ঢাকা ০৯:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চকলেটের লোভ দেখিয়ে শিশুকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ১০:১৬:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই ২০২১ ১৮৪ বার পড়া হয়েছে

০৮ জুলাই ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদ দামুয়া পুকুর পাড় এলাকায় চিপস-চকলেটের লোভ দেখিয়ে ৯ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মো. ইয়ার খানকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বিকেলে শিশুর দাদির করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ইয়ার খান কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার কামিলা গ্রামের মো. হোসেনের ছেলে।

জানা যায়, ভিকটিমের দাদি আগে মানুষের বাসায় কাজ করতেন। বর্তমানে ভিক্ষাবৃত্তি করেন। তাদের পাশেই থাকেন ইয়ার খান। ভিকটিমের দাদি বাইরে গেলেই ইয়ার খান চিপস-চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে নিজবাসায় নিয়ে যায়। এরপর ধর্ষণ করে। এ রকম একাধিকবার ধর্ষণের বিষয়টি জানলেও লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি চেপে যায় ভিকটিমের পরিবার।

গত ৫ জুলাই দাদি বাইরে গেলে একই কায়দায় ভিকটিমকে নিজ বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করে ইয়ার খান। দাদি বাসায় এসে নাতনিকে কাঁদতে দেখে জিজ্ঞেস করলে নাতনি সবকিছু জানায়। পরে তাকে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ​চিপস-চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে ভিকটিমকে একাধিকবার ধর্ষণ করে ইয়ার খান। সর্বশেষ ধর্ষণের পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে ভিকটিম। হাসপাতালে নেওয়ায় বিষয়টি জানাজানি হলে অভিযোগ করেন ভিকটিমের দাদি। বৃহস্পতিবার থানায় মামলা করলে ইয়ার খানকে তার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শিশুটি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (​ওসিসি) চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

চকলেটের লোভ দেখিয়ে শিশুকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার

আপডেট সময় : ১০:১৬:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই ২০২১

০৮ জুলাই ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদ দামুয়া পুকুর পাড় এলাকায় চিপস-চকলেটের লোভ দেখিয়ে ৯ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মো. ইয়ার খানকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বিকেলে শিশুর দাদির করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ইয়ার খান কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার কামিলা গ্রামের মো. হোসেনের ছেলে।

জানা যায়, ভিকটিমের দাদি আগে মানুষের বাসায় কাজ করতেন। বর্তমানে ভিক্ষাবৃত্তি করেন। তাদের পাশেই থাকেন ইয়ার খান। ভিকটিমের দাদি বাইরে গেলেই ইয়ার খান চিপস-চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে নিজবাসায় নিয়ে যায়। এরপর ধর্ষণ করে। এ রকম একাধিকবার ধর্ষণের বিষয়টি জানলেও লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি চেপে যায় ভিকটিমের পরিবার।

গত ৫ জুলাই দাদি বাইরে গেলে একই কায়দায় ভিকটিমকে নিজ বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করে ইয়ার খান। দাদি বাসায় এসে নাতনিকে কাঁদতে দেখে জিজ্ঞেস করলে নাতনি সবকিছু জানায়। পরে তাকে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ​চিপস-চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে ভিকটিমকে একাধিকবার ধর্ষণ করে ইয়ার খান। সর্বশেষ ধর্ষণের পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে ভিকটিম। হাসপাতালে নেওয়ায় বিষয়টি জানাজানি হলে অভিযোগ করেন ভিকটিমের দাদি। বৃহস্পতিবার থানায় মামলা করলে ইয়ার খানকে তার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শিশুটি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (​ওসিসি) চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।