দু’শত বর্ষী “তাল গাছ “
- আপডেট সময় : ০২:৫২:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জুলাই ২০২১ ৪১৭ বার পড়া হয়েছে
১ জুলাই ২০২১, আজকের মেঘনা. কম,
এম এইচ বিপ্লব সিকদার : মেঘনা – কাঠালিয়া নদী বেষ্টিত এক সময়ের কুমিল্লার সব চেয়ে নিম্নাঞ্চল হিসেবে খ্যাত চর এলাকা দাউদকান্দি- হোমনা উপজেলার শাসন বারনে বাস করা নদী বেষ্টিত এই ভূখণ্ডের জনগোষ্ঠীর জীবনের আদ্যোপান্ত বিশ্লেষণ করলে পাওয়া যায় অনেক ইতিহাস। প্রকৃতির অভয়ারণ্যে তরুলতা, গাছ পালা, কীট পতঙ্গ, বহু প্রজাতির উদ্ভিদ জগতের সমারোহ এই ভূখণ্ডকে ইতিহাসে আকড়ে ধরে আছে যেমনটি চ্ একটি তাল গাছ ‘ গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর অতিপরিচিত এই গাছ। বর্তমান কুমিল্লা জেলার মেঘনা উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামের দক্ষিণ পাশে অহেদ আলী মিয়ার বাড়ির পাশে কাঠালিয়া নদীর দক্ষিণ পাশে একটি বিশাল আকৃতির তাল গাছ নেই তার বয়সের সঠিক হিসেব ধারণা করা হয় দু’ শত বছর হবে এমন বক্তব্য দেন এলাকার অনেক মুরুব্বি। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায় তাদের পূর্ব পুরুষদের থেকে শুনা কথা অনুযায়ী কোন প্রজন্ম এর সঠিক বয়সের তথ্য নিশ্চিত বলতে পারেনি তবে ধারণা করা যায় কাঠালিয়া নদীর স্রোতের সাথে ভেসে আসা তালের আটি পরে এই গাছের জন্ম তখন সেখানে মানব সভ্যতা গড়ে উঠেনি প্রকৃতির স্ব রীতিতে এই গাছটি বেড়ে উঠে যা আজও দন্ডায়মান। রাধানগর গ্রাম সৃষ্টির বহু আগে এই গাছের সৃষ্টি। এই গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের বসবাস রয়েছে এবং এই গাছকে ঘিরে রয়েছে অনেক কথিত ঘটনা, প্রায় দুথশত বর্ষী বৃক্ষ আজও ফল দিচ্ছেন সেই গাছটিতে কেউ তাল পারতে উঠতে পেরেছে বলে তথ্য পাওয়া যায়নি। পাকা তাল পড়ে কুড়িয়ে নিয়ে যায়। তবে গাছ জুড়ে বিভিন্ন ভীতিকর তথ্য থাকায় অনেকেই সেখানে যায়না। আবার অনেকে মানত করে ফল পায় ফলে গাছের নিচে মানত পন্য, দ্রব্য গাছের নিচে রেখে আসে। আবার কেউ কেউ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সকাল বিকাল পূজা করার কথা ও শুনা যায়। বয়সের ভারে ন্যুব্জ নয় এখনো সতেজ ফলন দিচ্ছেন ভরা যৌবনে। কালের সাক্ষী এই পুরনো প্রায় দুথশত বছরের তাল গাছ একটি ইতিহাসের পাতায় রচিত হতে পারে। বয়ে আনবে মেঘনার ঐতিহাসিক বাস্তবতার ভিন্ন ইতিহাস। গাছটিকে ঘিরে নতুন প্রজন্মের কাছে বিনোদনের গাছ হিসেবে ও কম পরিচিত নয়, সেল্ফিবাজথ এইচ কে “রা দূর থেকে সেলফি তুলে নিজেরা বিনোদিত হচ্ছে এইচকের তুলা ছবিটি সংবাদে তুলে ধরা হয়েছে। এই গাছটি ঘিরে অধিকতর গবেষণায় বের হয়ে আসতে পারে আরও অজানা তথ্য যা স্থানীয় প্রশাসন উদ্যোগ নিলেই সম্ভব। এবং গাছটিকে সংরক্ষণের দায়িত্বে প্রশাসনকে এগিয়ে আসার আহবান জানান বৃক্ষপ্রেমিকরা।