গজারিয়ায় চলছে অবৈধ ইটভাটা, কর্তৃপক্ষ নিরব
- আপডেট সময় : ১২:০৬:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২১ ১৫৯ বার পড়া হয়েছে
২৮ নভেম্বর ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ওসমান গনি, গজারিয়া প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা ইটভাটা তৈরিতে নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন, নেই জেলা প্রশাসনের অনুমোদন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকার পরেও থেমে থাকেনি তাদের কার্যক্রম। কোন প্রকার অনুমোদন ছাড়াই গজারিয়াতে নামে বেনামের ইটভাটার মালিকরা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
শুধু তাই নয়,উপজেলা প্রশাসন তাদের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিলেও প্রশাসনের নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন এন, এন, এম ব্রিক্- ফিল্ড নামের ইটভাটাটির মালিকের দেবর মোহাম্মদ মোস্তফা । সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার ভাটেরচর গ্রামে ফসলি জমি, আবাসিক বাড়ি ও স্কুলের পাশে এন, এন, এম ব্রিক্- ফিল্ড নামের একটি ইটভাটা তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে ভাটায় ইট পোড়ানো শুরু করেছেন। আর ওই ভাটা থেকে নতুন ইটও বের হয়েছে। যা বর্তমানে বাজারজাত করণ চলছে। সরকারী নিয়ম অনুযায়ী,ইটভাটায় আগুন লাগানোর পূর্বে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রের সাথে জেলা প্রশাসন থেকেও ছাড়পত্র নিতে হয়। কিন্তু এ ইটভাটার মালিক এধরনের কোন ছাড়পত্র ছাড়াই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে ফসলি জমির পাশে ইটভাটা তৈরি হওয়ায় ক্ষতির সম্মুখীন হবেন সেখানকার কৃষকরা। ভাটায় দেখা গেছে,কয়লার পাশাপাশি কাঠ মজুদ করে রাখা হয়েছে আর নতুন ইট তৈরির কাজ দেদারছে চালিয়ে যাচ্ছেন মালিক পক্ষ। এন, এন, এম ব্রিক্- ফিল্ড এই ইটভাটার অনুমোদন রয়েছে কি না,এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,অনুমোদন অবশ্যই রয়েছে। তবে এধরনের কোন কাগজ তিনি সংবাদকর্মীদের দেখাতে পারননি। এন, এন, এম ব্রিক্- ফিল্ড স্বত্বাধিকারী মোঃ মোস্তফা এর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে অনুমোদন না থাকার কথা স্বীকার করে বলেন,জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে অনুমোদন পেতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়া ইটভাটায় আগুন লাগানোর বিষয়ে তিনি জানান,এখানে অনেক ইটভাটা আছে তাদের প্রশাসনের কোন অনুমোদন নেই।
গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বলেন,এখন পর্যন্ত ওই ভাটা অনুমোদনের কোন কাগজ পাওয়া যায়নি।তাই তাদের সকল কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বন্ধের নির্দেশ থাকলেও কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান,বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন এ কর্মকর্তা।