৭ দিনেও লাশ দেয়নি বিএসএফ; শোকে স্তব্ধ পরিবার
- আপডেট সময় : ০৮:৪৬:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুলাই ২০২১ ১৭৬ বার পড়া হয়েছে
০৬ জুলাই ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে রিফাত হোসেন (২৮) নামের এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হওয়ার সাত দিনেও লাশ ফেরত পায়নি পরিবার। নিহত রিফাতের বাড়ি উপজেলার মুন্সিরহাট মোহাম্মদপুর গ্রামে।
সন্তানকে হারিয়ে শোকে স্তব্ধ রিফাতের মা লিপি বেগম ও বাবা ইসমাইল হোসেন। নিহত ছেলের মুখ শেষ বারের মত দেখতে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নবিবর রহমান, বিজিবি’র কোম্পানি কমান্ডার, থানা পুলিশের নিকট ঘুরেও কোনো আশ্বাস মেলেনি।
জানা যায়, গত ২৯ জুন মঙ্গলবার ভোরে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার জগতবেড় ইউনিয়নের পূর্ব জগতবেড় গ্রাম সীমান্তের ৮৬২/১ নম্বর পিলারের নিকট দিয়ে গরু আনতে যায় পারাপারকারী ১০-১২ জনের একটি দল। ওই দলে রিফাত হোসেনও ছিল। ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সহায়তায় গরু আনার সময় ভারতীয় ১৪০ রাণীনগর বিএসএফ ব্যাটালিয়নের চুয়াংগারখাতা ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাদেরকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। এতে রিফাত হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। নিহতের লাশ ভারতীয় নো-ম্যান্স ল্যান্ড অংশে পড়ে থাকে। পরে ভারতীয় অভ্যন্তরে লাশ নিয়ে যায় বিএসএফ।
৬১ ব্যাটালিয়নের শমসের নগর বিজিবি কোম্পানি সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সীমান্তে যুবক নিহতের ঘটনায় ভারতীয় চেনাকাটা কোম্পানি হেড কোয়ার্টারের অধীন চুয়াংগারখাতা বিএসএফ ক্যাম্পের কমান্ডারকে ২৯ জুন মঙ্গলবার দুপুরে একটি চিঠি দেওয়া হয়। ওইদিন বিকেল ৫ টার দিকে সীমান্তে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিএসএফ ও বিজিবি গুলিতে যুবক হত্যার ব্যাপারে গভীর তদন্তপূর্বক পরবর্তীতে আবারও বৈঠকে বসার সিদ্ধান্তে একমত হয়। ভারতের মাথাভাঙ্গা হাসপাতাল মর্গের হিম ঘরে রিফাতের লাশ রাখা আছে বলে জানা গেছে।
নিহতের বাবা ইসমাইল বলেন, আমার ছেলে সাত দিন ধরে নিখোঁজ বিএসএফের গুলিতে ছেলে সীমান্তে মারা গেছে। ছেলের লাশের জন্য কয়েকদিন ক্যাম্পে যাই। ক্যাম্পের বিজিবি সিও’র (অধিনায়ক) সাথে কথা বলতে বলে। বিজিবির (সিও) আমাদের মোবাইল রিসিভ করেনা। ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের কাছে যাই। তিনি কোম্পানি কমান্ডার ও সিও’র সাথে মোবাইলে কথা বলেছিল। আমি ছেলের লাশ চাই। মুখ দেখে কবর দিতে চাই।
এ বিষয়ে ৬১ ব্যাটালিয়নের শমসের নগর বিজিবি কোম্পানি কমান্ডার বিল্লাল হোসেনের সেলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক শুনে ব্যস্ত আছেন বলে সেলফোনের সংযোগ কেটে দেন। এছাড়া বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ৬১ (বিজিবি) রংপুর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মীর হাসান শাহরিয়ার মাহমুদের সাথে মোবাইল ফোনে ফোন দিলে পরে ফোন দেন বলে লাইন কেটে দেন।