প্রেমের জন্য পুলিশের পিটুনি খেয়েছেন আসিফ
- আপডেট সময় : ০৮:৪৩:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ জুলাই ২০২১ ১৭৩ বার পড়া হয়েছে
০৩ জুলাই ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ
বাংলা গানের ‘যুবরাজ’ বলা হয় আসিফ আকবরকে। সংগীতাঙ্গনে আসিফ যেমন উজ্জ্বল, তেমনি দাম্পত্যজীবনেও তিনি কর্তব্যপরায়ণ। ১৯৯২ সালের ১০ জুলাই এই শিল্পী মিতুকে বিয়ে করেন ভালোবেসে। প্রেম-বিয়ে নিয়ে তাদের রয়েছে মজার কিছু ঘটনা।
সেসব দিনের অম্লমধুর স্মৃতি স্মরণ করে মিতু ফেইসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন।
তিনি লিখেছেন: ‘আসিফ আকবরের সঙ্গে যখন প্রেম করি তখন এ যুগের মতো চিন্তা করিনি। চিন্তায় ছিলো- মানুষটাকে প্রচণ্ড ফিল করি, না-দেখলে মন তো মন, শরীরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। চোখের আড়াল হলেই এই অনুভব প্রতিটি মুহূর্তে শূন্যতার সৃষ্টি করতো।’
‘আমাদের দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বরাবরই বিব্রতকর’ উল্লেখ করে মিতু লিখেছেন: ‘একবার আসিফ কুমিল্লা থেকে ঢাকা এসেছে আমার সঙ্গে দেখা করতে। ঢাকায় চলছে কার্ফ্যু। তার মধ্যেও দেখা করা চাই। যেহেতু তিনি (আসিফ) খেলার সঙ্গে জড়িত, ভেবেছে ক্রিকেটের পোশাক থাকলে হয়তো খুব একটা সমস্যা হবে না। তাছাড়া আমাদের বাসায় তেমন কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিলো না আসা-যাওয়ার। ফলে আসিফ এলিফ্যান্ট রোডে নানার বাসা থেকে রওনা দেন। সায়েন্স ল্যাবের রাস্তা পার হতেই পুলিশ আটকায় তাকে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দিলে তিনি পৌঁছান ঝিগাতলার নতুন রাস্তায় আমার বোনের বাড়ি। বেল দিতেই ভাগনি ঈশিতা দৌড়ে দরজা খুলেই অবাক! ড্রইংরুমে যেতেই ভাই বললেন, গরম পানি দিয়ে ছ্যাক দে।’
আসল ঘটনা হলো আসিফ সেদিন পুলিশের হাতে মার খেয়েছিলেন। এরপর মিতু আসিফের ক্ষতস্থানে গরম পানির সেঁক দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। এ সময় দুজনের কথোপকথন উল্লেখ করেছেন মিতু। আসিফের ভাষ্য তিনি বুঝতে পারেননি পুলিশ এভাবে পেটাবে। কিন্তু সেই পিটুনিও মিতুর স্পর্শ পাওয়ার পর অমৃত সমান মনে হয়েছিল আসিফের কাছে।
মিতু লিখেছেন: ‘… এর চেয়েও অমৃতের বিষয় হতো যদি একটু আদর পাওয়া যেত। …স্বর্গীয় আনন্দ অনুভূত হতো যদি তুমি একটু আদর দিতে…।’ এরপর মিতু শাসনের সুরে বলেন, ‘এমন পাগলামী আর করবে না। …ব্যথা আছে কি?’
আসিফের জবাব ছিলো, ‘তোমায় দেখেছি তো ব্যথা গায়েব। তারপর সবার এতো যত্ন ব্যথা কী করে থাকে বলো!’
‘মিথ্যে হোক আর সত্য হোক সেই দিনের মতো আরো অনেক পাগলামী তিনি করেছেন’ উল্লেখ করে মিতু স্ট্যাটাসে লিখেছেন: ‘সবই ছিলো বয়সের কর্ম, অনুভূতির কর্মগুলো আমৃত্যু থেকে যায়। নিজ থেকে না সরালে কারো পক্ষে সরানো সম্ভব নয়। চিন্তার বিষয় হলো, আমি বা আমরা যারা এমন পরিস্থিতি পার করে এসেছি তারা কে কতটুকু এখনো মনে রাখি, কিংবা সম্মান করি নিজের অতীত অনুভূতিগুলোকে। হ্যাঁ, আমি মিতু শতভাগ সম্মান করি- স্নেহ আনন্দ ভালোবাসার সঙ্গে ভালোবাসার মানুষের জন্যে।… সীমাহীন দুঃখের মধ্যেও শ্রদ্ধাবোধ বজায় রাখতে চাই আমৃত্যু… হ্যাপি লকডাউন।’