ঢাকা ০২:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চেয়ারম্যানকে তালাক দিয়ে ‘প্রেমিককে’ বিয়ে করলো সেই কিশোরী!

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৫:২১:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুন ২০২১ ১৮৯ বার পড়া হয়েছে

২৯ জুন ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

পটুয়াখালীর বাউফলে চেয়ারম্যানকে তালাকের পরের দিনই প্রেমিক রমজানকে বিয়ে করে আবারো আলোচনার কেন্দ্রে ওই কিশোরী। রোববার (২৭ জুন) রমজানের মামাবাড়িতে সেই আগের কাজী ৫০ হাজার টাকা দেনমোহরে বিয়ে পড়ান। এর আগে, শনিবার (২৬ জুন) সন্ধ্যায় কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদারকে (৬০) তালাক দেয় কিশোরী।

জানাগেছে, কনকদিয়া ইউনিয়নের নারায়নপাশা গ্রামের রমজান (২৫) নামের এক যুবকের সঙ্গে ইউনিয়নের চুনারপুল এলাকার নাজমিন আক্তার ওরফে নছিমনের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। গত তিন মাস আগে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের তাঁতেরকাঠি গ্রামের সোহেল আকনের সঙ্গে নছিমনের বিয়ে হয়। বিয়ের সাতদিনের মধ্যে নছিমন সোহেলকে তালাক দিয়ে রমজানকে বিয়ে করে সংসার শুরু করে।

এই বিয়ে নছিসমনের পরিবার মেনে না নিলে গত শুক্রবার দুই পক্ষকে চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারের আয়লা বাজারস্থ বাসায় যেতে বলেন। সেখানে কিশোরীকে পছন্দ হওয়ায় ওই কিশোরীকে ওইদিন বিয়ে করেন চেয়ারম্যান। বিষয়টি নিয়ে দেশব্যাপী আলোচনা হলে পরদিন ওই কিশোরী চেয়ারম্যারকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি ফিরে যায়। এদিকে এ ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। অন্যদিকে, বাল্যবিয়ে করায় চেয়ারম্যানকে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার।

নছিমনের স্বামী রমজান বলেন, আমি এক বছরেরও বেশি সময় আগে নছিমনের নানা বাড়ি সামনে আল মামুন জামে মসজিদে ইমাম ছিলাম। নানা বাড়ির কাছেই নছিমনের বাড়ি। সে আমার কাছে কোরআন শিখতো। সেখান থেকে তার সাথে আমার সম্পর্ক। একপর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে নছিমনকে তার বাবা জোর করে অন্যত্র বিয়ে দেন। নছিমন সেখানে সংসার করেননি। ওই স্বামীকে তালাক দিয়ে আমাকে বিয়ে করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

চেয়ারম্যানকে তালাক দিয়ে ‘প্রেমিককে’ বিয়ে করলো সেই কিশোরী!

আপডেট সময় : ০৫:২১:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুন ২০২১

২৯ জুন ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

পটুয়াখালীর বাউফলে চেয়ারম্যানকে তালাকের পরের দিনই প্রেমিক রমজানকে বিয়ে করে আবারো আলোচনার কেন্দ্রে ওই কিশোরী। রোববার (২৭ জুন) রমজানের মামাবাড়িতে সেই আগের কাজী ৫০ হাজার টাকা দেনমোহরে বিয়ে পড়ান। এর আগে, শনিবার (২৬ জুন) সন্ধ্যায় কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদারকে (৬০) তালাক দেয় কিশোরী।

জানাগেছে, কনকদিয়া ইউনিয়নের নারায়নপাশা গ্রামের রমজান (২৫) নামের এক যুবকের সঙ্গে ইউনিয়নের চুনারপুল এলাকার নাজমিন আক্তার ওরফে নছিমনের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। গত তিন মাস আগে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের তাঁতেরকাঠি গ্রামের সোহেল আকনের সঙ্গে নছিমনের বিয়ে হয়। বিয়ের সাতদিনের মধ্যে নছিমন সোহেলকে তালাক দিয়ে রমজানকে বিয়ে করে সংসার শুরু করে।

এই বিয়ে নছিসমনের পরিবার মেনে না নিলে গত শুক্রবার দুই পক্ষকে চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারের আয়লা বাজারস্থ বাসায় যেতে বলেন। সেখানে কিশোরীকে পছন্দ হওয়ায় ওই কিশোরীকে ওইদিন বিয়ে করেন চেয়ারম্যান। বিষয়টি নিয়ে দেশব্যাপী আলোচনা হলে পরদিন ওই কিশোরী চেয়ারম্যারকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি ফিরে যায়। এদিকে এ ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। অন্যদিকে, বাল্যবিয়ে করায় চেয়ারম্যানকে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার।

নছিমনের স্বামী রমজান বলেন, আমি এক বছরেরও বেশি সময় আগে নছিমনের নানা বাড়ি সামনে আল মামুন জামে মসজিদে ইমাম ছিলাম। নানা বাড়ির কাছেই নছিমনের বাড়ি। সে আমার কাছে কোরআন শিখতো। সেখান থেকে তার সাথে আমার সম্পর্ক। একপর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে নছিমনকে তার বাবা জোর করে অন্যত্র বিয়ে দেন। নছিমন সেখানে সংসার করেননি। ওই স্বামীকে তালাক দিয়ে আমাকে বিয়ে করে।