ঢাকা ০৫:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লকডাউনের ছয় দিনে গ্রেপ্তার ৩০০৮৫

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ১০:০০:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুলাই ২০২১ ১৯৫ বার পড়া হয়েছে

০৬ জুলাই ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের ষষ্ঠ দিন মঙ্গলবার রাজধানীর রাস্তায় যানবাহন ও মানুষের আধিক্য ছিল। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (৬ জুলাই) ‘বিনা কারণে’ রাস্তায় বের হওয়ায় ৪৬৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। লকডাউনের পঞ্চম দিন সোমবার গ্রেপ্তারের সংখ্যা ছিল ৫০৯। ছয় দিনের লকডাউনে মোট গ্রেপ্তার হয়েছে ৩০ হাজার ৮৫ জন।

এ ছাড়া মঙ্গলবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৩০৫ জনকে ২ লাখ ২৭ হাজার ৪৮০ টাকা জরিমানা করা হয়। ট্রাফিক বিভাগ ১০৮৭টি গাড়িকে ২৫ লাখ ২৯ হাজার ২৫ টাকা জরিমানা করে।

সরেজমিনে মঙ্গলবার সকাল থেকে রাজধানীর খামারবাড়ি, আসাদগেট, ইন্দিরা রোড, বিজয় সরণি, রাসেল স্কয়ার, কল্যাণপুর ও গাবতলীসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে যানজট। সকাল থেকে সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সড়কগুলোতে বাড়তে থাকে মানুষের ভিড়। বিকেলের দিকে রাস্তায় প্রচুর যানবাহন দেখা যায়। এসব এলাকার চেক পোস্টও গাড়ির চাপে অনেকটাই শিথিল ছিল। চেক পোস্টে যাদেরই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তারাই কোনো না কোনো জরুরি কাজের কথা বলেছে।

গণভবন চেকপোস্টে দেখা যায়, ছোট-বড় প্রতিটি গাড়িকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারলে যেতে দেওয়া হচ্ছে, অন্যথায় মামলা দেওয়া হচ্ছে। ফলে গাড়ির দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে ওই সব রাস্তায়।

শুধু গণভবন চেকপোস্ট নয়, রাজধানীর রাসেল স্কয়ার, কল্যাণপুর ও গাবতলী চেকপোস্টেও একই অবস্থা দেখা গেছে। অলিগলিতে মানুষের উপস্থিতি বেড়েছে। তাদের কেউ বের হয়েছেন বাজার করতে, কেউ কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে, কেউ সকালের নাশতা করতে। আবার কেউ বের হয়েছেন হাঁটতে। গলির কিছু কিছু দোকানের শাটার অর্ধেক খোলা রেখে বিক্রি চলছে। ছোট কয়েকটি হোটেলে বসে খাওয়ার সুযোগও দেওয়া হচ্ছে।

পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হওয়ায় ২২ জুন থেকে ঢাকাকে সারা দেশ থেকে অনেকটা বিচ্ছিন্ন রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সেই প্রচেষ্টায় ঢাকার আশপাশের চারটি জেলাসহ মোট সাতটি জেলায় জরুরি সেবা ছাড়া সব ধরনের চলাচল ও কার্যক্রম ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে এরপরও করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ২৮ জুন থেকে সারা দেশে সব গণপরিবহন ও মার্কেট-শপিং মল বন্ধ করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে সর্বাত্মক লকডাউন, বন্ধ রয়েছে সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। সর্বাত্মক লকডাউন ১৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

লকডাউনের ছয় দিনে গ্রেপ্তার ৩০০৮৫

আপডেট সময় : ১০:০০:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুলাই ২০২১

০৬ জুলাই ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের ষষ্ঠ দিন মঙ্গলবার রাজধানীর রাস্তায় যানবাহন ও মানুষের আধিক্য ছিল। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (৬ জুলাই) ‘বিনা কারণে’ রাস্তায় বের হওয়ায় ৪৬৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। লকডাউনের পঞ্চম দিন সোমবার গ্রেপ্তারের সংখ্যা ছিল ৫০৯। ছয় দিনের লকডাউনে মোট গ্রেপ্তার হয়েছে ৩০ হাজার ৮৫ জন।

এ ছাড়া মঙ্গলবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৩০৫ জনকে ২ লাখ ২৭ হাজার ৪৮০ টাকা জরিমানা করা হয়। ট্রাফিক বিভাগ ১০৮৭টি গাড়িকে ২৫ লাখ ২৯ হাজার ২৫ টাকা জরিমানা করে।

সরেজমিনে মঙ্গলবার সকাল থেকে রাজধানীর খামারবাড়ি, আসাদগেট, ইন্দিরা রোড, বিজয় সরণি, রাসেল স্কয়ার, কল্যাণপুর ও গাবতলীসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে যানজট। সকাল থেকে সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সড়কগুলোতে বাড়তে থাকে মানুষের ভিড়। বিকেলের দিকে রাস্তায় প্রচুর যানবাহন দেখা যায়। এসব এলাকার চেক পোস্টও গাড়ির চাপে অনেকটাই শিথিল ছিল। চেক পোস্টে যাদেরই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তারাই কোনো না কোনো জরুরি কাজের কথা বলেছে।

গণভবন চেকপোস্টে দেখা যায়, ছোট-বড় প্রতিটি গাড়িকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারলে যেতে দেওয়া হচ্ছে, অন্যথায় মামলা দেওয়া হচ্ছে। ফলে গাড়ির দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে ওই সব রাস্তায়।

শুধু গণভবন চেকপোস্ট নয়, রাজধানীর রাসেল স্কয়ার, কল্যাণপুর ও গাবতলী চেকপোস্টেও একই অবস্থা দেখা গেছে। অলিগলিতে মানুষের উপস্থিতি বেড়েছে। তাদের কেউ বের হয়েছেন বাজার করতে, কেউ কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে, কেউ সকালের নাশতা করতে। আবার কেউ বের হয়েছেন হাঁটতে। গলির কিছু কিছু দোকানের শাটার অর্ধেক খোলা রেখে বিক্রি চলছে। ছোট কয়েকটি হোটেলে বসে খাওয়ার সুযোগও দেওয়া হচ্ছে।

পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হওয়ায় ২২ জুন থেকে ঢাকাকে সারা দেশ থেকে অনেকটা বিচ্ছিন্ন রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সেই প্রচেষ্টায় ঢাকার আশপাশের চারটি জেলাসহ মোট সাতটি জেলায় জরুরি সেবা ছাড়া সব ধরনের চলাচল ও কার্যক্রম ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে এরপরও করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ২৮ জুন থেকে সারা দেশে সব গণপরিবহন ও মার্কেট-শপিং মল বন্ধ করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে সর্বাত্মক লকডাউন, বন্ধ রয়েছে সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। সর্বাত্মক লকডাউন ১৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।