ঢাকা ০২:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্ত্রীর বিরুদ্ধে ‌‘সন্তান হত্যা’র অভিযোগ করলেন নোবেল!

বিনোদন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৫:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ জুলাই ২০২১ ২১২ বার পড়া হয়েছে

০২ জুলাই ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

ধারাবাহিক বিতর্কের জন্ম দিয়ে চলেছেন ২৩ বছরের তরুণ শিল্পী নোবেল। এবারের টার্গেট তার স্ত্রী সালসাবিল। স্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাগত ‘সন্তান হত্যা’র অভিযোগ তোলেন নোবেল। শুরুটা হয় ২৮ জুন। নোবেল তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে জানান- ‘আলহামদুলিল্লাহ। হয়তো আমরা মা-বাবা হতে চলেছি। আমি এবং আমার সহধর্মিণীর জন্য দোয়া করবেন।’

এর একদিন পর ৩০ জুন ফেসবুক লাইভে এসে বিষয়টিকে মিথ্যা বলে স্পষ্ট করেন সালসাবিল মাহমুদ। বলেন, ‘আমি খুবই লজ্জিত এবং আমার জানা নেই কেন বলা হয়েছে যে হয়তো আমি প্রেগন্যান্ট। ইভেন এ ব্যাপারে আমি নোবেলের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি কিন্তু সে করেনি। আমি প্রেগন্যান্ট নই এবং এ ঘটনায় আমি লজ্জিত। আমি ওর (নোবেল) ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে জানতে পারলাম, আমি প্রেগন্যান্ট!’

এমন স্টেটমেন্টের একদিন পর আজ (২ জুলাই) দুপুরে সোশ্যাল হ্যান্ডেলে পুরো ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা করেন নোবেল। শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘জানি না এতক্ষণে আমার সম্ভাব্য বাচ্চাটি জীবিত আছে নাকি ‘পিলস’ খেয়ে শিশুটির মা শিশুটিকে খুন করেছে। তবে কয়েকটি মাস পর যে শিশু বা ফেরেশতাটি পৃথিবীর আলো দেখতো, আমার প্রাণ চলে গেলেও আমি তার প্রাণহানি হতে দিতাম না।’

সন্তান নিয়েও ‘মিথ্যাচার’ করছেন নোবেল, এমন অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘মাতৃত্ব কেবল একজন নারীর জন্যই পবিত্র কিংবা সম্মানের বিষয় নয়। একজন পুরুষের জন্যেও অত্যন্ত আনন্দের এবং গর্বের বিষয়। এগুলো নিয়ে কেউ মিথ্যাচার করে না। একটি শিশুকে ১০ মাস ১০ দিন গর্ভে ধারণ করেন মা। কিন্তু শিশুর পিতা সেই মা-কে ১০ মাস বুকে আগলে রাখে।’

‘আমার স্ত্রী, সালসাবিল তার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার লক্ষণগুলো আমার সাথে শেয়ার করেন এবং তার ফলশ্রুতিতে আমি এক্সাইটেড হয়ে স্ট্যাটাসটি গণমাধ্যমে প্রকাশ করি। সম্ভাব্য পিতা হিসেবে বিষয়টা কি স্বাভাবিক নয়? মাত্র ২৩ বছর বয়সে বাবা হওয়ার খুশি ধরে রাখতে পারিনি বলেই স্ট্যাটাস দিয়েছি’- শতভাগ নিশ্চিত না হয়েই ফেসবুকে বাবা হওয়ার স্ট্যাটাস দেওয়া প্রসঙ্গে বললেন নোবেল।

সালসাবিলের অভিযোগ, স্ট্যাটাসটি দেওয়ার আগে ও পরে এ নিয়ে নোবেলের সঙ্গে তার কোনও কথা হয়নি। যদিও নোবেল বলছেন ভিন্ন কথা। তার ভাষ্য, ‘স্ট্যাটাসটি দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে আমার স্ত্রী সালসাবিল আমাকে ফোন করে বাচ্চা ‘অ্যাবরশন’ করে ফেলার হুমকি দেয়। কারণ, আমি নাকি তার বাচ্চার বাবা হবার যোগ্য না। আমার অনেক হেটার্স! অনেক কন্ট্রোভার্সি। ব্যাংক ব্যালেন্স এই মুহূর্তে একটু কম।’

সালসাবিলের সঙ্গে নোবেলের তেমন যোগাযোগ নেই বলেও জানান। তার ভাষ্যে, ‘আমি তো আমার স্ত্রীর কোনও সন্ধানই জানি না। কোথায় থাকে, কার সাথে থাকে, কী করে, কী পরে, কী খায়? কিছুই জানি না। গত দেড় বছরের বৈবাহিক জীবনে আমার সঙ্গে সে খুব অল্প সময়ই ছিল। সম্প্রতি পাবনা ট্যুরে আমার স্ত্রী নিজেই বলেছেন, তিনি বাচ্চা নিতে ইচ্ছুক। তবে কেন আজ এই কাদা ছোড়াছুড়ি।’

ক্যারিয়ারের শুরু থেকে নিয়মিত বিতর্কের জন্ম দিয়ে আসছেন ২০১৯ সালে ভারতের জি বাংলা টেলিভিশনের রিয়েলিটি শো ‘সা রে গা মা পা’-তে অংশ নিয়ে আলোচনায় আসা নোবেল। এরমধ্যে নোবেলের গানের ভিডিওতেও হাজির হয়েছেন সালসাবিল। ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর মেহরুবা সালসাবিলের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন নোবেল। মাঝে বিচ্ছেদের সুর উঠলেও সম্প্রতি ‘জেমস বিতর্ক’র সূত্র ধরে এক হন তারা। ঘুরে আসেন পাবনা মানসিক হাসপাতালও।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

স্ত্রীর বিরুদ্ধে ‌‘সন্তান হত্যা’র অভিযোগ করলেন নোবেল!

আপডেট সময় : ০৮:৩৫:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ জুলাই ২০২১

০২ জুলাই ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

ধারাবাহিক বিতর্কের জন্ম দিয়ে চলেছেন ২৩ বছরের তরুণ শিল্পী নোবেল। এবারের টার্গেট তার স্ত্রী সালসাবিল। স্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাগত ‘সন্তান হত্যা’র অভিযোগ তোলেন নোবেল। শুরুটা হয় ২৮ জুন। নোবেল তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে জানান- ‘আলহামদুলিল্লাহ। হয়তো আমরা মা-বাবা হতে চলেছি। আমি এবং আমার সহধর্মিণীর জন্য দোয়া করবেন।’

এর একদিন পর ৩০ জুন ফেসবুক লাইভে এসে বিষয়টিকে মিথ্যা বলে স্পষ্ট করেন সালসাবিল মাহমুদ। বলেন, ‘আমি খুবই লজ্জিত এবং আমার জানা নেই কেন বলা হয়েছে যে হয়তো আমি প্রেগন্যান্ট। ইভেন এ ব্যাপারে আমি নোবেলের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি কিন্তু সে করেনি। আমি প্রেগন্যান্ট নই এবং এ ঘটনায় আমি লজ্জিত। আমি ওর (নোবেল) ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে জানতে পারলাম, আমি প্রেগন্যান্ট!’

এমন স্টেটমেন্টের একদিন পর আজ (২ জুলাই) দুপুরে সোশ্যাল হ্যান্ডেলে পুরো ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা করেন নোবেল। শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘জানি না এতক্ষণে আমার সম্ভাব্য বাচ্চাটি জীবিত আছে নাকি ‘পিলস’ খেয়ে শিশুটির মা শিশুটিকে খুন করেছে। তবে কয়েকটি মাস পর যে শিশু বা ফেরেশতাটি পৃথিবীর আলো দেখতো, আমার প্রাণ চলে গেলেও আমি তার প্রাণহানি হতে দিতাম না।’

সন্তান নিয়েও ‘মিথ্যাচার’ করছেন নোবেল, এমন অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘মাতৃত্ব কেবল একজন নারীর জন্যই পবিত্র কিংবা সম্মানের বিষয় নয়। একজন পুরুষের জন্যেও অত্যন্ত আনন্দের এবং গর্বের বিষয়। এগুলো নিয়ে কেউ মিথ্যাচার করে না। একটি শিশুকে ১০ মাস ১০ দিন গর্ভে ধারণ করেন মা। কিন্তু শিশুর পিতা সেই মা-কে ১০ মাস বুকে আগলে রাখে।’

‘আমার স্ত্রী, সালসাবিল তার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার লক্ষণগুলো আমার সাথে শেয়ার করেন এবং তার ফলশ্রুতিতে আমি এক্সাইটেড হয়ে স্ট্যাটাসটি গণমাধ্যমে প্রকাশ করি। সম্ভাব্য পিতা হিসেবে বিষয়টা কি স্বাভাবিক নয়? মাত্র ২৩ বছর বয়সে বাবা হওয়ার খুশি ধরে রাখতে পারিনি বলেই স্ট্যাটাস দিয়েছি’- শতভাগ নিশ্চিত না হয়েই ফেসবুকে বাবা হওয়ার স্ট্যাটাস দেওয়া প্রসঙ্গে বললেন নোবেল।

সালসাবিলের অভিযোগ, স্ট্যাটাসটি দেওয়ার আগে ও পরে এ নিয়ে নোবেলের সঙ্গে তার কোনও কথা হয়নি। যদিও নোবেল বলছেন ভিন্ন কথা। তার ভাষ্য, ‘স্ট্যাটাসটি দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে আমার স্ত্রী সালসাবিল আমাকে ফোন করে বাচ্চা ‘অ্যাবরশন’ করে ফেলার হুমকি দেয়। কারণ, আমি নাকি তার বাচ্চার বাবা হবার যোগ্য না। আমার অনেক হেটার্স! অনেক কন্ট্রোভার্সি। ব্যাংক ব্যালেন্স এই মুহূর্তে একটু কম।’

সালসাবিলের সঙ্গে নোবেলের তেমন যোগাযোগ নেই বলেও জানান। তার ভাষ্যে, ‘আমি তো আমার স্ত্রীর কোনও সন্ধানই জানি না। কোথায় থাকে, কার সাথে থাকে, কী করে, কী পরে, কী খায়? কিছুই জানি না। গত দেড় বছরের বৈবাহিক জীবনে আমার সঙ্গে সে খুব অল্প সময়ই ছিল। সম্প্রতি পাবনা ট্যুরে আমার স্ত্রী নিজেই বলেছেন, তিনি বাচ্চা নিতে ইচ্ছুক। তবে কেন আজ এই কাদা ছোড়াছুড়ি।’

ক্যারিয়ারের শুরু থেকে নিয়মিত বিতর্কের জন্ম দিয়ে আসছেন ২০১৯ সালে ভারতের জি বাংলা টেলিভিশনের রিয়েলিটি শো ‘সা রে গা মা পা’-তে অংশ নিয়ে আলোচনায় আসা নোবেল। এরমধ্যে নোবেলের গানের ভিডিওতেও হাজির হয়েছেন সালসাবিল। ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর মেহরুবা সালসাবিলের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন নোবেল। মাঝে বিচ্ছেদের সুর উঠলেও সম্প্রতি ‘জেমস বিতর্ক’র সূত্র ধরে এক হন তারা। ঘুরে আসেন পাবনা মানসিক হাসপাতালও।