ঢাকা ০৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নদীতে সব ধরণের বর্জ্য ফেলা বন্ধ করতে হবে: এলজিআরডি মন্ত্রী

এম এইচ বিপ্লব সিকদার
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৪:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই ২০২১ ২২৬ বার পড়া হয়েছে

 

ঢাকা: বৃহস্পতিবার, ১৫ই জুলাই, ২০২১ইং,আজকের মেঘনা ডটকম, এম এইচ বিপ্লব সিকদার :

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, নদীকে দূষণমুক্ত রাখতে শুধু শিল্প-কলকারখানার নয় গৃহস্থালি, মেডিকেল এবং কৃষিসহ সব ধরনের বর্জ্য ফেলা বন্ধ করতে হবে।

আজ অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুম এ্যাপে মেঘনা নদীর জন্য মাষ্টার প্ল্যান তৈরির লক্ষ্যে গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটির ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ওয়ার্কশপে ইনষ্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং-আইডব্লিউএম মাষ্টারপ্ল্যানের জন্য প্রনীত ইনসেপশন রিপোর্ট উপস্থাপন করেন । সহযোগি প্রতিষ্ঠান হিসেবে ছিল সিইজিআইএস।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মেঘনা নদীর দূষণরোধ, দখলমুক্ত এবং নাব্যতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে মাস্টার প্ল্যান প্রণয়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
ঢাকা চারপাশসহ দেশের নদীগুলোতে পয়োবর্জ্য ও শিল্পবর্জ্যসহ অন্যান্য কলকারখানার বর্জ্য নিয়মিতভাবে নিক্ষেপ করায় নদীর পানি দূষিত করছে। এতে করে পানির গুণগত মান নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি মৎস্য প্রজনন ব্যাপক বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তাই সরকার ঢাকা চারপাশসহ অন্যান্য নদীগুলো দখলমুক্ত, দূষণরোধ এবং নাব্যতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করছে ।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী আরো বলেন, মেঘনা নদী যাতে দূষণ ও দখলের কবলে না পড়ে এবং ভবিষ্যত চাহিদা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা যায় সে লক্ষ্যেই মাস্টার প্ল্যান করা হচ্ছে। এটি প্রণীত হলে মেঘনা নদীকে রক্ষা করা সম্ভব হবে বলেও উল্লেখ করেন।

তিনি জানান, ঢাকা শহরে পানি সরবরাহের লক্ষ্যে মেঘনা নদী থেকে পানি উত্তোলন করবে ঢাকা ওয়াসা। কিন্তু কি পরিমাণ পানি তোলা হলে নদী তার স্বকীয়তা হারাবে না এ সম্পর্কে আমাদের কোনো সুনির্দিষ্ট স্টাডি রিপোর্ট নেই। এই মাস্টার প্ল্যানে সেগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এলক্ষ্যে পরামর্শকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন মো. তাজুল ইসলাম।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে এবং ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের সঞ্চালনায় কর্মশালায় AFD, KFW, EIB, ADB সহ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী দেশের প্রতিনিধিগণ ছাড়াও, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়,  বিভাগের সচিবগণ, বিভিন্ন সরকারি দপ্তর,সংস্থার প্রধান এবং সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসকগণ অংশগ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য, এবছরের শুরুতে মেঘনা নদীকে দখল, দূষণ এবং নাব্যতা সংকট থেকে রক্ষা করতে একটি মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে ঢাকা ওয়াসার সার্বিক তত্ত্বাবধানে ইন্সটিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং-আইডব্লিউএম এবং সেন্টার ফর এনভায়রমেন্টাল এন্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস-সিইজিআইএস- এর সাথে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

নদীতে সব ধরণের বর্জ্য ফেলা বন্ধ করতে হবে: এলজিআরডি মন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৭:৫৪:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই ২০২১

 

ঢাকা: বৃহস্পতিবার, ১৫ই জুলাই, ২০২১ইং,আজকের মেঘনা ডটকম, এম এইচ বিপ্লব সিকদার :

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, নদীকে দূষণমুক্ত রাখতে শুধু শিল্প-কলকারখানার নয় গৃহস্থালি, মেডিকেল এবং কৃষিসহ সব ধরনের বর্জ্য ফেলা বন্ধ করতে হবে।

আজ অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুম এ্যাপে মেঘনা নদীর জন্য মাষ্টার প্ল্যান তৈরির লক্ষ্যে গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটির ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ওয়ার্কশপে ইনষ্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং-আইডব্লিউএম মাষ্টারপ্ল্যানের জন্য প্রনীত ইনসেপশন রিপোর্ট উপস্থাপন করেন । সহযোগি প্রতিষ্ঠান হিসেবে ছিল সিইজিআইএস।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মেঘনা নদীর দূষণরোধ, দখলমুক্ত এবং নাব্যতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে মাস্টার প্ল্যান প্রণয়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
ঢাকা চারপাশসহ দেশের নদীগুলোতে পয়োবর্জ্য ও শিল্পবর্জ্যসহ অন্যান্য কলকারখানার বর্জ্য নিয়মিতভাবে নিক্ষেপ করায় নদীর পানি দূষিত করছে। এতে করে পানির গুণগত মান নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি মৎস্য প্রজনন ব্যাপক বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তাই সরকার ঢাকা চারপাশসহ অন্যান্য নদীগুলো দখলমুক্ত, দূষণরোধ এবং নাব্যতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করছে ।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী আরো বলেন, মেঘনা নদী যাতে দূষণ ও দখলের কবলে না পড়ে এবং ভবিষ্যত চাহিদা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা যায় সে লক্ষ্যেই মাস্টার প্ল্যান করা হচ্ছে। এটি প্রণীত হলে মেঘনা নদীকে রক্ষা করা সম্ভব হবে বলেও উল্লেখ করেন।

তিনি জানান, ঢাকা শহরে পানি সরবরাহের লক্ষ্যে মেঘনা নদী থেকে পানি উত্তোলন করবে ঢাকা ওয়াসা। কিন্তু কি পরিমাণ পানি তোলা হলে নদী তার স্বকীয়তা হারাবে না এ সম্পর্কে আমাদের কোনো সুনির্দিষ্ট স্টাডি রিপোর্ট নেই। এই মাস্টার প্ল্যানে সেগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এলক্ষ্যে পরামর্শকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন মো. তাজুল ইসলাম।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে এবং ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের সঞ্চালনায় কর্মশালায় AFD, KFW, EIB, ADB সহ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী দেশের প্রতিনিধিগণ ছাড়াও, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়,  বিভাগের সচিবগণ, বিভিন্ন সরকারি দপ্তর,সংস্থার প্রধান এবং সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসকগণ অংশগ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য, এবছরের শুরুতে মেঘনা নদীকে দখল, দূষণ এবং নাব্যতা সংকট থেকে রক্ষা করতে একটি মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে ঢাকা ওয়াসার সার্বিক তত্ত্বাবধানে ইন্সটিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং-আইডব্লিউএম এবং সেন্টার ফর এনভায়রমেন্টাল এন্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস-সিইজিআইএস- এর সাথে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।