ঢাকা ১২:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাবুল বিমানবন্দরের দায়িত্ব নিচ্ছে তুরস্ক: এরদোয়ান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:২৭:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ জুলাই ২০২১ ১৯২ বার পড়া হয়েছে

১০ জুলাই ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান বলেছেন, আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনারা চলে যাওয়ার পর কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা রক্ষা করার ব্যাপারে তাদের সঙ্গে মার্কিন সরকারের সমঝোতা হয়েছে। তুর্কি সেনারা কীভাবে এই বিমানবন্দরের নিরাপত্তা রক্ষা করবে তার ‘সবদিক’ সম্পর্কে বিস্তারিত চুক্তি হয়েছে।

৩১ আগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং তার আগেই কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দায়িত্ব নিতে সম্মত হয়েছে তুরস্ক। এর মাধ্যমে ওয়াশিংটন ও আঙ্কারার মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার আমেরিকা ও তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের মধ্যে কথা হয়েছে এবং সেখানে আমরা জানিয়ে দিয়েছি, আমরা কতটুকু দায়িত্ব গ্রহণ করব এবং কতটুকু করতে পারব না।

এর আগে গতমাসে ব্রাসেলসে ন্যাটো জোটের শীর্ষ সম্মেলনে তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান তার মার্কিন সমকক্ষ জো বাইডেনের সঙ্গে কথা বলেন। ওই সাক্ষাতে কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব গ্রহণ করতে নীতিগতভাবে সম্মত হয় তুরস্ক এবং একজ্য এরদোগানকে ধন্যবাদ জানান বাইডেন।

আফগানিস্তানে কর্মরত পশ্চিমা কূটনীতিক ও কর্মীদেরকে নিরাপদে দেশটি থেকে বের করে নেয়ার প্রধান রুট হচ্ছে কাবুল বিমানবন্দর। ন্যাটো ও মার্কিন সেনাদের প্রত্যাহার করে নেয়া হলে তালেবানের হাতে বিমানবন্দরটির পতন হতে পারে ভেবে ওয়াশিংটন শঙ্কিত এবং এ কারণে এটির নিরাপত্তা রক্ষার ওপর বাইডেন প্রশাসন ব্যাপক জোর দিচ্ছে।

২০০১ সালে ইঙ্গো-মার্কিন হামলায় তালেবান সরকারের পতন হওয়ার পর ন্যাটো জোটের অধীনে আফগানিস্তানে কয়েকশ সেনা মোতায়েন করে তুরস্ক। তখন থেকে গত ২০ বছর আফগানিস্তানে তুর্কি সেনারা মোতায়েন ছিল।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

কাবুল বিমানবন্দরের দায়িত্ব নিচ্ছে তুরস্ক: এরদোয়ান

আপডেট সময় : ০৭:২৭:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ জুলাই ২০২১

১০ জুলাই ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান বলেছেন, আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনারা চলে যাওয়ার পর কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা রক্ষা করার ব্যাপারে তাদের সঙ্গে মার্কিন সরকারের সমঝোতা হয়েছে। তুর্কি সেনারা কীভাবে এই বিমানবন্দরের নিরাপত্তা রক্ষা করবে তার ‘সবদিক’ সম্পর্কে বিস্তারিত চুক্তি হয়েছে।

৩১ আগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং তার আগেই কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দায়িত্ব নিতে সম্মত হয়েছে তুরস্ক। এর মাধ্যমে ওয়াশিংটন ও আঙ্কারার মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার আমেরিকা ও তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের মধ্যে কথা হয়েছে এবং সেখানে আমরা জানিয়ে দিয়েছি, আমরা কতটুকু দায়িত্ব গ্রহণ করব এবং কতটুকু করতে পারব না।

এর আগে গতমাসে ব্রাসেলসে ন্যাটো জোটের শীর্ষ সম্মেলনে তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান তার মার্কিন সমকক্ষ জো বাইডেনের সঙ্গে কথা বলেন। ওই সাক্ষাতে কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব গ্রহণ করতে নীতিগতভাবে সম্মত হয় তুরস্ক এবং একজ্য এরদোগানকে ধন্যবাদ জানান বাইডেন।

আফগানিস্তানে কর্মরত পশ্চিমা কূটনীতিক ও কর্মীদেরকে নিরাপদে দেশটি থেকে বের করে নেয়ার প্রধান রুট হচ্ছে কাবুল বিমানবন্দর। ন্যাটো ও মার্কিন সেনাদের প্রত্যাহার করে নেয়া হলে তালেবানের হাতে বিমানবন্দরটির পতন হতে পারে ভেবে ওয়াশিংটন শঙ্কিত এবং এ কারণে এটির নিরাপত্তা রক্ষার ওপর বাইডেন প্রশাসন ব্যাপক জোর দিচ্ছে।

২০০১ সালে ইঙ্গো-মার্কিন হামলায় তালেবান সরকারের পতন হওয়ার পর ন্যাটো জোটের অধীনে আফগানিস্তানে কয়েকশ সেনা মোতায়েন করে তুরস্ক। তখন থেকে গত ২০ বছর আফগানিস্তানে তুর্কি সেনারা মোতায়েন ছিল।