকে এড্রেস করার জন্য সরকার নতুন নতুন আইন প্রণয়ন করছে। পুরাতন আইনগুলো সংশোধন করে সময়োপযোগী করা হচ্ছে।’

রোববার (২৭ জুন) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে লেজিসলেটিভ ডেস্ক বুকের খসড়া উপস্থাপন বিষয়ক এক কর্মশালায় এসব কথা বলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

তিনি বলেন, কোনো জাতির স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলন ও মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতার লক্ষ্যমূলে সক্রিয় থাকে রাষ্ট্রদর্শন, যা নতুন রাষ্ট্রের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার বুনিয়াদ রচনা করে।

আনিসুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন বাংলাদেশের মূল সংবিধানসহ তার আমলে প্রণীত আইনসমূহের সঙ্গে ঐতিহাসিকভাবে সম্পৃক্ত। বঙ্গবন্ধু আজ আমাদের মাঝে না থাকলেও সামাজিক শৃঙ্খলা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য তার দর্শনের আলোকে আইন প্রণয়ন করা রাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অন্যতম স্লোগান হচ্ছে, ‘আইনের মাধ্যমে উন্নয়ন, জনগণের ক্ষমতায়ন’। সরকারের এ স্লোগানকে সাফল্যমণ্ডিত করে তোলার লক্ষ্যে আইন মন্ত্রণালয় দ্রুত মানসম্পন্ন ও সময়োপযোগী আইন প্রণয়নে কাজ করে যাচ্ছে।

আইনের খসড়া প্রস্তুত ও ভেটিং-এর কাজ সহজ বিষয় নয় উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, এ ক্ষেত্রে বিশেষ ধরনের নীতি ও কর্মপদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়। আইনের প্রত্যেকটি শব্দের অর্থ এবং গুরুত্ব আছে। তাই আইনের বাক্যে শব্দ ব্যবহার করার ব্যাপারে পদ্ধতিগত অভিজ্ঞতা এবং অনুশীলনের প্রয়োজন।

তিনি জানান, আইন প্রণয়ন কার্যক্রমকে আরও গতিশীল, পরিশীলিত ও সময়োপযোগী করার জন্য আইন মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে ‘আইনি গবেষণার মাধ্যমে তারতম্যমূলক আইন ও নীতি চিহিৃতকরণপূর্বক’ একটি প্রকল্পের মাধ্যমে লেজিসলেটিভ ডেস্কবুক তৈরি করা হচ্ছে।

আশা প্রকাশ করে আনিসুল হক বলেন, এ ডেস্ক বুক অনুসরণ করে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের কর্মকর্তাগণ সরকারের আইন, বিধিমালা, প্রবিধানমালা, প্রজ্ঞাপন, চুক্তি ইত্যাদির খসড়া প্রস্তুত এবং ভেটিং কার্য দক্ষতার সঙ্গে ও স্বল্প সময়ের মধ্যে করতে সক্ষম হবেন।