ঢাকা ০৬:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংসদে চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আইন পাস

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৮:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ জুলাই ২০২১ ১৮১ বার পড়া হয়েছে

০৩ জুলাই ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আইন-২০২১’ পাস হয়েছে। এর ফলে চলচ্চিত্র শিল্পীদের কল্যাণে স্থায়ী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হলো।

শনিবার (৩ জুলাই) একাদশ জাতীয় সংসদের ত্রয়োদশ অধিবেশনে বিলটি পাসের প্রস্তাব উপস্থাপন করেন তথ‌্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

বিলের ওপর জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনের প্রস্তাবগুলো আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়। স্পিকার বিলটি পাসের প্রস্তাব কণ্ঠভোটে দিলে অধিকাংশ সংসদ সদস্যের ‘হ্যাঁ’ ভোটে বিলটি পাস হয়।

কল্যাণ ট্রাস্ট আইনে কী থাকছে:

ট্রাস্টের প্রধান কার্যালয় রাজধানীতে থাকবে। ট্রাস্টের পরিচালনা ও প্রশাসনিক কাজ একটি ট্রাস্টি বোর্ডের ওপর ন্যস্ত থাকবে। ট্রাস্ট যেসব ক্ষমতার প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করতে পারবে, ট্রাস্টি বোর্ডও সেসব ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করতে পারবে।

কার্যাবলী:

শিল্পীদের কল্যাণ সাধন, ট্রাস্টের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণসহ যাবতীয় কার্যক্রম গ্রহণ, অসচ্ছল বা পেশাগত কাজ করতে অক্ষম চলচ্চিত্র শিল্পীকে প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা, অসুস্থ চলচ্চিত্র শিল্পীর চিকিৎসার ব্যবস্থা বা আর্থিক সহায়তা দেওয়া, দুস্থ ও অসচ্ছল চলচ্চিত্র শিল্পীর মৃত্যু হলে তার পরিবারকে প্রয়োজনে দাফন বা শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের জন‌্য আর্থিক সহায়তা প্রভৃতি। এছাড়া, এ আইনের উদ্দেশ্য পূরণে প্রয়োজনীয় যেকোনো কার্য সম্পাদন করবে।

ট্রাস্টি বোর্ড:

তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী বোর্ডের চেয়ারম্যান হবেন। তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী এ বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান হবেন। তথ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বা সচিবও ভাইস চেয়ারম্যান হবেন। ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হবেন—প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় মনোনীত মহাপরিচালক পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা থাকবেন, তথ্য মন্ত্রণালয় মনোনীত যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা, অর্থ বিভাগ মনোনীত যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় মনোনীত যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্প সমিতির সভাপতি এবং তথ্য মন্ত্রণালয় মনোনীত দুজন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ বোর্ডের সদস্য সচিব হবেন।

বোর্ডে একজন ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকবেন। ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ শূন্য থাকলে বা হলে কিংবা অনুপস্থিত, অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে ব্যবস্থাপনা পরিচালক দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হলে শূন্য পদে নবনিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত কিংবা ব্যবস্থাপনা পরিচালক পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সক্ষম না হওয়া পর্যন্ত সরকার মনোনীত ব্যক্তি ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করবেন।

তহবিল: সরকারি অনুদান, সরকারের অনুমোদনক্রমে দেশি বা বিদেশি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অনুদান, তহবিলের অর্থ থেকে পাওয়া লভ্যাংশ, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুদান, সরকারের অনুমোদনক্রমে গৃহীত ঋণ, ট্রাস্টের পরিচালিত প্রতিষ্ঠান ও সম্পদ থেকে পাওয়া আয় এবং অন্যান্য উৎস হতে পাওয়া আয় এ তহবিলে থাকবে।

বিলের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শিল্পীদের কল্যাণ, পেশাগত কাজে অক্ষম, অসচ্ছল, অসুস্থ শিল্পীদের চিকিৎসা এবং তাদের মৃত্যু হলে সংশ্লিষ্ট পরিবারকে প্রয়োজনে দাফন-কাফন বা শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে আর্থিক সহায়তা প্রদান ও তাদের কল্যাণ সাধনের জন্য একটি স্থায়ী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো প্রয়োজন। এ কাঠামো গঠনের লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আইন-২০২১’ আইনটি সংসদে পাস করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

সংসদে চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আইন পাস

আপডেট সময় : ০৮:৩৮:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ জুলাই ২০২১

০৩ জুলাই ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আইন-২০২১’ পাস হয়েছে। এর ফলে চলচ্চিত্র শিল্পীদের কল্যাণে স্থায়ী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হলো।

শনিবার (৩ জুলাই) একাদশ জাতীয় সংসদের ত্রয়োদশ অধিবেশনে বিলটি পাসের প্রস্তাব উপস্থাপন করেন তথ‌্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

বিলের ওপর জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনের প্রস্তাবগুলো আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়। স্পিকার বিলটি পাসের প্রস্তাব কণ্ঠভোটে দিলে অধিকাংশ সংসদ সদস্যের ‘হ্যাঁ’ ভোটে বিলটি পাস হয়।

কল্যাণ ট্রাস্ট আইনে কী থাকছে:

ট্রাস্টের প্রধান কার্যালয় রাজধানীতে থাকবে। ট্রাস্টের পরিচালনা ও প্রশাসনিক কাজ একটি ট্রাস্টি বোর্ডের ওপর ন্যস্ত থাকবে। ট্রাস্ট যেসব ক্ষমতার প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করতে পারবে, ট্রাস্টি বোর্ডও সেসব ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করতে পারবে।

কার্যাবলী:

শিল্পীদের কল্যাণ সাধন, ট্রাস্টের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণসহ যাবতীয় কার্যক্রম গ্রহণ, অসচ্ছল বা পেশাগত কাজ করতে অক্ষম চলচ্চিত্র শিল্পীকে প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা, অসুস্থ চলচ্চিত্র শিল্পীর চিকিৎসার ব্যবস্থা বা আর্থিক সহায়তা দেওয়া, দুস্থ ও অসচ্ছল চলচ্চিত্র শিল্পীর মৃত্যু হলে তার পরিবারকে প্রয়োজনে দাফন বা শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের জন‌্য আর্থিক সহায়তা প্রভৃতি। এছাড়া, এ আইনের উদ্দেশ্য পূরণে প্রয়োজনীয় যেকোনো কার্য সম্পাদন করবে।

ট্রাস্টি বোর্ড:

তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী বোর্ডের চেয়ারম্যান হবেন। তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী এ বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান হবেন। তথ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বা সচিবও ভাইস চেয়ারম্যান হবেন। ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হবেন—প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় মনোনীত মহাপরিচালক পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা থাকবেন, তথ্য মন্ত্রণালয় মনোনীত যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা, অর্থ বিভাগ মনোনীত যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় মনোনীত যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্প সমিতির সভাপতি এবং তথ্য মন্ত্রণালয় মনোনীত দুজন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ বোর্ডের সদস্য সচিব হবেন।

বোর্ডে একজন ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকবেন। ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ শূন্য থাকলে বা হলে কিংবা অনুপস্থিত, অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে ব্যবস্থাপনা পরিচালক দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হলে শূন্য পদে নবনিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত কিংবা ব্যবস্থাপনা পরিচালক পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সক্ষম না হওয়া পর্যন্ত সরকার মনোনীত ব্যক্তি ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করবেন।

তহবিল: সরকারি অনুদান, সরকারের অনুমোদনক্রমে দেশি বা বিদেশি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অনুদান, তহবিলের অর্থ থেকে পাওয়া লভ্যাংশ, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুদান, সরকারের অনুমোদনক্রমে গৃহীত ঋণ, ট্রাস্টের পরিচালিত প্রতিষ্ঠান ও সম্পদ থেকে পাওয়া আয় এবং অন্যান্য উৎস হতে পাওয়া আয় এ তহবিলে থাকবে।

বিলের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শিল্পীদের কল্যাণ, পেশাগত কাজে অক্ষম, অসচ্ছল, অসুস্থ শিল্পীদের চিকিৎসা এবং তাদের মৃত্যু হলে সংশ্লিষ্ট পরিবারকে প্রয়োজনে দাফন-কাফন বা শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে আর্থিক সহায়তা প্রদান ও তাদের কল্যাণ সাধনের জন্য একটি স্থায়ী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো প্রয়োজন। এ কাঠামো গঠনের লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আইন-২০২১’ আইনটি সংসদে পাস করা হয়েছে।